• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ক্ষমতাসীনদের কারসাজিতে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে : ফখরুল

আরটিভি নিউজ

  ১৭ মে ২০২২, ২০:৩৪
ক্ষমতাসীনদের কারসাজিতে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে : ফখরুল
ফাইল ছবি

ক্ষমতাসীনদের কারসাজিতে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কথা না। এখন তো চালের দাম পড়ার কথা, কমার কথা। কারণ বোরো কাটা হচ্ছে, দাম কমে আসার কথা। সেই জায়গায় প্রত্যেকটি চালের দাম বেড়ে গেছে। তার মানে –‘দেয়ার ইজ সাম প্রোভলেমস ইন প্ল্যানিং, টোটাল প্ল্যানিংয়ের মধ্যে প্রোভলেম আছে’। সমস্যা হচ্ছে যে, এমন এমন লোকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা যে ব্যবসা করেন তাদেরকে সেই দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন খাদ্য ব্যবসা যারা করেন তারা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকেন। ফলে যা হচ্ছে ওখানে ব্যবসাটা প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে।এখন কী হচ্ছে আপনার? বড় বড় কৃষকেরা ধান মজুত করছে, ব্যবসায়ীরা ধান মজুত করছে। কারণ, কিছুদিন পর ধানের দাম আরও বাড়বে এবং তাদের মুনাফা বাড়বে। এটাই কারসাজি ওদের।

সম্প্রতি কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল হাওর এলাকা পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ‘হাওরে বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা লুটপাট-সর্বস্বান্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণ দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে হাওর অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণে সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাওরের সমস্যা আজকে নতুন না, এটা পুরোনো সমস্যা। আপনি খেয়াল করে দেখবেন প্রায় প্রতিবছরই উজান থেকে চলে আসে পানির ঢল। আমি এই সময়ে নিজেই একবার গিয়েছিলাম সুনামগঞ্জে। এই সময়ে পানি ঢল গোটা এলাকাকে প্লাবিত করে দেয়। যেখান থেকে পানি আসছে সেখানে যদি বাঁধ নির্মাণ করা যায় বা রিজার্ভার নির্মাণ করা যায় তাহলে দুইটা কাজ হতে পারে।একটা হচ্ছে বাড়তি পানি আটকিয়ে রাখতে পারেন এবং সেটাকে পরবর্তীতে সেচের ব্যবস্থা করে একটা নয়, দুই-তিনটা ফসল করা যেতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত সেই ধরনের কোনো কর্মসূচি বা পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সমস্যা হলো, সরকার সেই কাজগুলোই হাতে নেয় যেখানে তাদের নিজস্ব মুনাফা হয়, দুর্নীতি হয়, কমিশন পায়, কোটি কোটি টাকা বানাতে পারে। হাওর এলাকায় যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে সেগুলো এতো খারাপ যে বাঁধগুলো চব্বিশ ঘণ্টাও পানির চাপকে ধরে রাখতে পারে না। অর্থাৎ সেখানে পুকুর চুরি তারা করেছে এবং এটাই হচ্ছে সারাদেশে, হাওরেও তাই হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কৃষক ও কৃষি খাতের উন্নয়নে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বলি আর্থিকখাতে কৃষি আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যক্রমে কৃষিকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও পরবর্তীকালে বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামল ছাড়া খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি ও কার্যক্রম কেউ গ্রহণ করেনি।’

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, কৃষক দলের গৌতম চক্রবর্তী, জামাল উদ্দিন খান মিলন, এসএম ফয়সাল, ভিপি ইব্রাহিম, সৈয়দ অলিউল্লাহ সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকীসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৭৩ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
‘দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করলেও বিএনপি করে না’
ন্যায্য অধিকার আদায়ে শেরে বাংলার অবদান ভুলবার নয় : ফখরুল
ওলামা দলের নতুন কমিটিতে স্থান পেলেন যারা
X
Fresh