নতুন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ জাপার
নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) আওয়ামী লীগ সমর্থিত আমলা নির্ভর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) নতুন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়েও সন্দেহ আছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বনানী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলাসহ পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা।
মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেন, গতকাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে জাপা চেয়ারম্যান ও আমাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে। কিন্তু প্রতিক্রিয়াটা আমরা ব্যক্তিগতভাবে দিতে চাই না। আমরা মনে করি এটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত।
জাপা মহাসচিব বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে আজ দলীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি। আমাদের প্রতিক্রিয়া হলো- যে নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে সেটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি আমলা নির্ভর কমিশন। এ কমিশন নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের আগামী কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে যে তারা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করতে পারছে কি না। তখনই বোঝা যাবে এই কমিশনের নিরপেক্ষতা কতটুকু।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাপা নির্বাচনে যাবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে যাব কি না সেটির জন্য শুধু নির্বাচন কমিশনই বিষয় নয়।সেটির জন্য আরও দুই বছর বাকি। জাতীয় পার্টি এমনিতে একটি নির্বাচনমুখী দল। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব। অগ্রিম বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। জাতীয় পার্টি কি মনে করছে জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব বলেন, বিএনপি কী বলল সেটা আমাদের বিষয় না। কারণ, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেনি। জাতীয় পার্টি একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের প্রথম বলেছিল দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলেও সেটি নিরপেক্ষ হবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেসব প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী কাজ করবেন, তারা কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। না শুনলে কী হবে সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল কমিশনের বাইরের যেসব কর্মচারী নির্বাচনের সময় কাজ করবেন, তারা যদি কথা না শোনেন তাহলে নির্বাচন কমিশনই যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করা, সে আইনটি সরকার করেনি। যদি এই আইনটি করা হয়, তাহলে আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন তার সদিচ্ছা থাকলে কিছু করতে পারবে। না হলে বর্তমান নিয়মে সুষ্ঠু নির্বাচন দুরূহ বিষয় হবে।
মন্তব্য করুন