• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মেয়র জাহাঙ্গীরের রাজনৈতিক উত্থান যেভাবে

আরটিভি নিউজ

  ১৯ নভেম্বর ২০২১, ২০:১১
মেয়র, জাহাঙ্গীরের, রাজনৈতিক, উত্থান, যেভাবে,
ফাইল ছবি

মাত্র ৩৯ বছর বয়সে গাজীপুর সিটির মেয়র, তিনি জাহাঙ্গীর আলম। নিজ দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন তিনি। কিন্তু কীভাবে উঠে এসেছিলেন তিনি?

১৯৭৯ সালে ৭ মে গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়ে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাজীপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি গাজীপুর সদর ও টঙ্গী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন।

রাজনীতির বাইরে জাহাঙ্গীর আলম হলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন তিনি। সদ্য বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি অনারেবল টেক্সটাইল এন্ড কম্পোজিট লিমিটেড এবং জেড আলম অ্যাপারালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

গাজীপুরকে 'দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ' বলা হয়। প্রয়াত ময়েজউদ্দীন, রহমত আলী, আহসান উল্লাহ মাস্টার এবং এখনকার মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আজমত উল্লা খান, আখতারুজ্জামান—সবাই এ জেলার আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক পাহারা দিয়েছেন। প্রবীণ এই নেতাদের মধ্যে ডাক সাইটে উঠে আসেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি নিজের নিজস্ব বলয় গড়েন। ঝুটের ব্যবসা করে বিপুল অর্থের মালিক বনে যান জাহাঙ্গীর। তিনি নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন করে সমান্তরাল একটি শক্তি সৃষ্টি করেন। এরপর ক্রমশ গাজীপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন।

এর আগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

চার মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে কটূক্তি করেন। এমনকি রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থা নিয়েও নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি। জাহাঙ্গীর মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

এ ঘটনায় গাজীপুরে মেয়রের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল বের হয়। রাজনীতির অঙ্গনে জাহাঙ্গীরের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গাজীপুরের পরিস্থিতি শান্ত করতে আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নেয়।

গত ৩ অক্টেবর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করে আওয়ামী লীগ। এতে সই করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে জবাব দিতে বলা হয়। শোকজের জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান জাহাঙ্গীর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমা পালেন না তিনি।

এনএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
৭৩ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
টিপু-প্রীতি হত্যা: অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার
X
Fresh