• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এটাই তো বেশি : প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৮:১০
খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাই তো বেশি, প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে যে বাসায় থেকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছে, এটাই তো বেশি। যে আপনাকে হত্যা করতে চায়, তাকে আপনি কি ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসবেন। আমাকে মারতে অনেক চেষ্টা করেছে। এরপর খালেদার ওপর আমায় মায়া দেখাতে বলেন। আমার হাতে যেটুকু আছে, তার মাধ্যেমে তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলন এবং ফ্রান্সে দ্বিপক্ষীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। গণমাধ্যমকর্মীরা যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আইনের বাইরে গিয়ে সরকারের কিছুই করার নেই। তবে আমার হাতে যা ছিল, তা দিয়ে তাকে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। এখন এটা সম্পূর্ণ বিচার বিভাগের বিষয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিএনপি ইলেকশন নিয়ে প্রশ্ন করে কীভাবে। জিয়া হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে এসেছে। এরপর তার অন্য নির্বাচনগুলো কি নির্বাচন ছিল? ১৯৮১ সালে নির্বাচনে কী হয়েছিল, তা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলে? ইলেকশন কীভাবে করবে তারা। করতে হলে সাংগঠনিক শক্তি দরকার, তা তো তাদের নেই। তৃণমূলে এমনভাবে উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ, তাতে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। তারা গ্রেনেড হামলা, গুপ্তহত্যা ইত্যাদির মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। বিদেশ থেকে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের নেতারা।তারা ক্ষমতায় এসেছে অস্ত্রের মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত।

১৯৭৫ সালের পর সংঘটিত বিভিন্ন ক্যুতে সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান সরাসরি এগুলোতে জড়িত ছিলেন। তার নির্দেশে প্রহসনের বিচারের জন্য সামরিক আদালত বসানো হয়েছিল। কত মানুষ মারা গিয়েছিলেন তার প্রকৃত সংখ্যা বের করা যায়নি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর ভোররাতে বিমানবাহিনীতে সংঘটিত বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করা হয়েছিল। তখন সামরিক আদালতে ফাঁসি দেওয়া হয় ১১ জন অফিসারসহ এক হাজার ৪৫০ বিমান সেনাকে। বরখাস্ত ও চাকরিচ্যুত হন আরও চার হাজার সেনা। নিখোঁজ হন অসংখ্য। সামরিক আদালতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় আমার ফুফাত ভাই ফিরোজ কবির চৌধুরী, যিনি ক্যামেরাম্যান ছিলেন, তাকেও হত্যা করা হয়। তাদের হত্যা করে বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। জেলখানায় যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাদের হয়তো খোঁজ পাব। কিন্তু কত জনকে যে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হয়েছে, জানি না। তবে আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজ নেব। স্বজন হারানো অসহায়দের অবস্থা আমি জানি। আমিও তো আপনজন হারিয়েছি। ওই সময় নিহত অনেকের পরিবারের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এমএন/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
মৃত্যুর দু’বছর পর দেশে ফিরছে ২ প্রবাসীর মরদেহ
থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
X
Fresh