• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo

২০৬ ইউপিতে আ.লীগের ভরাডুবি বিদ্রোহীর কাছে

আরটিভি নিউজ

  ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১৩:১৫
২০৬, ইউপিতে, আ. লীগের, ভরাডুবি, বিদ্রোহীর, কাছে,
ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় ধাপে ২০৬ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। পাশাপাশি ৬৪টি ইউনিয়নে বিএনপির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের এমন ফলাফল প্রশ্নের মুখে ফেলেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নকে।

৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের স্থগিত হওয়া ইউপিগুলো বাদ দিয়ে ৭৪৫টি ইউপির ভোটের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৪১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এবং দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ২০৬টি ইউনিয়নে।

এছাড়া ৬৪টি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে জিতেছেন। আর ৬৪টি ইউপিতে জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন।

মাদারীপুরের কালকিনি ও ডাসার উপজেলার ১৩টিতে ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র চারটি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি নয়টি ইউনিয়নের আটটিতেই জয় পেয়েছেন বিদ্রোহীরা। একটিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ছয়টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ছয়টির তিনটিতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বাকি তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৬টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হলেও ৮টিতেই হেরেছেন। এছাড়া নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নের ৮টিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হেরেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে। বাকি তিন ইউপিতে জিতেছেন বিএনপির স্থানীয় তিন নেতা।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও ধোবাউড়া উপজেলার ২০টি ইউনিয়নেও পাঁচটিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বাকি ১৫টি ইউনিয়নের ১৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। দুই উপজেলার কুশমাইল ও বাঘবেড় ইউপির ফলাফল স্থগিত রয়েছে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাতটি ইউপির মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এবং বাকিগুলোর মধ্যে দুটিতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা এবং তিনটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১০টিতেই হেরেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। পাঁচটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, দুটিতে দুই বিএনপি নেতা, দুটিতে স্বতন্ত্র এবং বাকি একটি বিজয়ী হয়েছেন জামায়াত–সমর্থিত প্রার্থী।

একইভাবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মাত্র ১০টিতে হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এর মধ্যে ৪টিতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে হারার কারণ হিসেবে মনোনয়ন-বাণিজ্যের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

এনএইচ/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে আ.লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ
আ.লীগের বৈঠক : মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ভোট করার বিষয়ে যা জানা গেল
‌‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়নি’
আ.লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার
X
Fresh