• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

হেফাজতিরা তালেবানের অনুসারী: মেনন

আরটিভি নিউজ

  ১৪ জুন ২০২১, ১৭:০৯
রাশেদ খান মেনন

হেফাজতে ইসলামের নেতারা কেউ দেওবন্দের অনুসারী নয়, তাদের সবাই তালেবানের অনুসারী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। হেফাজত দেওবন্দের অনুসারী প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই বক্তব্য খণ্ডন করে মেনন এ কথা জানান।

সোমবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মেনন বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা হেফাজতের তাণ্ডব দেখেছি। এই তাণ্ডবের সঙ্গে বিএনপি জড়িত ছিল সেটা বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। বিএনপির মহাসচিব হেফাজতের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, হেফাজত তাণ্ডব করেনি, করেছে সরকার। কওমি মাদরাসার সনদকে যখন মূল ধারার স্বীকৃতি দেয়া হলো তখন আমি বলেছিলাম আমরা ভুল করলাম কিনা ভেবে দেখা দরকার। তখন বিরোধী দল জাতীয় পার্র্টির একজন সদস্য বলেছিলেন, আমি ‘ধান ভানতে শিবের গীত গেয়েছি’। প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, হেফাজতের নেতারা দেওবন্দের অনুসারী। কিন্তু আসলে হেফাজত নেতা বাবুনগরী পাকিস্তানের এক মাদরাসায় পড়াশুনা করেছেন। তাই বাস্তবে হেফাজতের সবাই তালেবানের অনুসারী।

রাশেদ খান মেনন মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনারে নারী কর্মকর্তাদের বাদ দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় কমিটি দেখলাম মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনারে নারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার কথা বলেছে। যে নারীরা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করলো, জীবন দিল এই প্রস্তাব করে তাদের অবমাননা করা হলো। এ ক্ষেত্রে যারা ধর্মীয় ফতোয়া দিয়েছেন এই ধর্মীয় ফতোয়া দেওয়ার অধিকার তাদের নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত যেন না নেওয়া হয় সে বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি । এটা করা হলে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করা হবে বলেও তিনি জানান।

মেনন বলেন, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যখাতে গত এক বছরে নানাবিধ দুর্নীতি প্রকাশ পেয়েছে। কোভিডে মানুষের জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ আমলাতান্ত্রিক কারণে ব্যাহত হচ্ছে। পিপিই, মাস্ক নিয়ে দুর্নীতি আমরা দেখেছি। সাহেদ ও সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু যারা ছবি তুলে চুক্তি করলো তাদের কিছুই হয়নি। করোনার ভ্যাকসিন আমদানি করতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে সরকারি ক্রয় নীতি ভঙ্গ করা হয়েছে। এর ফলে পরিণতি কি হয়েছে সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আগামী মাসে দেশে টিকা আসবে এই নিশ্চয়তা নেই। বাজেটে টিকার কোনো রোড ম্যাপ দেওয়া হয়নি। যে গরিব মানুষকে দুই বার ২ হাজার ৫০০ টাকা করে দেওযা হয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশ সঠিক হাতে যায়নি। করোনাকালে কীভাবে অভিজাত শ্রেণি সৃষ্টি হয়েছে আমরা তা দেখেছি। বাজেটে সামাজিক খাতে বরাদ্দের মূল টাকা চলে যাচ্ছে পেনশন স্কিমে।

এমএন/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শুধু বড়লোকেরাই নয়, দিনমজুররাও ফ্ল্যাটে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবাজার মার্কেটসহ ৪ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আজ ডিএসসিসির ৪ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন
শনিবার দক্ষিণ সিটির ৪ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী  
X
Fresh