করোনায় আক্রান্ত নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, গতকাল প্রতিমন্ত্রীর করোনা শনাক্তের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি বর্তমানে নিজ বাসভবনে আইসোলেশনে আছেন।
উল্লেখ্য, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি দিনাজপুর-২ (বোচাগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন
পি
মন্তব্য করুন
‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়নি’
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে গণভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করলে সময় মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর হীরক জয়ন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্ম দিবস, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আ.লীগের বৈঠক : মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের ভোট করার বিষয়ে যা জানা গেল
উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। অভিযুক্ত মন্ত্রী এবং দলীয় এমপিকে শোকজ করা হতে পারে। সাংগঠনিক শাস্তির পাশাপাশি কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলে এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হলেও মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বৈঠকের শুরু থেকে আমি ছিলাম না। আমি থাকা অবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের প্রার্থিতা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সাংগঠনিক নানা বিষয়ে এবং বিভিন্ন দিবসকেন্দ্রিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিন সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করলে সময়মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর হীরক জয়ন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্ম দিবস, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি তোলেননি। সাংগঠনিক বিষয় পরবর্তী বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানান। ফলে দলের অন্য নেতারা আর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
প্রসঙ্গত, দেশে এখন ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এবার চার ধাপে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টিতে ভোট হবে, পরে মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বাকিগুলোয় ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ মে থেকে প্রথম পর্যায়ের ভোট শুরু হবে।
‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বেগম জিয়াকে কর্মক্ষম করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসার পর ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ, কর্মক্ষম হয়ে চলার জন্য যে চিকিৎসা প্রয়োজন, সেটি দেশে দেওয়া যাচ্ছে না। বারবার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু কোনো আবেদনই ফলপ্রসূ হয়নি। তার লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশন অথবা আর্টিফিসিয়াল, লিভার রিপ্লেসমেন্টের জন্য যে ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং চিকিৎসা প্রয়োজন তার কোনোটাই এ দেশে তো নেই। আশপাশে অনেক জায়গায় নেই।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আমরা আবেদন করছি, যে উনি ম্যাডাম নিজেও বলেছেন উনার জন্য দোয়া কামনা করেছেন সুস্থতার জন্য, আপনারা কষ্ট করেছেন সেজন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে জানান ডা এজেডএম জাহিদ হোসেন।
এর আগে, বুধবার (১ মে) জরুরি কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
একদিন হাসপাতালে থাকার পর আজ রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়।
মামুনুল হকের মুক্তির খবরে কারা ফটকে সমর্থকদের ভিড়
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির খবরে কারা ফটকে ভিড় করেছেন তার সমর্থক ও নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন, এমন খবরে তারা কারা ফটকে ভিড় করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা। তবে তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তি পাচ্ছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছেন, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘ দিন যাবত বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়।
তিনি আরও বলেন, অনেকগুলো মামলা থাকায় তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তবে আজ (বৃহস্পতিবার রাতে) মুক্তি পেতে পারেন কিনা বা কখন মুক্তি পাবেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি কারা কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।
১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।
এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারেই রয়েছেন এই হেফাজত নেতা।
কখন মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক, যা জানাল কারা কর্তৃপক্ষ
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করেন শত শত কর্মী-সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে তারা ভিড় করতে শুরু করেন।
এ বিষয় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন যাবত বন্দী হিসেবে আছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৭টি মামলা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে এসব মামলার মধ্যে ৩৬ টিতে আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন। সর্বশেষ মামলায় তিনি বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছে।
সিনিয়র এই জেল সুপার জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা থাকায় সব মামলার জামিনের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। রাত হয়ে যাওয়ায়, ঢাকা থেকে এসব মামলার কাগজপত্র যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তাই তার আজকে (বৃহস্পতিবার) মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সিনিয়র এই জেল সুপার আরও জানান, শুক্রবার সরকারি ছুটি। সকালে জামিনের কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যোগাযোগ করা হবে। সেখান থেকে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হলে পরে তিনি যেকোনো সময় মুক্তি পেতে পারেন। তবে তিনি কখন মুক্তি পাচ্ছেন, সেটি আগে বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তিনি কারাগারে আছেন।
মন্ত্রী-এমপিদের হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রভাবিত না করে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে কাজ করতে মন্ত্রী ও দলীয় এমপিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে যারা এ নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের শাস্তি পেতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের নেতা-কর্মীদের যথাযথ সম্মান ও জায়গা করে দিতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, শুধুমাত্র সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য লড়বে এটা মোটেই ভালো দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবে না, সবার সমান সুযোগ পাওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ পরিবারকে আরও বড় করতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর দেশে সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে গত ৭ জানুয়ারি। উপজেলা নির্বাচনেও এমন ভোট চাই।
প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে মাঠ প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। সূত্র : বাসস
মামুনুল হক কারামুক্ত
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মুক্তি পান।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।
গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন বলে তখন জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।