আরব আমিরাতের রমজান সংস্কৃতি
‘রমজান দেশে দেশে’র আজকের আয়োজনে থাকছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথা।
আরব বিশ্বের ইউরোপ হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখানে রমজানের চাঁদ দেখার পর একে অন্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু হয় রোজা। আর ইফতার ও সেহরি শুরু হয় কামান দাগিয়ে।
একইদিনে রমজান শুরু হলেও আলাদা সময়ে সেহরি ও ইফতার করেন দেশটির শিয়া ও সুন্নিরা। ইফতারে থাকে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রভাব।
সুন্নত মেনে খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙেন আমিরাতবাসীরা। ইফতারের প্রধান মেন্যুতে থাকে ঐতিহ্যবাহী থারিদ, বিরিয়ানি, কাতায়েফ, সালাদ, ইতালিয়ান পাস্তা, ফল। তবে নবীজীর প্রিয় অ্যারাবিয়ান ডিশ-রুটিতে ছড়ানো মাংসের ‘হারিস’, তাদের ভীষণ পছন্দ।
মহিমান্বিত এ মাসে রোজাদারদের প্রতি দেশটির জনগণের আতিথেয়তা সবাইকে মুগ্ধ করে। হাজার বছরের আরব আতিথেয়তার গুণটি এখনো ধরে রাখার প্রয়াস চালাচ্ছেন পুরোদমে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পাড়া-মহল্লা বা বড় বড় মসজিদের পাশে তাবু-প্যান্ডেল টানিয়ে ইফতার আয়োজনের পাশাপাশি রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ইফতার দেয়াও আমিরাতের ঐতিহ্য।
রোজা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় দেশটির চালচিত্র। বন্ধ থাকে নাইট ক্লাব, বার। প্রকাশ্যে পানাহার ও ধূমপান, দণ্ডনীয় অপরাধ। বছরজুড়ে সড়কগুলো পরিচ্ছন্ন থাকলেও, এ সময়ে হয় আরো ঝকঝকে। জাঁকালো আলোকসজ্জায় সাজে উপসাগরীয় দেশটি।
নির্বিঘ্নে ইবাদতের জন্য পরিবর্তন আসে অফিসের সময়সূচিতেও। রমজানে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম নামে অর্ধেকে। থাকে বিভিন্ন ভোজ্যপণ্যে ছাড়।
রমজানে আন্তর্জাতিকভাবে আয়োজন করা হয় কোরআন প্রতিযোগিতা।
আরকে/ এমকে
মন্তব্য করুন