• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা (ভিডিও)

জুলহাস কবীর, আরটিভি নিউজ

  ০৪ আগস্ট ২০২১, ২৩:১৩
করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা (ভিডিও)

করোনা সংক্রমণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের চিকিৎসার অন্যতম অনুষঙ্গ এটি।

বর্তমানে আমদানি করেও প্রতিদিন ঘাটতি থাকছে ৩৫ টন। সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা মাথায় রেখে দ্রুত দেশে উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। অক্সিজেন সঙ্কটে গত ৩০ জুন সাতক্ষীরা জেনারেল হাসপাতালে ৬ জন রোগীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শুধু সাতক্ষীরা নয়, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় জেলা পর্যায়ে অক্সিজেন সঙ্কটের এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

বড় শহরগুলোতেও চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কোভিড হাসপাতালে আনা প্রতিটি রোগীর মুখেই অক্সিজেন। তথ্য বলছে, বর্তমানে দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ২৪৫ টন। দেশে মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা ১৩৫ টন। ফলে ঘাটতি থাকে ১১০ টন। ক্ষতি পূরণে ভারত থেকে ৯৫ টন অক্সিজেন আমদানি করা হয়। নানা কারণে অপচয় হয় ১০ শতাংশ বা প্রায় ২৫ টন। সবমিলে প্রতিদিন ঘাটতি দাঁড়ায় ৩৫ টন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী আরটিভি নিউজকে বলেন, সিলিন্ডার থেকে শুরু করে সিপ্যাপ, বাইপ্যাপ এবং অন্যান্য যে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা- এই পদ্ধতিগুলোকে সুন্দরভাবে পরিকল্পনায় আনতে হবে। পরিকল্পনায় এনে বিশেষ করে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালগুলোয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণে নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি অপচয় রোধে পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।

তিনি আরও বলেন, সিপ্যাপ কিংবা বাইপ্যাপ, এবং অনেকগুলোই ছিলো যা তুলনামূলক-ভাবে সহজ পদ্ধতি। সেই সহজ পদ্ধতিগুলো কেন এক বছর বা দেড় বছরে আরও ব্যাপকহারে তৈরি করা যায়নি; এটির কিন্তু ব্যাখ্যা নেই। এখন এই যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ, এটিও কিন্তু আরও পরিমাণে বাড়াতে হতো। কারণ সিপ্যাপ ঠিকমত চালাতে গেলে, অন্যান্য সরবরাহগুলো ঠিকমত থাকলে অক্সিজেনের প্রয়োজন অনেক ক্ষেত্রে মেটানো সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমীনের দাবি, প্রতিদিন যে হারে চাহিদা বাড়ছে তা সামাল দেয়ার মতো অক্সিজেন দেশে রয়েছে। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, সমস্ত হাসপাতালগুলোয় অন্তত অক্সিজেন যেন পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করা। যেসব স্থানগুলোয় কেন্দ্রীয় করা হয়েছে তা ভালো। আর যেসব স্থানে কেন্দ্রীয়তে তরল অক্সিজেন দেয়া যায়নি, সেসব জায়গায় বিভিন্ন অক্সিজেন সিলিন্ডার দেই। যাতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ও সিলিন্ডার দুটোই দেয়া যায়। অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়াতে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এসআর /এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • করোনাভাইরাস এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, চলতি বছরে ২৪
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬
X
Fresh