করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত ৭৬৯৩ আইসোলেশন শয্যা
করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭ হাজার ৬৯৩টি আইসোলেশন শয্যা ও ১১২টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় ও জেলা শহরে আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিন উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৬৭ হাজার ১১৭। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৩২ জনকে। এখন পর্যন্ত মোট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ৩৩১। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৮ এবং সর্বশেষ মোট সংখ্যা ৬৭ হাজার ৪৪৮ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন। কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তাদের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৫২ জন। সবমিলিয়ে ৫৭ হাজার ১৩২ জন কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ঢাকা মহানগরীতে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০টি। ঢাকা মহানগরীর বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার হাসপাতালে ৬ হাজার ১৪৩টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। সারাদেশে সর্বমোট আইসোলেশন বেডের সংখ্যা সাত হাজার ৬৯৩টি। এছাড়া আইসিইউ শয্যা সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১১২ এবং ডায়ালাইসিস বেডের সংখ্যা ৪০টি। আইসিইউ শয্যার সংখ্যা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ইনশাল্লাহ দ্রুত সময়ের মধ্যে মোটামুটি একটা গ্রহণযোগ্য সংখ্যায় আইসিইউ শয্যার সংখ্যা দাঁড়াবে।
‘ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৫৫০টি আইসোলেশন শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউ বেড রয়েছে ৭৯টি। ঢাকা মহানগরীর বাইরে ঢাকা বিভাগে রয়েছে ৬৯৭ আইসোলেশন বেড, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৪৮টি, ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ৩০টি ও ২৬টি আইসিইউ শয্যা, বরিশালে ৫৪৫ আইসোলেশন শয্যা, সিলেটে ৩৪৬টি আইসোলেশন ও দুটি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। রাজশাহীতে ১২শ আইসোলেশন শয্যা থাকলেও আইসিইউ শয্যা নেই। সেখানে আইসিইউ স্থাপনের কাজ চলছে। খুলনাতে রয়েছে ৬৯০টি আইসোলেশন শয্যা ও আইসিইউ বেড সংখ্যা ৫, রংপুরে আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা ৭৮৭টি।’
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪১ জন। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৪ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।
পি
মন্তব্য করুন