• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মিছিল
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধ কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি হটকারি সিদ্ধান্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ভাসমান মানুষদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি হটকারি সিদ্ধান্ত ছিল। একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সেখানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার হটকারি সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, দেশের সব গণতান্ত্রিক অর্জনে ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। তাই শুধু বুয়েট নয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি করতে ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আদালতের রায় এসেছে। ছাত্রলীগকে বলব সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি হয়, হিংসার রাজনীতি না হয়। পড়াশোনার কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু রাজনীতির ব্যাঙ বের হয়েছে। ছাত্রলীগকে বলব, তাদের থেকে সাবধান থাকতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা মেট্রোরেলের বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের টিকিট কেটে মেট্রোরেলে ঘোরানোর অনুরোধ করছি ছাত্রলীগকে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। আর এই সুযোগে সেখানে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা অনুপ্রবেশ করে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠে।  সবশেষ গত সপ্তাহে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এর ফলে পাঁচ বছর পর বুয়েটে আবার ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি হয়।
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির দাবিতে রোববার ছাত্রলীগের সমাবেশ
ঢাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
ছাত্রলীগ নেতাকে সালাম না দেওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
নতুন শিক্ষাক্রমের বিকল্প নেই: শিক্ষামন্ত্রী
ঢাবি ছাত্রলীগে পদত্যাগের হিড়িক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা মন্তব্য ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। হামলার ঘটনাকে ‘নৃশংস’ উল্লেখ করে পদত্যাগ করা শুরু করেছেন সংগঠনটির নেতারা।  বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের অন্তত ১৮ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর রোববার (১৪ জুলাই) রাতেই পদত্যাগ করেন। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত এই ১৮ জনের পদত্যাগের ঘোষণা কথা জানা যায়। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে জানান শিক্ষার্থীরা। পদত্যাগকারী শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, যেই ছাত্র সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়, নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা করে, তারা সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ নয়। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা অনুচিত। সদ্য পদত্যাগ করা নেতারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সহ সভাপতি জান্নাতুল মাওয়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসিবুল হাসান হাসিব, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের অর্থ সম্পাদক জুয়েনা আলম মুন, আইন সম্পাদক সিরাজাম মনিরা তিশা, প্রচার সম্পাদক আমরিন জান্নাত তাইরু এবং নাট্য ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুন্নিসা মিম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম হৃদয়, বিজ্ঞান উপসম্পাদক জেবা সায়ীমা, সার্জেন্ট জহরুল হক হল ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ওয়াসিক, শামসুন নাহার হল ছাত্রলীগের উপপাঠাগার সম্পাদক ইসরাত জাহান সুমনা, বিজয় একাত্তর হল শাখার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপসম্পাদক শাহ সাকিব সাদমান প্রান্ত, জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগের মো. রাফিউল ইসলাম রাফি, কার্যনির্বাহী সদস্য মেহেদী হাসান। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পর রোববার রাতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া নেতারা হলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখার গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন সম্পাদক মাছুম শাহরিয়ার, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখার মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণাবিষয়ক উপসম্পাদক রাতুল আহামেদ ওরফে শ্রাবণ, কলাভবন ছাত্রলীগের ১নং সহসম্পাদক মো. মুহাইমিনুল ইসলাম, আইন অনুষদ শাখার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আশিকুর রহমান ওরফে জিম এবং রাসেল হোসেন। বিজয় একাত্তর হলের সহসভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করা শিপন মাহমুদ ফেসবুকে লিখেছেন, আমি চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান করছি। ন্যায়ের পক্ষে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শোকজ খাওয়া এবং মুচলেকার মুখে পড়া ছাত্র আমি। আমি আজীবন নজরুল। প্রতিবাদ আমার রক্তে। আমি আজন্ম প্রতিবাদী পুরুষ। আমি মো. শিপন মিয়া, সহসভাপতি, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। চলমান যৌক্তিক ছাত্র আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রদান করে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিজয় একাত্তর হল-এর সহসভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। অন্যায় আর শিপন এক লাইনে থাকে না। রোকেয়া হলের সহসভাপতি জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল সহ সভাপতি পদ থেকে মুক্তি নিলাম, পদত্যাগ ঘোষণা করেছি, যেহেতু রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছেন, রাজাকার হয়েই থাকতে চাই। হাসিবুল হাসান হাসিব বলেন, ছাত্রলীগের সাথে আমার পূর্বের সব সম্পর্ক ত্যাগ করলাম, আমার ছোটভাই বন্ধুদের অনেককে নির্মমভাবে পেটানো হইছে। ঘৃণা হচ্ছে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে এতদিন কাজ করায়। বিদায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর করা বক্তব্যের প্রতিবাদে রোববার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভিন্ন হল থেকে  শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে কোটা সংস্কারের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে গতকাল সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচির একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত তিন শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। প্রসঙ্গত, রোববার (১৪ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? এই বক্তব্যের প্রতিবাদেই সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হন।
বুয়েট ইস্যুতে দেশব্যাপী মানববন্ধনের ঘোষণা ছাত্রলীগের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি ফিরিয়ে আনতে দেশব্যাপী মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।   রোববার (৩১ মার্চ) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দেওয়া, বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করা, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাধাদানকারী বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিচারের আওতায় আনা এবং বুয়েটসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী তৎপরতার মূলোৎপাটন করার দাবিতে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মাদরাসায় মানববন্ধন আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ। বুয়েটকে ‘সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া’ মুক্ত করে ছাত্র রাজনীতিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অবস্থান ও কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করবে।  
কোটা আন্দোলনে এখন যারা রয়েছে, তারা রাজাকারের প্রেতাত্মা: সাদ্দাম
কোটা আন্দোলন এখন আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে নেই, এখানে যারা রয়েছে তারা রাজাকারের প্রেতাত্মা বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাদ্দাম হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আর কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী নেই। কোটা ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনকারী নেই। এখন যারা রয়েছেন, তারা রাজাকারদের প্রেতাত্মা। এরা কোটা সমস্যার সমাধান চায় না। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি করে রাজাকারের রাজনীতি পুনর্বাসন করতে চায়। তাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান করছি। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানানো হয়েছে, তাদের কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় সোমবারের ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে জানতে হবে। যারা আক্রান্ত হয়েছে উল্টো তাদের হামলাকারী বানানো হয়েছে। আসলে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরাই প্রথমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হলে নেতাকর্মীরা অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু যেখানে যাকে যেভাবে পেয়েছে আক্রমণ চালিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা। হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। এরপরও ছাত্রলীগ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য বিকৃতকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। আর যারা আমাকে রাজাকার বলছেন তাদের উদ্দেশ্য করে একটি কথা বলতে চাই, সবকিছুর জবাব দেওয়া হবে। প্রতিটি ঘটনার জবাব দেওয়া হবে।