• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
এইচএসসির আরও চার পরীক্ষা স্থগিত
পিএসসির সব পরীক্ষা ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত
৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষাসহ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সব পরীক্ষা আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। গত সোমবার (২২ জুলাই) পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩১ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় ৪৪তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিক বিভাগীয় পরীক্ষা (জুন-২০২৪), নন-ক্যাডারের স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিচুড টেস্ট, এমসিকিউ বা বাছাই পরীক্ষা, ব্যবহারিক বা সাঁটলিপি পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষাসহ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সব পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরে পিএসসির ওয়েবসাইট এবং গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানানো হবে।    
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন / লিখিত পরীক্ষা দেননি ১ লাখ ৩১ হাজার প্রার্থী
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শুরু, প্রশ্নফাঁসে ব্যবস্থা নেবে এনটিআরসিএ
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল এনটিআরসিএ
এইচএসসির স্থগিত চার বিষয়ের নতুন রুটিন দিলো সিলেট বোর্ড
রাত পোহালেই এইচএসসি পরীক্ষা
রাত পোহালেই দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রোববার (৩০ জুন) শুরু হতে যাওয়া এ পরীক্ষা ঘিরে ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সব প্রস্তুতি। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এবং নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা আয়োজনে প্রস্তুত মোট ২ হাজার ৭২৫ কেন্দ্র ও ৯ হাজার ৪৬৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।   এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি(ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন।  ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১ হাজার ৫৬৬ কেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আলিম পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২ টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৫টি। এছাড়া এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন এবং ছাত্রী ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৯০৮টি। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ হাজার ৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪ টি এবং মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি। পরীক্ষা সুচারুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিখে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএস এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি; যেমন-পরীক্ষার্থী, কক্ষ পর্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশেষ ব্যবস্থায় উল্লেখ করা হয়েছে, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০  মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সূচি অনুযায়ী, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। এরপর ১২ আগস্ট থেকে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা, শেষ হবে ২১ আগস্ট। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষাও একই দিন শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষাও ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। আর কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামীকাল শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। এই বোর্ডের ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৯ জুলাই, শেষ হবে ৪ আগস্ট। এছাড়া বিদেশে এবার মোট ২৮১ টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জেদ্দায় ৪৭টি, রিয়াদে ৪৩টি, ত্রিপলীতে ২টি, দোহায় ৬৩টি, আবুধাবিতে ৪৪টি, দুবাইয়ে ২২টি, বাহরাইনে ৩৪টি ও সাহাম ওমানে ২৬টি কেন্দ্র রাখা হয়েছে।  
সিলেট বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। প্লাবনে তলিয়ে গেছে বিভাগের সবকটি জেলার বেশিরভাগ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বিভাগের প্রায় ১৬ লাখ বাসিন্দা। এ অবস্থায় বিভাগটিতে আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতেও নেই শিক্ষার্থীরা। সার্বিক দিক বিবেচনায় ৮ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি হবে। শিক্ষা বোর্ডের প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, আগামী ৩০ জুন থেকে দেশব্যাপী একযোগে এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। এদিন বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। অন্যদিকে কুরআন মাজিদ পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে আলিম পরীক্ষা। আর কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসির (বিএম/বিএমটি) বাংলা-২ বিষয়ের পরীক্ষা হবে। ৮ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় সিলেট বোর্ডে এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা আপাতত হবে না। পরবর্তী সময়ে এ চারটি বিষয়ের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি জানিয়ে দেবে শিক্ষা বোর্ড। চলতি বছর সিলেট বোর্ডে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ৮২ হাজার ৪১৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। 
এইচএসসি শুরু রোববার, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা আগামী রোববার (৩০ জুন) শুরু হবে। এবার ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা দিবেন। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা ২ হাজার ৭২৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ৯ হাজার ৪৬৩টি। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১,৪৪৮ জন।  এদিকে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্নের লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়–   এর মধ্যে রয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।   পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন অথবা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না; শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন: পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক (ইনভিজিলেটর), মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। এ ছাড়া বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতিলেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রালপালসি) পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে বিজ্ঞপ্তি
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে গতকালই শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়—ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া, পরীক্ষা ৩০ জুনই অনুষ্ঠিত হবে।  এ নিয়ে আজ শনিবার (১ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা থেকেও এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পরীক্ষা যথাসময়েই হবে। অর্থাৎ ৩০ জুনই এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।   শনিবার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শাখা কর্তৃক ইস্যু করা নয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সময়সূচি অনুসারে আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। পূর্বঘোষিত পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবুল বাসারও। উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়।‌ সূচি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ জুন শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। রুটিন অনুযায়ী, প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তি ভুয়া
চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (৩১ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, পরীক্ষা আগের রুটিন অনুযায়ীই হবে। পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ভুয়া বিজ্ঞপ্তিতে কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন, সেজন্য পরামর্শ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। স্মারক নং: ঢাবো/পানি/৪০৪ সম্বলিত বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, আগাম ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও দুই দফা ছাত্রছাত্রীদের দেশব্যাপী আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে, আগামী ৩০ জুন অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৩০ জুলাই বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, শিগগিরই ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশিত হবে। বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর বিষয়টিকে ভুয়া বলে জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এসএসসি পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ যেদিন
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ১১ জুন।  বৃহস্পতিবার (৩০ মে) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, তাদের একাদশ শ্রেণিতে আবেদন করতে হবে। সেদিকে নজর রেখে নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশের পরিকল্পনা করেছি আমরা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই আগামী ১১ জুন সব শিক্ষা বোর্ড একযোগে পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করবে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে তাকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বা উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলো। এবার ফল প্রকাশের পরদিন অর্থাৎ ১৩ মে থেকে পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু হয়, যা চলে ১৯ মে পর্যন্ত।  
রেমালের কারণে স্থগিত কারিগরির দুই পরীক্ষা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মঙ্গলবারের (২৮ মে) দুটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।  সোমবার (২৭ মে) কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কেপায়েত উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলমান ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিপ্লোমা-ইন-ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি শিক্ষাক্রমের ২৮ মে তারিখে অনুষ্ঠিতব্য সব পরীক্ষা ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী পরীক্ষাগুলো যথারীতি চলমান থাকবে। স্থগিত করা পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অবহিত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এ বিজ্ঞপ্তিতে। প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার (২৭ মে) রাত ৮টার দিকে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়।