• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
পলিশের রাবার বুলেটে জাবি শিক্ষক আহত
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি শুরু বুধবার
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় ধাপে ভর্তি শুরু হবে বুধবার (২৬ জুন)।  গুচ্ছ ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া ২৬-২৮ জুনের মধ্যে জিএসটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। একই সময়ে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়াও শেষ করতে হবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের। প্রাথমিক ভর্তি ও ফি পরিশোধের কার্যক্রম চলবে ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে ২৮ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত। মূল কাগজপত্র জমা দিতে হবে ২৭ জুন সকাল ১০টা থেকে ২৮ জুন বিকেল ৩টার মধ্যে। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র আবেদনকারীর প্রাথমিক ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। এর আগে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকলে জিএসটির অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বয়ংক্রিয় মাইগ্রেশন হলেও শিক্ষার্থীর করণীয় কিছু নেই। মূল কাগজপত্র প্রাথমিক ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়েই জমা থাকবে। এদিকে সব ধরনের ‘মাইগ্রেশন স্টপ’ ২৮ জুন বিকেল ৩টার মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ভর্তিচ্ছুদের যা জানা জরুরি পছন্দক্রমে অন্তর্ভুক্ত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রাথমিক ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পরও শিক্ষার্থী প্রাথমিক ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে পরবর্তী সময় জিএসটির (গুচ্ছ) কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে না, এমনকি কোটায় ভর্তির জন্যও বিবেচিত হবে না। প্রাথমিক ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা অনলাইনে পরিশোধের পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল কাগজপত্র জমা দিতে না পারলে ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে এবং জিএসটির কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে না। কোনো আবেদনকারী প্রাথমিক ভর্তি বাতিল করলে পরবর্তী সময় জিএসটির কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ থাকবে না। আবেদনকারীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর (পছন্দক্রমে অন্তর্ভুক্ত) মাইগ্রেশনের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে।  
একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা বাড়ল
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: ১০ দিনে আবেদন ১২ লাখ
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: ৭ দিনে যত আবেদন
একাদশে ভর্তি আবেদন শুরুর তারিখ জানা গেল
একাদশে ভর্তি: জেনে নিন কোন কলেজে কত ভর্তি ফি
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল গত ১২ মে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হবে। এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বছর শিক্ষার্থীদের ভর্তির অনলাইন আবেদন শুরু হবে ২৬ মে থেকে; যা ১১ জুন পর্যন্ত চলবে। আর আগামী ৩০ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে। বুধবার (১৫ মে) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং নন-এমপিও বাংলা ভার্সন স্কুল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং নন-এমপিও ইংরেজি ভার্সন স্কুল সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।  অন্যদিকে, মহানগরের বাইরের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা, নন-এমপিও বাংলা ভার্সন স্কুল ভর্তি ফি হিসাবে ৫ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সন স্কুল ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারে। জেলা সদর ও উপজেলার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ২ হাজার ও ১ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হয় না। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। যা গত বছরের পাসের তুলনায় দুই দশমিক ছয়-পাঁচ শতাংশ বেশি।
নীতিমালা প্রকাশ, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল গত ১২ মে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হবে। এ বছর শিক্ষার্থীদের ভর্তির অনলাইন আবেদন শুরু হবে ২৬ মে থেকে। যা ১১ জুন পর্যন্ত চলবে। এরই মধ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা. রেবেকা সুলতানার সই করা প্রজ্ঞাপনে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, পূর্ববর্তী ৩ (তিন) বছরে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এ ছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা তার সনদের মান নির্ধারণের পর উপনীতি (২.১)-এর অধীন ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। গ্রুপ নির্বাচন বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন।  মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা শুধু এই দুই গ্রুপের মধ্য থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। যেকোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যে কোনোটি।  মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনোটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান গ্রুপ ছাড়া যে কোনোটি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।   ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে আগামী ২৬ মে থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না।  একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির ব্যবস্থা নেবে। ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী, চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশকে মেধা কোটা হিসেবে রাখা হবে, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ঢাকা মহানগরের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং নন-এমপিও বাংলা ভার্সন স্কুল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং নন-এমপিও ইংরেজি ভার্সন স্কুল সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। অন্যদিকে, মহানগরের বাইরের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা, নন-এমপিও বাংলা ভার্সন স্কুল ভর্তি ফি হিসাবে ৫ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সন স্কুল ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারে। জেলা সদর ও উপজেলার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ২ হাজার ও ১ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। যা গত বছরের পাসের তুলনায় দুই দশমিক ছয়-পাঁচ শতাংশ বেশি।
গুচ্ছের ‌‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বসছে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আজ বসছে ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী।  শুক্রবার (১০ মে) বেলা ১১টায় একযোগে সারাদেশের ২২টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘সি’ ইউনিট  বা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩ হাজার ৬২৯টি আসনের পরিবর্তে মোট আবেদন করেছেন ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী। এ হিসাবে আসন প্রতি লড়াই করবেন ১১ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী। গুচ্ছের ভর্তি কমিটি বলেছেন, পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্র প্রবেশ করতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার হলে কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। এ বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩ হাজার ৬২৯টি আসনের পরিবর্তে মোট আবেদন করেছেন ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী। এ হিসাবে আসন প্রতি লড়াই করবেন ১১ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী। আজ শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরীক্ষার্থীদের এক ঘণ্টা আগে সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করার জন্য বলা হয়েছে।’
নটর ডেমে একাদশে ভর্তিতে লাগবে যেসব যোগ্যতা
রাজধানীর নটর ডেম কলেজ চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ করেছে। দেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষেও নিজস্ব প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। মঙ্গলবার (১৪ মে) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিসংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের তারিখ ঘোষণার পর ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও নটর ডেম কলেজ নিজস্ব প্রক্রিয়ায় অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করবে। আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা বিজ্ঞান বিভাগ: বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি ভার্সন (উচ্চতর গণিতসহ) জিপিএ-৫, মানবিক বিভাগ জিপিএ-৩ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ জিপিএ-৪। এসএসসিতে বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভার্সনের জন্য আবেদন করতে পারবে না। ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ করা হয় না। এছাড়া বিভাগ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ-৪.৫০, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৩.৫০ থাকতে হবে।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নটর ডেম কলেজে ভর্তির জন্য কোনো কোচিং সেন্টারে ভর্তির প্রয়োজন নেই।  
চবিতে ভর্তি হতে দিতে হবে ডোপ টেস্ট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২৩-২০২৪) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‘মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই’—মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে চবির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে এ ব্যবস্থা। গতকাল রোববার (৫ মে) চবি উপাচার্য প্রফেসর মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ডোপ টেস্টের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের চবিতে চূড়ান্ত ভর্তির আগে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের বলেন, ‘মাদক আমাদের সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। তাই আমরা এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’  তিনি বলেন, ‘প্রথমে যারা সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের ডোপ টেস্ট করা হবে। তারপরে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদেরও ধীরে ধীরে এ ব্যবস্থার আওতায় আনব।’  উপাচার্য বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা ইতোমধ্যে চমেক হাসপাতালের মেডিসিনের ডিনের সঙ্গে কথা বলেছি। কে এই খরচ বহন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আমরা একটি সীমা নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি, যা ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।’ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে নতুন এ পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজউদ দৌলা বলেন, ‘আমরা দেশের স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছি। পুরুষ ও নারী— সব শিক্ষার্থীকেই তাদের রক্তের বা মূত্রের নমুনা চমেকে দিতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত তালিকার জন্য প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে। যদি কেউ পজিটিভ হন, তাহলে তিনি ভর্তি হতে পারবেন না। এরপর শূন্য আসনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের বেছে নেওয়া হবে এবং তাদেরকেও একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’ প্রসঙ্গত, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে দেশে প্রথমবারের মতো ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট চালু করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।   
চলছে গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টা থেকে সারাদেশের ২২টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় এ পরীক্ষা।  জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতিমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে গুচ্ছভুক্ত যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা–সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, তীব্র তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে অস্থায়ী সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও পরীক্ষা চলাকালে মেডিকেল সেন্টার খোলা থাকবে। গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ)। এ ছাড়াও রয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোণা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।
গুচ্ছের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মানবিক অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি অনুষ্ঠিত হবে আজ। এতে মোট ৯৪ হাজার ৯৩১ পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। শুক্রবার (৩ মে) বেলা ১১টায় শুরু হবে এ ভর্তি পরীক্ষা। যা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতিমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে গুচ্ছভুক্ত যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।  বি ইউনিটে মানবিক বিভাগ থেকে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা–সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিটের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ছিল ৩৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অসংগতি পাওয়া যায়নি। আশা করি, এ ইউনিটের পরীক্ষার মতোই কঠোর নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণভাবে সব কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এখনও দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। এ সময় শিক্ষার্থীদের সতকর্তা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ করছি। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আপনারা পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোয় পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রীর ব্যবস্থা রাখবেন।’ তিনি বলেন, ‘গত ভর্তি পরীক্ষার মতোই কেন্দ্রগুলোয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থী বা দায়িত্বরত কেউই মুঠোফোনসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করেন বা অসদুপায় অবলম্বন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আমি জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ নিজ নিজ এলাকার সব স্তরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’