• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ডাকসু নির্বাচন

সুষ্ঠু ভোটের শঙ্কা নিয়েই শেষ হচ্ছে প্রচারণা

সিয়াম সারোয়ার জামিল, আরটিভি অনলাইন

  ০৯ মার্চ ২০১৯, ২০:০১

আগামী সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী আজ শনিবার রাত বারোটায় শেষ হচ্ছে প্রচারণা। তাই সব ছাত্র সংগঠনই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সরকার বিরোধী সব প্রার্থীই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ২৫ পদের বিপরীতে ২২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৩ জন। এছাড়া ১৮ হল সংসদে লড়ছেন ৫০৯ জন।

প্রার্থীরা বলছেন, নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে- তা নিয়ে শঙ্কা আছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তবে তারা হলরুম গেষ্টরুম প্রথা তুলে দেবেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সন্ত্রাস মুক্ত গড়তে বদ্ধ পরিকর বলেও জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

শনিবার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, সর্বত্রই প্রার্থীদের ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু চত্ত্বর, হাকিম চত্বর, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি , টিএসসি, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মধুর ক্যান্টিন, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের আড্ডায় আলোচনার বিষয়- কে হচ্ছেন ডাকসুর আগামী ভিপি-জিএস।

এদিকে প্রার্থীরা নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চালাচ্ছেন নিজ প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ভোট নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমরা সবসময় শিক্ষার্থীর পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমাদের প্যানেল সবার সেরা প্যানেল। জয়ের ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ আশাবাদী।

তবে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো, শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ও ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী আরটিভি অনলাইনে বলেন, সকাল থেকেই ছাত্র সংযোগে নেমেছি। নির্বাচনের জন্য আমরা এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আশা করছি, পেশি শক্তির বিপক্ষে প্রগতিশী ছাত্র ঐক্যের প্রার্থীদেরই শিক্ষার্থীরা বিজয়ী করবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর প্রশাসনের ব্যাপক কড়াকড়ি প্রমাণ করে প্রশাসন স্বৈরতান্ত্রিকভাবে একটি পক্ষকে বিজয়ী করার চেষ্টা করছে। ভোটের অনিয়মকে ঢাকতেই মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছে তারা। এতকিছুর পরও আমরা নির্বাচনের মাঠে আছি, শুধুমাত্র শিক্ষার্থীরা নিজের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে বলে। আমরা শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকতে চাই।

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। শেষ দিন হিসেবে সব জায়গাতেই যাওয়ার চেষ্টা করছি। ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছি।

তিনি বলেন, শুরু থেকেই প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। তাই ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রশাসন নিরপেক্ষতার পরিচয় দিবে।


আরও পড়ুন :

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh