বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি
কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের
কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৭ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটক হয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
অবরোধ চলাকালে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সড়কে গান, আবৃত্তি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান যে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে মাঠে এসেছি। আমাদের যৌক্তিক দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত না বাস্তবায়ন হবে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।
মন্তব্য করুন
সমালোচনার মুখে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন সমন্বয় কমিটি বাতিল
সমালোচনার মুখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটি গঠিত করে। সেই কমিটি নির্দেশক্রমে বাতিল করা হল।
এর আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামকে প্রধান করে ১১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। মূলত, আওয়ামী লীগ সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধবিরোধীসহ বেশ কিছু বিষয় সংযোজন করেছিল যা নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এসব বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
এদিকে, কমিটির কয়েকজন সদস্যের রাজনৈতিক পরিচয়, ধর্মবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কয়েকটি ইসলামপন্থী সংগঠন কমিটিতে ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং ওলামাদের পক্ষ থেকে সদস্য অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়।
গঠিত এই কমিটিতে ধর্মবিদ্বেষীরা রয়েছে দাবি করে ২৭ সেপ্টেম্বর কড়া বার্তা দিয়েছেন ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কী পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্মবিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে সুস্পষ্ট বেইমানি।
আরটিভি/আরএ
এইচএসসির ফল প্রকাশ নিয়ে নতুন তথ্য
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সে হিসেবে আগামী মাসের মাঝামাঝি প্রকাশ করা হতে পারে এই ফল।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি জানান, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী মাসের মাঝামাঝি প্রকাশ করা হতে পারে। এ জন্য সম্ভাব্য তারিখের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অসম্পূর্ণ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠিত বিষয়গুলো পূর্ণমানে এবং বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে।
উল্লেখ্য, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
ব্যাপক আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্থগিত পরীক্ষাগুলোর জন্য সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত ১১ আগস্ট। এরই মধ্যে পরীক্ষার্থীদের একটা অংশ স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে বাতিল করা হয় স্থগিত সব পরীক্ষা। সিদ্ধান্ত হয়, স্থগিত পরীক্ষাগুলোর ফল নির্ধারণ করা হবে পরীক্ষার্থীদের এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার মাধ্যমে।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানালো শিক্ষা বোর্ড
কিছু পরীক্ষা বাতিলের কারণে এইচএসসি ও সমমানের ফল নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা কেটেছে। আগামী ১৫-১৯ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির একজন সদস্য ও একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং করলে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের জন্য আরও বেশি সময় লাগতে পারতো। এই সমস্যা এড়াতে এবার শুধুমাত্র এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে, ফলে কাজটি সহজ হয়েছে। এরই মধ্যে কবে নাগাদ ফল প্রকাশ হবে তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এতে ১৫-১৯ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো দিন ফল প্রকাশে তারিখ চাওয়া হয়েছে।
কমিটির ওই সদস্য বলেন, ‘মাসের মাঝামাঝি সময় বলতে ১৫-১৯ তারিখের মধ্যে আমরা তারিখ চেয়েছি। তবে দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে ৯-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত কলেজ ছুটি। কলেজ ছুটির সময়ে যদি ফল প্রকাশে মন্ত্রণালয়ের আপত্তি না থাকে, তবে এ সময়ের মধ্যেও হতে পারে। আর তা না হলে ১৮ ও ১৯ অক্টোবরের যে কোনো একদিন ফল প্রকাশ করার সম্ভাবনা বেশি।’
ফল প্রকাশের সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘অক্টোবরের মাঝামাঝিই আমরা ফল প্রকাশ করবো। কিন্তু একেবারে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ কবে যদি জিজ্ঞাসা করেন; সেটা বলা এখন সম্ভব নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত নির্দেশনা পেলে নির্দিষ্ট দিন জানানো যাবে।’
উল্লেখ্য, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
ব্যাপক আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্থগিত পরীক্ষাগুলোর জন্য সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত ১১ আগস্ট। এরই মধ্যে পরীক্ষার্থীদের একটা অংশ স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে বাতিল করা হয় স্থগিত সব পরীক্ষা। সিদ্ধান্ত হয়, স্থগিত পরীক্ষাগুলোর ফল নির্ধারণ করা হবে পরীক্ষার্থীদের এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার মাধ্যমে।
আরটিভি/এসএপি
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় ঢাবির ১০ শিক্ষক
অসাধারণ গবেষণাকর্মের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০ শিক্ষক বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র রায়, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাকিবুল হক, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ, ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর অধ্যাপক ড. এম রেজাউল ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাছলিম উর রশিদ এবং ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মো. মাহামুদুল ইসলাম রয়েছেন।
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষকদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র শিক্ষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘এলসেভিয়ার’ এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন এবং অন্যান্য সূচকের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীদের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
আরটিভি/আইএম/এসএ
এইচএসসির ফল প্রকাশের তারিখ নিয়ে যা জানা গেল
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে কয়েকটি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর উত্তরপত্র (খাতা) মূল্যায়ন করে ফলাফল তৈরির কাজ করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে এর মাঝে কোনো একদিন এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ হতে পারে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যেসব পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলোর মূল্যায়নের পাশাপাশি বাতিল পরীক্ষাগুলোর জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ফল তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। আমরা ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশের অনুমতি চেয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন পেলে এর মাঝেই কোনো একদিন ফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এ প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী- ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় যে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও তা হয়নি। কারণ হিসেবে শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির দিন বিভিন্ন এলাকার থানায় হামলা হয়েছিল। এতে থানায় রাখা প্রশ্নপত্রের ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় ১১ আগস্টের পরিবর্তে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে।
গত আগস্টে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।
আরটিভি/এমএ
মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য সুখবর
এখন থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের ন্যায় ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে এমপিওভুক্ত মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (অর্থ) আবুল বাসার বলেন, ‘গত দুই মাস ১ তারিখেই সারাদেশের মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়েছে। যেটা মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর করতে পারেনি। মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা যাতে খুব সহজেই মাসের ১ তারিখ বেতন-ভাতা পান, সে জন্য এই সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি বাস্তবায়ন হলে ৮ হাজার ২২৯টি বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদরাসার ১ লাখ ৭৯ হাজার ২১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতি মাসের ১ তারিখ বেতন-ভাতা ইএফটিতে পাবেন। এ বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন এবং সভাপতিত্ব করবেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হাবিবুর রহমান।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. বেগম শাহনওয়াজ দিলরুবা খান ও সামসুর রহমান খান। এ ছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়, আইবাস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত থাকবেন।
দুর্গাপূজায় যতদিন বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা ১১ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল ও কলেজ। এরমধ্যে ৯ দিন ছুটি এবং মাঝে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক বন্ধ রয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করা হয়। এতে এ ছুটির কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, দুর্গাপূজার ছুটি শুরু হবে ৯ অক্টোবর, যা চলবে ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত। এরমধ্যে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের ছুটি ১৫ অক্টোবর, লক্ষ্মীপূজা ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটি ১৬ অক্টোবর। তবে পরবর্তী দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে।
এ ছাড়া শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে চলতি মাসে টানা তিনদিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বিজয়া দশমীর সরকারি ছুটি থাকবে আগামী ১৩ অক্টোবর (রোববার)। তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
এদিকে, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, পূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপতৎপরতার সুযোগ নেই।
আইজিপি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে আনসার মোতায়েন হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সব পূজা মণ্ডপে আনসার মোতায়েন হবে। পুলিশের অন্যান্য টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
তিনি বলেন, কোথাও কোনো অপতৎপরতার সুযোগ নেই। সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। ৯৯৯ সব সময় চালু রয়েছে। বিশেষ কন্ট্রোল রুমে সারাদেশ থেকে পূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করা হবে।
ময়নুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যেকোনো জায়গায়, যেকোনো পূজামণ্ডপে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/আরএ