• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় স্বাধীনতা দিবস

তারানা তানজিনা মিতু

  ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৬
শিক্ষার্থীদের ভাবনায় স্বাধীনতা দিবস
ছবি : আরটিভি

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা আমাদের কোটি প্রাণের চাওয়া ছিল। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে এ কাঙ্ক্ষিত চাওয়ার বাস্তবায়ন ঘটেছে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে। স্বাধীনতার এত বছর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা আমাদের স্বপ্নের কতটা পূর্ণতা দিতে পেরেছি। স্বাধীনতা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে তাদের ভাবনা তুলে ধরেছেন তারানা তানজিনা মিতু।

স্বাধীনতা অর্জিত হলেই চিরস্থায়ী হয় না, তা যে কোনো সময় হরণ হতে পারে, তাই স্বাধীনতা অর্জনই মূল উদ্দেশ্য নয়। একে সমুন্নত রাখা একটি সার্বক্ষণিক কাজ। আমাদের স্বাধীনতা শুধু কোনোরকমে বেঁচে থাকার জন্য করা হয়নি। আমাদের দেশের নাম, পতাকা, শাসক ও শাসন পদ্ধতি বদলেছে।

আমরা নিজেদের স্বাধীন নাগরিক বলতে পারছি কিন্তু যে পরিমাণ ত্যাগ, ক্ষত এবং রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই হারে আমাদের অর্জন হয়নি। রাজনৈতিক বিভেদ, ধর্মীয় কাদা ছোড়াছুড়ির মাধ্যমে সৃষ্ট অনৈক্য এর অন্যতম বড় কারণ, তাই নিজের মাতৃভূমিকে ভালোবাসে এমন মানুষগুলোর মধ্যে ঐক্য দরকার, মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, দেশকে ভালোবাসে- এমন তরুণ বাংলাদেশে লাখ লাখ।

তাদের সামনে দেশপ্রেমের উদাহরণ আরও বেশি তুলে ধরতে হবে, পরাধীন জাতি পশুর চেয়ে অধম। তাই স্বাধীনতা এত আনন্দের, এত গৌরবের। স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ জাতীয় জীবনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করুক। স্বাধীনতাকে রক্ষা করার শপথই হোক স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মূলমন্ত্র।

উম্মে হানি তানহা, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

আলো ব্যতিত যেমন পৃথিবীর সুন্দরতম দৃশ্যগুলো জাগ্রত হয় না, স্রোত ছাড়া নদী যেমন টেকে না, তেমনিভাবে স্বাধীনতা ছাড়া একটি জাতিকে কল্পনা করা যায় না। আর সে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে।

ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা পেলেও আমরা হারিয়েছিলাম নিজেদের আত্মস্বাধীনতা, হারাতে বসেছিলাম নিজেদের ভাষা এবং সংস্কৃতি। ঠিক তখনই দেশের তরুণ-যুবক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক-শ্রমিকরা এক হয়ে দেশকে পাক হানাদার বাহিনী থেকে রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমে পড়ে। কাঙ্ক্ষিত এই স্বাধীনতা পেয়েছি তাদের রক্তের বিনিমিয়ে ১৯৭১ সালে। আজ আমরা স্বাধীন হয়েও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য কতটুকু কাজ করছি তা ভাবনার বিষয়।

দেশের কৃষক-শ্রমিকরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে দেশের আগামীর নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা ভালো শিক্ষা থেকে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিণত হচ্ছে একেকটা টর্চার সেল। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর মারামারি-হানাহানির জন্য দক্ষ শিক্ষার্থী বের হচ্ছে না এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। এমনকি শিক্ষার্থীরাও হারাচ্ছে নিজেদের অধিকার। অথচ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোই ছিলো স্বাধীনতার ধারক এবং বাহক। তাই আমাদের স্বাধীনতার নতুন বছরের শপথ নেওয়া উচিত, এই বাংলায় স্বাধীনতার সুফল বয়ে আনা এবং দেশকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।

তাওরাত তানিজ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

স্বাধীনতা শব্দটার গুরুত্ব পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলোর চেয়েও ভারী। প্রতিটি মানুষ স্বপ্ন দেখে নিজের স্বাধীনতার। কে চায় বন্দী জীবন! অতঃপর বহুল প্রত্যাশিত স্বাধীনতা অর্জন করি। সেই অর্জনের মান রাখার দায়িত্ব এখন আমাদের, এই জেনারেশনের সকলের। কথায় আছে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়েও রক্ষা করা কঠিন। প্রতিটি বাঙালির জীবনে স্বাধীনতা দিবস গৌরবময় ও তাৎপর্যপূর্ণ, সেই সঙ্গে এই অর্জন বহন করে তার মর্যাদা দেওয়াও আমাদের বড় দায়িত্ব।

রাহেলা আকতার পপি, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

স্বাধীনতা ছাড়া জীবন মানে আত্মাছাড়া শরীর। স্বাধীনতার এই দিনটি প্রতিটি বাঙালির জীবনে বয়ে আনে আনন্দ, বেদনা, গৌরবের এক অম্লমধুর অনুভূতি। একদিকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে মুক্তির আনন্দ। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য ৩০ লক্ষ মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। তাদের এই আত্মত্যাগকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতা বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

মো. আরিফ হোসেন, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

লেখক- শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চুয়েট বন্ধ ৯ মে পর্যন্ত, খোলা থাকবে হল
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফাহমিদা নবীর গানের অ্যালবাম 
হল না ছাড়ার ঘোষণা চুয়েট শিক্ষার্থীদের, অবরুদ্ধ উপাচার্য
X
Fresh