• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নোবিপ্রবিতে তৃতীয়বারের মতো গবেষণায় হাতেখড়ি অনুষ্ঠিত

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৬
ছবি : আরটিভি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সায়েন্স ক্লাবের আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে গবেষণায় হাতেখড়ি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকি। বিশেষ অতিথি নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপদেষ্টা এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মফিজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান। অন্যান্য স্পিকারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল বারেক এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুল কাদের।

গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দিতে এই আয়োজনকে মোট ৬টি সেগমেন্টে ভাগ করা হয়। যার মধ্যে ছিলো-গবেষণার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণার ধারণা প্রদর্শন, বৈজ্ঞানিক পোস্টার প্রদর্শন, রেফারেন্সিং এর সংক্ষিপ্ত ধারণা এবং 'দ্যা আর্ট অব সায়েন্টিফিক কমিনিউকেশন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গ্রীন ক্যাম্পাস ইনিশিয়েটিভ নিয়ে আয়োজিত প্রজেক্টের উপর প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়।

কি-নোট স্পিকারের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান গবেষণা এবং গবেষণার প্রকারভেদ, কখন কিভাবে গবেষণা শুরু করবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞান অনুমান নির্ভর তথ্যের বদলে সবসময় নির্ভরযোগ্য তথ্যে বিশ্বাসী। গবেষণা চিন্তার বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতা করে। গবেষণা অজানা জিনিসকে জানতে সাহায্য করে তবে মানবতার বৃহত্তর কল্যাণে তার ফলাফল বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করতে হয়। সব গবেষণার ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব থাকে এমনকি বিজ্ঞানেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে উঠতে হবে গবেষণার মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, গবেষণার জন্য আগ্রহ, সুযোগ সুবিধা ও অর্থ ৩টি জিনিসের সমন্বয় দরকার। কোনো একটি ফিল্ডে গবেষণা করতে হলে সেই ফিল্ড সংশ্লিষ্ট পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে। এ ছাড়াও তিনি প্রাথমিক গবেষণা ও ব্যবহারিক গবেষণার বিভিন্ন দিক, গবেষণায় চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

নোবিপ্রবি উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকি বলেন, কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবো এটা ঠিক করাটা খুবই জরুরি। তুমি কি নিয়ে গবেষণা করতে চাও, টাইটেলটা কি হবে এটা মাথা থেকে আসতে হবে। এটা যদি কপি পেস্ট করো তাহলে সেটা প্লেগারিজম এ ধরা পড়ে যাবে।

উপ-উপাচার্য আরও বলেন, এখন দেখা যায় অনেকে টাকা দিয়ে তার রিসার্চ পেপার পাবলিশ করায়। বলতে গেলে অনেক ভালো মানের জার্নালে তারা টাকা দিয়ে পেপার পাবলিশ করিয়ে নেয়। তবে এখনো অনেক জার্নাল আছে যেখানে সৎভাবে পেপার পাবলিশ হয়। তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ গবেষণা হয়তো তোমাকে টাকা দিবে না, কিন্তু জ্ঞান দিবে। এটার জন্য পাগলামি লাগে। যার যত বেশি পাগলামি গবেষণার প্রতি সে তত বেশি এগিয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নোবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবে ৭ হাজার ৭৬৩ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  
নোবিপ্রবি সিএসটিই অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
X
Fresh