• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাঁচ দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল

জাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪
পাঁচ দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল
ছবি : আরটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, অছাত্রদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতসহ পাঁচ দাবিতে মশাল মিছিল করেছে আন্দোলনকারীরা।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) নীপিড়ন বিরোধী মঞ্চের ব্যানারে মশাল মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বটতলা ও নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার দাবিতে সেখানে অবস্থান নেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিষ্পত্তি করা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানকালে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, ইতোমধ্যে অছাত্রদের বের করার বিষয়ে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বলা হয়েছিল। তার সময় পেরিয়ে গেছে। অথচ কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার কোনো জবাবদিহিতা দেওয়া হয়নি। র‍্যাবের ভাষ্যমতে, এ বিশ্ববিদ্যালয় মাদকের আখড়া হয়েছে। এ বাণিজ্য অনেকদিন ধরে চলছে। প্রশাসন এগুলো দেখভাল করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও প্রক্টর ও প্রভোস্ট বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এরকম হলে সামনের ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন কিনা তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, আজ পর্যন্ত আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর সিট ভাড়া দিয়েও আসন নিশ্চিত করতে পারেন নাই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি কোণায় কোণায় সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই।

আ র ক রাসেল বলেন, গণরুম বিলুপ্তির জন্য পাঁচ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। প্রশাসন গণরুম বিলুপ্তির নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে। হল প্রশাসন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা এ সকল অবৈধ শিক্ষার্থীদের কক্ষে যায়ই নাই।

ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসন হল থেকে অছাত্রদের বের করতে পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়েছে আমরা দিয়েছি কিন্তু উপচার্য একটি প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসীদের কারখানায় পরিণত হয়েছে। এই অছাত্ররাই চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। অছাত্রদের বের করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কখনোই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে না। প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে অছাত্রদের বের করতে ব্যর্থ হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

এ দিকে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। এ সময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি মানার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। তবে সিন্ডিকেটের বেধে দেওয়া পাঁচদিনের সময়ের মধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করতে না পারায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

এ ছাড়া আন্দোলনরতরা আবাসিক হলে অবস্থান করা অছাত্রদের তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্যসহ উপস্থিত প্রশাসনিক শিক্ষকরা সেই তালিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আরও কয়েকদিন সময় চান।

এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা সোমবার থেকে প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন।

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ক্ষতিপূরণের দাবিতে ৯ বাস আটক করেছেন জাবি শিক্ষার্থীরা
জাবিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
জাবির ডিন নির্বাচন ১৫ মে
ঈদে তোমার শাড়ি দিয়ে পাঞ্জাবি বানিয়ে পরেছি মা : শুভ
X
Fresh