• ঢাকা শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo

ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাবিতে মশাল মিছিল

জাবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৭
ধর্ষণের বিরুদ্ধে জাবিতে মশাল মিছিল
ছবি : আরটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক বহিরাগত নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মশাল মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে মীর মশাররফ হোসেন হল, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া, ছাত্রীদের আবাসিক হল ও প্রান্তিক গেট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় তাদেরকে ‘ক্যাম্পাসে ধর্ষণ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘প্রশাসনের বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’, অবৈধ ছাত্র, মানি না মানবো না’, ধর্ষকের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর ধর্ষকদের নয়, আমরা প্রশাসনকে বলে দিতে চাই এই ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের মদদদাতাদের কোন ঠাঁই নাই। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদেরকে সিস্টেমের ফাদে ফেলে ধর্ষকে পরিণত করেছে। গণরুম কালচার একজন শিক্ষার্থীর মানসিকতা পরিবর্তন করে দেয়। তার মানসিকতা বিকৃত করে ধর্ষকে পরিণত করতে সহায়তা করে।

৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবীব বলেন, ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আমাদের এতদিনের যে ধারণা ছিল যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে নিরাপদ, তা আর রইল না। আমরা জোর গলায় বলতে চাই, এই ক্যাম্পাসে ধর্ষকদের কোন জায়গা নেই, ধর্ষকদের যারা লালন করে সেই কুলাঙ্গারদেরও কোনো স্থান নেই। যে সংগঠন, যে শিক্ষক, যে রক্ষক এদের মদদ দেয় তাদেরকে অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের নিকট নিরাপদ নয়, সেখানে বহিরাগতরা কীভাবে নিরাপদ থাকবে। যখন শিক্ষার্থীরা দেখে তারই শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে স্ট্রাকচার্ড কমিটি হওয়ার পরেও নিরাপদে ক্লাস নিতে পারেন, সেখানে নিজেরা করলে দোষ কোথায়? এমএইচ হলের অছাত্রদের দাপটে বিভিন্ন সময়েই ছিনতাই, লুটপাট, চাঁদাবাজির খবর আমরা দেখি। প্রশাসনকে বারংবার তাগাদা দেওয়ার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেন না। এই হলেই শাহ পরান আছে কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। এভাবেই ধর্ষকরা ক্রমাগত বেঁচে যাচ্ছে প্রশাসনের ছত্রছায়ায়। মূলত প্রশাসনের উদাসীনতাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসকের চেয়ারে বসা কিছু নরাধমের নিকট জিম্মি হয়ে আছে।

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, প্রশাসন আর ছাত্রলীগের অবৈধ সংগমে এই ধর্ষকের জন্ম হয়েছে। ছাত্রলীগ তার ধর্ষণের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেছে। এটা নতুন নয় ৯৮তে ধর্ষণ করেছে মানিক, আজ তার উত্তরসূরীরা করছে। প্রক্টর ধর্ষকদের পালাতে সাহায্যে করেছে। তাদের পদে বহাল থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছে। প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।

সমাবেশ থেকে সোমবার বেলা ১১টায় পোস্টারিং কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
জাবিতে পিটিয়ে হত্যা: ধামরাইয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক
ফ্রান্সে ধর্ষণ মামলা, আদালতে ‘স্বঘোষিত’ ধর্ষক
জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে মামলা