দুই বাংলার কবিতাকে এক করলেন তিন্নির মা
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় দুই বাংলার কবিতাকে এক করলেন তুখোড় অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নির মা রাজলক্ষ্মী মৌসুমী (কস্তুরী দত্ত)। তিনি ভারতের কবি রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে যৌথভাবে বের করেছেন ‘দুই বাংলার সেতুকাব্য’।
গেলো ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডিমতে কাব্যগ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বইটি প্রকাশ করেছে আবিষ্কার। এর প্রচ্ছদ করেছেন মিজান স্বপন। মেলায় ‘দুই বাংলার সেতুকাব্য’ পাওয়া যাচ্ছে ৫২৯ ও ৫৩১ নম্বর স্টলে।
কবি রাজলক্ষ্মী মৌসুমীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভালোবাসার অর্ঘ্য’প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। এ বছরের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের সৃজনভূমি তাকে ‘সৃজন সাহিত্য সম্মাননা’ দেয়।
রাজলক্ষ্মী মৌসুমীর জন্ম কলকাতার যাদবপুরে মামাবাড়িতে।তার শিকড় নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর গ্রামে হলেও শৈশব ও শিক্ষাজীবন কেটেছে নেত্রকোনা শহরের উকিলপাড়ায়। পেশাগত জীবনে কবি রাজলক্ষ্মী মৌসুমী ছিলেন সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
তার স্বামী উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য।
অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গের কবি রঞ্জন ভট্টাচার্য এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনও কবির সঙ্গে যৌথভাবে কবিতার বই প্রকাশ করেছেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা কবির বর্তমান বাস পশ্চিমবঙ্গের মনিরামপুরের ব্যারাকপুরে।
‘দুই বাংলার সেতুকাব্য’ গ্রন্থটি সম্পর্কে কবি কামাল চৌধুরী লিখেছেন- গ্রন্থটিতে কবি রাজলক্ষ্মী মৌসুমী (কস্তুরী দত্ত) ও কবি রঞ্জন ভট্টাচার্য তাদের কবিতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। যাপিত জীবনের প্রেম-বিরহ, আনন্দ-বেদনা, নানা ঘটনা ও অভিজ্ঞতা তাদের কবিতার অনুষঙ্গ হিসেবে উঠে এসেছে। সরল উপমা ও নির্ভার বাক্যবন্ধে তারা তৈরি করেছেন কাব্যভুবন। আমি প্রত্যাশা করি কবিতার জন্য এই নিবিষ্ট চর্চা তারা অব্যাহত রাখবেন। তাদের জন্য আমার শুভ কামনা।
জেবি
মন্তব্য করুন