বঙ্গবন্ধু ও বিদ্যাসাগরের মধ্যে বেশকিছু সাদৃশ্য ছিল: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দুইশ বছর আগে জন্ম নেয়া ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং ঠিক তার একশ বছর পর জন্ম নেওয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাঝে বেশকিছু মানবিক গুণাবলির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। তারা দুজনেই ছিলেন দৃপ্তময়, দৃঢ়চেতা, আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মসম্মান ও বলিষ্ঠতায় সমুজ্জ্বল বাঙালি।
বাংলাগদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর-এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান পরিচিত হয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধু’ও ‘জাতির পিতা’উপাধিতে। অন্যদিকে ঈশ্বরচন্দ্র পরিচিত হয়েছেন ‘করুণাসাগর’ও সংস্কৃত কলেজ প্রদত্ত ‘বিদ্যাসাগর’উপাধিতে। উভয়েরই জীবনদর্শন ছিল সত্যের জন্য সংগ্রাম, মুক্তির জন্য সংগ্রাম, জীবনের জন্য সংগ্রাম।
তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ছিলেন অবিস্মরণীয় প্রতিভার অধিকারী। ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য তিনি প্রথম জীবনেই বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। নারীশিক্ষা ও বিধবাবিবাহ প্রচলন এবং বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তার অবদান বাঙালি জাতি চিরকাল স্মরণে রাখবে। তার প্রবল মাতৃভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে ‘একুশ শতকের বাঙালি হৃদয়ে বিদ্যাসাগর’শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায়। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিত ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি।
পি
মন্তব্য করুন