প্রেমের টানে নয়, ফ্রি খেতেই ডেটিংয়ে যান নারীরা
বর্তমানে ডেটিং শব্দটি আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। প্রেমিক-প্রেমিকারা আলাদাভাবে নিজেদের সময় উপভোগ করতে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে যান। খেতে খেতে গল্প করেন। মূলত এটাই হলো ডেটিং।
তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, নারীরা প্রেমের টানে নয়। বরং তারা পুরুষসঙ্গীদের সঙ্গে ডেটিংয়ে যান ফ্রিতে খাওয়ার জন্য। গবেষণা বলছে, ২৩-৩৩ শতাংশ নারীই এ ধরনের কাজ করেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির গবেষকরা এই ধরনের নারীদের ‘ফুডি কল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণা ফলাফল আরও বলছে, এ ধরনের নারীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পুরুষসঙ্গী খুঁজেন ও দফায় দফায় তা পরিবর্তন করেন। এসব নারী বিভিন্ন সময় নেতিবাচক কাজেও জড়িয়ে পড়েন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডি/এমকে
মন্তব্য করুন
লাউয়ের খোসায় ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর টিপস
বৈশাখের এই গরমে বেশিরভাগ বাড়িতেই অল্প তেল, মসলা যুক্ত খাবার রান্না করা হয়। আর এ তালিকায় লাউ অথবা লাউয়ের খোসা বাটাও রান্না হয়। গরমের দিনে দুপুরের ভাতপাতে সেই লাউ রান্না হাপুশ-হুপুশ করে খেয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে, জানেন কি এই লাউয়ের খোসা দিয়ে ত্বকেও উজ্জ্বলতা আনা যায়। গরমের দিনে রোদে পুড়ে ত্বকে খুব সহজেই ট্যান পড়ে যায়। আবার গরমের মধ্যে খুব সহজেই আসে ক্লান্তি। এই পরিস্থিতিতে ত্বকে ক্লান্তির ছাপ কাটিয়ে উজ্জ্বলতা আনতে আর ট্যানের সমস্যা কাটাতে লাউয়ের খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন।
দেখে নিন লাউয়ের খোসা দিয়ে রূপ চর্চার কিছু টিপস-
উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে- গরমের দিনে মুখে চোখে সহজেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে। সেক্ষেত্রে ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে লাউয়ের খোসা। এছাড়াও উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে লাউয়ের খোসা দিয়ে বানাতে পারেন একটি মিক্স। যা আপনাকে সহায়তা করবে। লাল চন্দনের সঙ্গে লাউয়ের খোসা বেটে নিয়ে তার মিশ্রণ বানান। মুখে লাগিয়ে তা ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এইটি করলে মিলবে সুফল।
ট্যানিং থেকে বাঁচতে- গরমের রোদে ট্যানিং থেকে বাঁচতে লাউয়ের খোসা দিতে পারে অনেক উপকার। লাউয়ের খোসা শুধু মুখে ঘষে নিতে পারেন। এছাড়াও তা ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর তা ধুয়ে ফেলুন।
দাগ ছোপ দূর করতে- ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে লাউয়ের খোসা দারুন উপকারী। খোসা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। সেই পেস্ট গোসলের আগে মেখে নিন। তবে মুখ এক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতেই মুখ থেকে সরে যাবে দাগ ছোপ।
ওজন কমাবে ফাইবার সমৃদ্ধ এই ৫ খাবার
ওজন কমানোর জন্য যারা নিয়ম করে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিয়েছেন, তারা অবশ্যই মেনুতে যুক্ত করুন ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। কারণ এ জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে; যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
জেনে নিন ফাইবার সমৃদ্ধ ৫ খাবারের নাম-
আমন্ড: আমন্ড খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময়েই ভালো। এটি একটি হেলদি স্ন্যাকস। অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে ভেজানো আমন্ড খান। আগের দিন রাতে আমন্ড পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে সেই আমন্ড খেয়ে নিন। দিনে দুই থেকে চারটি আমন্ড খেতে পারেন আপনি। আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে হেলদি ফ্যাট। ওজন কমানোর পাশাপাশি আমন্ড আমাদের শরীরে এনার্জির জোগান দেয় এবং মস্তিষ্ক প্রখর ও সক্রিয় করে।
ব্রকলি: সবুজ রঙের ফুলকপির মতো দেখতে এই সবজির রয়েছে অনেক গুণ। ভেজিটেবল স্যালাড হোক বা অন্যান্য অনেক সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায় ব্রকলি দিয়ে। কাঁচা খেতে যাবেন না এই সবজি। অন্তত হাল্কা সেদ্ধ করে নেওয়া প্রয়োজন। কম ক্যালোরি যুক্ত ব্রকলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এই সবজি খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকবে। এর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এই সবজি।
আপেল: আপেল একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে এই ফলের মধ্যে। মিষ্টি স্বাদের এই ফল খেলে অনেকক্ষণ আপনার পেট ভর্তি থাকবে। সহজে খিদে পাবে না। আপেল খেলে অনেক উপকার পাবেন আপনি। ডায়েট করার সময় যদি সুইট ক্রেভিংস হয় তাহলে খেতে পারেন মিষ্টি স্বাদের এই ফল। এছাড়াও একাধিক পুষ্টি উপকরণ রয়েছে আপেলের মধ্যে। তার ফলে আপনার শরীরে সঠিক মাত্রায় পুষ্টির জোগান দেবে এই ফল।
কাবলি ছোলা: কাবলি ছোলা দিয়ে অনেক ধরনের সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায়। এটি একটি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ওজন কমাতে তাই পাতে রাখুন কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি রকমারি পদ। কাবলি ছোলা সেদ্ধ করে খেতে পারেন। কিংবা তৈরি করে নিতে পারেন কাবলি ছোলার ঘুগনি। এগুলি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। শুধুমাত্র ফাইবার নয়, কাবলি ছোলার মধ্যে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিউট্রিয়েন্টস বা পুষ্টি উপকরণ। তাই কাবলি ছোলা দিয়ে তৈরি খাবার খেলে যেমন আপনার পেট ভরবে, ওজন কমবে, তেমনই আপনি ভরপুর পুষ্টিও পাবেন।
ওটস: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ওটস। আজকাল অনেকেই সকালের খাবারে ওটস খেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ফল কিংবা ড্রাই ফ্রুটস। ওটস দিয়ে তৈরি স্মুদিও একটি পুষ্টিকর খাবার যা দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে। অনেকে টকদই কিংবা ইয়োগার্ট মিশিয়েও ওটস খেয়ে থাকেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় মশলা ওটস। ফাইবার সমৃদ্ধ ওটসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ওটস খেলে আপনার ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে কোলেস্টেরল। ফলে ভালো থাকবে আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য।
কত টনের এসিতে কত বিদ্যুৎ বিল
প্রচণ্ড তাপমাত্রায় দুপুরে বাড়ি থেকে বের হওয়া তো দূরের কথা, ঘরের ভিতরেও টিকে থাকা দায় হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতে স্বস্তির খোঁজে সবাই-ই ছুটছে এসির দিকে। কিন্তু এসি লাগালেই তো হয় না, বিদ্যুত খরচেরও একটা চিন্তা থেকে যায়। এসি কেনার আগে যদি কত টনের এসিতে কেমন বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে, তা জেনে নেওয়া যায়, তাহলে এসি কেনার সিদ্ধান্তটা অনেকটাই সহজ হবে।
জেনে নিন কত টনের এসিতে কেমন বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে-
দেশের একটি ইলেকট্রিক পণ্যের এসি ইলেকট্রিসিটি বিল ক্যালকুলেশনের হিসেব থেকে জানা যায়, দেড় টনের একটি ইনভার্টার রেগুলার এসি ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একটানা ৫০ মিনিট করে প্রতিদিন আট ঘণ্টা চালালে এক মাসে বিদ্যুৎ খরচ হবে ২৫৩ দশমিক ৪১ কিলোওয়াট; যার আনুমানিক বিল আসবে প্রায় ১ হাজার ৫৬৩ টাকার কিছু বেশি।
একই সময়ে দুই টনের একটি এসির বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। তবে এক টনের একটি এসি একই সময় ধরে চালালে বিদ্যুৎ বিল আসবে প্রায় এক হাজার ৩০০ টাকার কিছু বেশি।
কলায় সারবে একাধিক রোগ, কিন্তু এড়িয়ে চলবেন যারা
সকালের খাবারে দুধ আর কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে অনেকেই কলা খেতে পছন্দ করেন। চটজলদি হাতের সামনেও মেলে এই ফল। দামেও সস্তা। সঙ্গে পুষ্টিগুণে ভরপুর। কলায় থাকা মিনারেল, ভিটামিন আর ফাইবার শরীরের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। একটি মাঝারি মাপের কলা থেকে শরীরে প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রবেশ করে। যা ভালো রাখে হৃদযন্ত্র। তাই প্রতিদিন অবশ্যই একটি করে কলা খান। কলা খেলে শুধু একটি বা দুটি নয়, ৮০ ধরনের রোগ সেরে যায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কলা খুবই উপকারী। তবে অনেক সময় কলা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। কলায় ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, গ্লুটাথিয়ন, ফেনোলিক্স, ডেলফিডিনিন পাওয়া যায়।
জেনে নিন কলার উপকারিতা-
শরীরের শুষ্কতা, হাড়ের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ একাধিক সমস্যা কলা খেয়ে এসব এড়ানো সম্ভব।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, যদি কারও শরীর শুষ্ক থাকে বা সবসময় ক্লান্ত লাগে তাহলে তার কলা খাওয়া উচিত। শরীর ঠান্ডা রাখে।
এ ছাড়া ভালো ঘুম না হওয়া, রাগ, প্রচণ্ড তৃষ্ণা বোধ এবং শরীর জ্বালা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কলা খাওয়া উচিত।
মানসিক অবসাদে ভুগলে কলা খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
চোখের জন্য কলা খাওয়া খুব উপকারী। মূলত কাঁচাকলার কিছু উপাদান খুবই কাজে লাগে।
কলা ডায়াবেটিকদের জন্য বিপদজ্জনক। সুগার থাকলে কলা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
কফ জমলে বা হাঁপানিতে ভুগলে কলা খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি কফের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
এই গরমে ফলের রস নাকি স্যালাইন, কোনটি খাবেন
দেশজুড়ে গত কয়েক দিন থেকেই তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত জনজীবন। এদিকে গরমের কারণে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করে ক্লান্তি দূর করতে পানি এবং পানীয়জাতীয় খাবারের কোনো বিকল্প নেই।
তবে অনেকেই মনে করেন দ্রুত পানিশূন্যতা পূরণে স্যালাইন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আবার অনেকে ভরসা রাখেন ফলের রসের ওপর। যে কারণে গরমের শুরু থেকেই ওআরএস এবং ফলের রস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই দুই ধরনের পানীয়ের মধ্যে কোনটা পান করলে শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে পারবেন।
জেনে নিন:
স্যালাইনের উপকারিতা: আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে এসেছে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা খাবার স্যালাইন। কোনো কারণে ডিহাইড্রেশন হলে শরীর থেকে পানির পাশাপাশি সোডিয়াম-পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান দ্রুত গতিতে বাইরে বেরিয়ে যায়। আর সেই সুবাদে আক্রান্তের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে দেহে পানি এবং অন্যান্য খনিজের ভারসাম্য ফেরানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওআরএস। তাই সারা পৃথিবীজুড়েই ওআরএস-এর এতটা চাহিদা।
ফলের রসই মহৌষধ : পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে তাজা ফলের রস নিয়মিত খাওয়া যেতেই পারে। তাতে যেমন পানির ঘাটতি মিটে যায়, ঠিক তেমনই শরীরে প্রবেশ করবে অত্যন্ত উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুধু তাই নয়, যে কোনও ফলের রস থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ মেলে। তাই এই গরমে শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত যেকোন ফলের রস পান করা ভালো। তাতেই শরীরে উপকার পাবেন হাতেনাতে।
ফলের রস নাকি স্যালাইন: পুষ্টিবিদরা বলছেন, গরমের এই সময়ে এই দুই পানীয়ই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে ফলের রস এবং স্যালাইন, এই দুই পানীয়ই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে হবে। তবে ডিহাইড্রেশন হলে বা ডায়রিয়ার কবলে পড়লে তখন আর ফলের রসে কাজ হবে না। তখন অবশ্যই নিয়ম মেনে স্যালাইন খেতে হবে।
বাড়িতেই বানান ফলের রস: তবে ফলের রস খেতে চাইলে ঘরেই তাজা ফল থেকে রস করে খাওয়া উচিত। বাজারজাত যেকোনো বোতলবন্দি ফলের রস খেলে কিন্তু কোনো লাভ পাবেন না। কারণ এইসব ফলের রসে চিনি এবং ফ্লেভার মিশ্রিত থাকে যা কিনা শরীরের উপকারের বদলে ক্ষতি করে বেশি।
তার চেয়ে বরং গরমে সুস্থ থাকতে টাটকা ফল কিনে এনে বাড়িতে রস করে খান। তবে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে নিয়মিত ফলের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তবে ফলের রস আর স্যালাইন যেটাই খান না কেনো, নিয়মমাফিক অবশ্যই প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার করে পানি পান করতে ভুলবেন না।
তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর হবে শীতল
প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় ঘরে ফিরেও স্বস্তি মিলছে না। একটু শীতলতার খোঁজে মানুষ যেন দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। যাদের ঘরে এসি আছে, তারা না হয় কিছুটা আরাম পাচ্ছেন। কিন্তু যাদের ঘরে এসি নেই তারা কী করবেন? উপায় আছে। এসি ছাড়াও ঠান্ডা করা যায় ঘর। এই গরমে ঘরের তাপমাত্রা কম রাখার জন্য আপনার বাড়িতে লাগাতে পারেন এই গাছগুলো। যা আপনার ঘরকে এসি ছাড়াই শীতল রাখবে।
জেনে নিন ঘরকে শীতল করবে যে গাছগুলো-
ইংলিশ আইভি: গবেষকদের মতে, এই গাছ মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের প্রায় ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে। ঘরের শোভা বাড়াতেও কাজ করে এটি। তাই ঘর ঠান্ডা ও দূষণমুক্ত রাখতে ঘরে রাখতে পারেন এই গাছ।
স্নেক প্ল্যান্ট: অ্যালো ভেরার মতো এই গাছের পাতাও জলীয় উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই জানলার কাছে রেখে দিলে তা উত্তাপ শোষণ করে নেবে, ঘরের হাওয়াকে করে তুলবে শীতল। এটিতেও অতিরিক্ত জলসেচনের দরকার হয়।
এরিকা পাম: বাড়িতে জায়গার অভাব না থাকলে বসার ঘরে রাখতেই পারেন এরিকা পাম। এটি তাল গাছের তুতো ভাই। এরিকা পাম এক দিকে ঘর ঠান্ডা রাখে, আবার দেখতেও ভাল লাগে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছটি হোটেল, অফিস এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সাজাতেও ব্যবহৃত হয় এই গাছ।
ঘৃতকুমারী: অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতি পরিচিত একটি উদ্ভিদ। বাড়ির ভিতরের তাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অ্যালভেরার গুণাগুণ বহু। মূলত বাংলার বুকে এই গাছ ঘৃতকুমারী নামে পরিচিত। এই গাছের পাতায় রয়েছে বহু ধরনের প্রতিকার।
রবার প্লান্ট: এই গাছের পাতা এমনিতেই বড় হয়। পাশাপাশি যদি সব চেয়ে বড় পাতার শ্রেণি দেখে গাছটি কেনা হয়, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তা ঘর ঠান্ডা রাখবে। এতে মাঝে মাঝেই একটু পানি ছিটিয়ে দিতে হবে।
যে কারণে হয় হিটস্ট্রোক, প্রতিরোধে যা করবেন
প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন এখন ওষ্ঠাগত। আর এই পরিস্থিতিতে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই এ বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকলে সহজেই সেই পরিস্থিতি সামলানো যায়। হিটস্ট্রোক বা হাইপারথার্মিয়াতে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে থাকে। আমাদের শরীর তখন আর এই হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রাকে কন্ট্রোল করে শরীরকে ঠান্ডা করতে পারে না। এই সময় শরীরের তাপমাত্রা মাত্র ১০-১৫ মিনিটে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটেরও বেশি হয়ে যায় একে হিটস্ট্রোক বলে। এ সময় শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ হিটস্ট্রোক-এ মারা যায়। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হুট করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশেও এই রোগ এখন প্রায়ই দেখা দেয় কারণ প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। হিটস্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
হিটস্ট্রোক-এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রতিকার-
হিটস্ট্রোক: হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক এক ধরনের অসুস্থতা, যা অত্যধিক গরমের কারণে হয়ে থাকে। এই অসুখে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ᱸ ফারেনহাইট-এর বেশি এবং সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছরে ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ হিটস্ট্রোক-এ মারা যায়। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হুট করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশেও এই রোগ এখন প্রায়ই দেখা দেয় কারণ প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।
হিটস্ট্রোক কয়েকটি কারণে হতে পারে। চলুন কারণগুলো দেখে নেই-
পারিপার্শ্বিক উচ্চ তাপমাত্রা
শরীরে পানিশূন্যতা বা মিনারেলসের অভাব
কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়, যেমন- ডাই-ইউরেটিক্স, বিটা ব্লকারস, অ্যালকোহল
হার্টের বা স্কিনের অসুখে
লক্ষণ বা উপসর্গ- হিটস্ট্রোকে প্রাথমিক কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে। গরমে হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক পর্যায়ে এটি ধরতে পারলে অনেক জটিল অবস্থা থেকে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব। সাধারণত নিচের লক্ষণগুলো হিটস্ট্রোক-এ দেখা যায়
শরীরের অত্যধিক তাপমাত্রা
মাথাব্যথা
দুর্বলতা
ঝিমুনি
বমি বমি ভাব
হার্টবিট বেড়ে যাওয়া
তবে রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে গেলে আরও কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন-
চামড়ার রং লালচে হয়ে যাওয়া
মানসিক ভারসাম্যহীনতা
হাঁটতে অসুবিধা হওয়া
চোখের মণি বড় হওয়া
বমি হওয়া
ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া
খিঁচুনি
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
প্রাথমিক চিকিৎসা-
এই গরমে কড়া রোদ ও ভিড় এড়িয়ে চলুন। যেহেতু এটি একটি জরুরি অবস্থা, তাই এর চিকিৎসাও দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। এই রকম পরিস্থিতিতে প্রথমেই যা করা দরকার তা হলো, রোগীর শরীর ঠান্ডা করা এবং খোলা বা ফাঁকা স্থানে নিয়ে যাওয়া। ভারি পোশাক পরে থাকলে সেটা চেইঞ্জ করে পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরিয়ে দিন। ঠান্ডা বাতাসের ব্যবস্থা করুন, প্রয়োজন মনে হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিন।
রোগীর সুস্থ হতে কয়েকদিন পর্যন্ত সময় লাগবে সেটা এর তীব্রতা বা ধরনের ওপর নির্ভর করে। যদি সঠিক চিকিৎসা করা না হয় তাহলে হিটস্ট্রোক রোগীর মস্তিষ্ক , পেশী, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গগুলোকেও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা শুধুমাত্র শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য কিছু না করে বরং পানি বা লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহণের ওপর জোর দিতে বলেন।
প্রতিকার-
হেলদি ও লিকুইড খাবার রাখুন ডায়েটে: আমাদের মধ্যে যারা বাইরে রোদে কাজ করি বা এক ঘন্টার বেশি ব্যায়াম করি তাদের হিটস্ট্রোক এড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। বিশুদ্ধ পানির কোনো বিকল্প নেই। ডাবের পানি, ফ্রেশ জুস, ঠান্ডা শরবত এগুলোও পান করতে পারেন। ভাজাপোড়া, মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। লাইট ও হেলদি ফুড বেছে নিন যাতে হজমে সমস্যা না হয়।
ব্যায়াম ভোরবেলায় করুন: তাপদাহ বিদ্যমান থাকলে ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ অবশ্যই সূর্যোদয়ের আগে বা খুব ভোরে করতে হবে।
অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন: গরমের দিনগুলোতে অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল বা সুগার ড্রিংকগুলো শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে।
অনেক সময় শরীরে লবণ বা মিনারেলস-এর ঘাটতি দেখা যায়। সেই সময়ের জন্য সবচেয়ে উপকারী হলো ওরস্যালাইন। রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হলে মুখে খাওয়া সম্ভব না হলে শিরার মাধ্যমে দেওয়া হয়। কিন্তু হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে সবসময় এটা নিরাপদ নাও হতে পারে। কারণ, স্যালাইনের সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিন সঙ্গে সঙ্গেই।
শিশু ও বয়স্কদের জন্য টিপস-
সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রে হিটস্ট্রোক এক রকম হলেও, বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি আলাদা নজর রাখা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে যেন তাদের শরীরে কোনভাবেই পানিশূন্যতা দেখা না দেয়। যেহেতু ১-২ বছর বয়সী শিশুরা নিজেদের শারীরিক অসুবিধাগুলোর কথা বলতে পারে না। তাই গরমের দিনে তাদের বার বার পানি বা শরবত দিতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়তে দেয়া যাবে না। তাদের খোলামেলা জায়গায় বা প্রচুর বাতাস আছে এরকম জায়গায় রাখতে হবে।
শিশুদের মতো বয়স্কদের জন্যও খোলামেলা স্থান বাছাই করা উচিত। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের শরবত বা মিষ্টি জুস না দিয়ে পানি, ডাবের পানি এগুলো দিতে হবে।
এই গরমে আমি বা আপনি যেকোনো সময়ে হিটস্ট্রোক-এ আক্রান্ত হতে পারি। তৎক্ষণাৎ প্রতিরোধের বা মোকাবেলার উপায়গুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি।