মোটরসাইকেল চালানোর সময় যে বিষয়গুলো মেনে চলবেন
সময় বাঁচাতে বর্তমানে অনেকেই চলার সঙ্গী হিসাবে ব্যবহার করছেন মোটরসাইকেল। এর মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া যায় খুব সহজেই। আবার স্টাইলিশ একটি মোটরসাইকেল হতে পারে আপনার ফ্যাশন সচেতনতার প্রতীকও। তবে মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে কিছু সতর্কতা।
সেসব সতর্কতামূলক বিষয়গুলো নিচে দেয়া হলো-
- চলন্ত অবস্থায় ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
- চালক এবং সঙ্গী উভয়েই হেলমেট ব্যবহার করুন।
- চালানো অবস্থায় নিজেদের ভেতর আলাপচারিতা বন্ধ রাখুন।
- সতর্কতার সঙ্গে বসুন।
- মোটরসাইকেলে শিশুকে নিরাপদ স্থানে বসান।
- চালকের নির্দেশনা ছাড়া মোটরসাইকেল থেকে নামবেন না।
- দূরের যাত্রার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জ্বালানি আছে কি না তা দেখে নিন।
- রাস্তায় গতিরোধক অতিক্রম করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- অবশ্যই ট্রাফিক আইন মেনে চলুন।
- চলন্ত অবস্থায় ধূমপান বা খাদ্যগ্রহণ করবেন না।
- অনেকেই প্রয়োজনের থেকে বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চালান। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনাও বেশি হয়। তাই স্বাভাবিক গতিতে মোটরসাইকেল চালান।
- চালানোর সময় এদিক সেদিক তাকাবেন না। কারণ একটু অসতর্কতায় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।
এমকে
মন্তব্য করুন
ঈদের ছুটিতে নিরাপদে ভ্রমণের জন্য কিছু সতর্কতা
দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই লম্বা ছুটিতে কেউ প্রস্তুতি নিচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার, কেউ বা প্ল্যান করছে পরিবার নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরে আসার। উভয় ক্ষেত্রেই একটু স্মার্ট চিন্তার অভাবে বহু প্রত্যাশিত ভ্রমণটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতিসহ চলুন জেনে নিই ঈদের ছুটিতে নিরাপদে ভ্রমণের কিছু দরকারি তথ্য।
ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি-
গন্তব্য সুনির্দিষ্টকরণ: বেড়াতে যাওয়ার আগে সর্বপ্রথম ঠিক করতে হয় গন্তব্য। আর এর উপর নির্ভর করেই পরবর্তীতে নির্ধারিত হয় ভ্রমণের সময়, বাজেট, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি। গত বছরের ন্যায় এবারের ঈদও বেশ গরমের মধ্যেই পড়তে যাচ্ছে। তাই যে জায়গাগুলোতে অত্যধিক কায়িক পরিশ্রম হবে সে জায়গাগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া উত্তম। যেমন-পাহাড় ও ঘন বনাঞ্চলের স্থলে গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে সাগর, নদী, হাওড় এবং হালকা গাছ-গাছালি ঘেরা উদ্যান বা এরকম কোনো খোলামেলা জায়গা।
যে জায়গাটিকে গন্তব্য হিসেবে ঠিক করা হবে তার ব্যাপারে স্থানীয় বা আগে কেউ সেখানে গেছে এরকম কারো কাছ থেকে তথ্য নেওয়া উত্তম। এছাড়াও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে ভ্রমণ বিষয়ক বিভিন্ন পরিচিত-অপরিচিত জায়গাগুলোর তথ্য অনায়াসেই পাওয়া যায়।
পরিবহন ব্যবস্থা বাছাই: প্রতি ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া এবং ঢাকার বাইরে পরিজন নিয়ে ঈদের ছুটি কাটানো উভয়ের ক্ষেত্রেই পরিবহন ঠিক করা বেশ ঝামেলার কাজ। বিশেষ করে যারা মাঝারি ধরনের পাবলিক পরিবহনগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন, তাদের জন্য এই সময়টা রীতিমত বিভীষিকাময়। প্রতি ঈদে পরিবহনগুলোর সিট বুকিংয়ের লাইনে প্রচুর মানুষের ভিড়ে হাজারো ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই টিকেট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যত আগে সম্ভব সিট বুক করে নেওয়া উত্তম।
তাছাড়া প্রত্যহ যানজট অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পাবার ফলে স্থলপথে যাতায়াত এখন সমূহ হয়রানির নামান্তর। তাই যারা শুধুমাত্র প্রমোদ ভ্রমণে ঢাকা ছাড়ছেন তাদের জন্য ঈদের দিন দিবাগত রাত বা পরদিন রওনা হওয়া ভালো। এছাড়া একই গন্তব্যের যাত্রীরা ৬ থেকে ৭ জন হলে একসঙ্গে একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করেও যাওয়া যায়। বড় গ্রুপের পর্যটকরাও এভাবে ঈদের মৌসুমে যে কোনো সময় যাতায়াত করতে পারেন।
থাকা-খাওয়ার পূর্ব পরিকল্পনা: ঈদের ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই ভেবে রাখা ভালো। কি ধরনের আবাসিক হোটেল ঠিক করা হচ্ছে, সাথে বা আশেপাশে খাবারের হোটেল আছে কিনা প্রভৃতি ব্যাপারগুলো ঢাকা থেকেই ঠিক করে যাওয়া উচিত। বিশেষ করে ২ থেকে ৩ দিনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্রমণ সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট অনুযায়ী একটি উপযুক্ত লোকেশনে আবাসন ঠিক করতে হবে।
এই লোকেশন থেকে খাবারের হোটেল এবং দর্শনীয় স্থানসমূহের দূরত্বের ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে। কেননা এই বিষয়টি বাজেটের উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। যেহেতু ঈদের সময় যাওয়া হচ্ছে সেহেতু অত্যধিক হোটেল ভাড়া বিবেচনার মধ্যে রাখতে হবে।
অভিজাত রেস্টুরেন্ট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে স্থানীয় কারো থেকে অথবা ট্রাভেল ব্লগগুলোর মাধ্যমে খাবার খরচের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যেতে পারে।
ভ্রমণের জন্য ব্যাগ গোছানো: এই গোছগাছের ব্যাপারটির সঙ্গে কি ধরনের জায়গায় যাওয়া হচ্ছে এবং কতদিন থাকতে হবে তা জড়িত। যারা বাড়িতে ঈদ করতে যান তাদের লাগেজটা স্বভাবতই একটু বড় হয়। আর পর্যটকদের জন্য বেশ মাপজোখ করেই ব্যাগ গোছাতে হয়। উভয় ক্ষেত্রেই যতটা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দেওয়া উচিত।
ঈদে ভ্রমণে দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা-
ভ্রমণ পথ ও গন্তব্যের ব্যাপারে যথাযথ তথ্য নেওয়া: যে কোনো গন্তব্যে যাওয়া আগে তার ব্যাপারে যত বেশি জেনে নেওয়া যায় ততই ভালো। প্রথমেই সেখানকার আবহাওয়া এবং আইনশৃঙ্খলার অবস্থা জেনে নিতে হবে। নিকটস্থ থানা, হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সের নাম্বার, আবাসিক হোটেল, এবং ভ্রমণকারীর যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে তার শাখা লোকেশন ও যোগাযোগ নাম্বার মোবাইলে সংরক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া যে রুট ব্যবহার করে গন্তব্যে পৌছবে সে রুটেও কোনো ঝামেলা চলছে কি-না আগে থেকেই যাচাই করে নিতে হবে। মোবাইলে নূন্যতম একদিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে নেওয়া যেতে পারে। এতে করে যাত্রাপথে যে কোনো জায়গায় নিকটস্থ অ্যাম্বুলেন্স ও থানার নাম্বার খুঁজে বের করা যাবে।
নিকট বন্ধু ও আত্মীয়দের জানিয়ে রাখা: বাড়িতে বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করার জন্য ঢাকার ছাড়ার সময় ঢাকার অন্তত একজন নিকট আত্মীয় বা বন্ধুকে প্রস্থানের বিষয়টি জানিয়ে রাখা উচিত। সেই সঙ্গে রওনা হওয়া সময়টিও জানাতে হবে গন্তব্যের লোকদের। বিশেষত পৌছতে গভীর রাত হয়ে গেলে তারা যেন গাড়ির ব্যবস্থা করতে সহায়তা করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় গ্রামের বাড়িটি বাস বা ট্রেন ষ্টেশন থেকে অনেক ভেতরে। একই কথা খাটে যারা প্রতিনিয়ত ঢাকাতে ঈদ করেন তাদের জন্যও।
ওষুধপত্র ও ফার্স্ট এইড বক্স সঙ্গে রাখা: যাত্রাপথে বা গন্তব্যে পৌঁছে বিভিন্ন সময় ছোট-খাট দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই চট জলদি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্স্ট এইড কিট সঙ্গে রাখা জরুরি। জ্বর, বমি, মাথা ব্যথা, পেট খারাপের ওষুধ এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে অ্যান্টিবায়োটিক সঙ্গে রাখা জরুরি। সঙ্গে নেওয়া যেতে পারে মশা নিরোধক ওডোমোস। সাথে বাচ্চা থাকলে তাদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
খাবার পানীয় নেওয়া: ভয়াবহ দাবদাহে ঈদ উৎসবে শক্ত সমর্থ থাকতে বিশুদ্ধ পানি পানের কোনো বিকল্প নেই। শুধু দীর্ঘ মেয়াদের ভ্রমণেই নয়; রোদের মধ্যে ঘন্টাখানেক হাটার ক্ষেত্রেও সঙ্গে পানি বা জুসের বোতল বহনে অভ্যস্ত হওয়া উচিত।
ভ্রমণের সময় খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা: ভ্রমণের সময় খাবারের মান যাচাইয়ের ক্ষেত্রে খাবারটি কিভাবে প্রস্তুত হচ্ছে তা দেখা জরুরি। কিন্তু সেটা সম্ভব না হলে খাবারটি যথেষ্ট রান্না হয়েছে কি-না সেদিকে নজর দিতে হবে। কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেটি সেখানকার বিখ্যাত খাবার হলেও এড়িয়ে যাওয়া উচিত। ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে থাকতে শুধুমাত্র যেগুলো খোসা ছাড়িয়ে খেতে হয় সে ফলগুলো খাওয়া যেতে পারে।
ভ্রমণের পূর্বে পর্যাপ্ত ঘুম: ভ্রমণের সময় দীর্ঘ দূরত্ব না থাকা সত্ত্বেও প্রায়ই যানজটের জন্য দীর্ঘক্ষণ রাস্তাতেই কেটে যায়। এমতাবস্থায় শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে শক্তির যোগানের জন্য ভ্রমণের পূর্বে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। এছাড়াও ট্রেনে মোশন সিকনেস থেকে রক্ষা পেতে যানবাহন চলাকালে অল্প কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখা অথবা সম্ভব হলে ঘুমিয়ে নেওয়া ভালো।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: শুধু এই ঈদের জন্য নয়; দেশের ভেতরে যে কোনো ভ্রমণকালে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকা উচিত। বর্তমানে কোভিড টিকা কার্ডও একটি অবিচ্ছেদ্য সংযোজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলোর প্রতিটির স্ক্যান কপি অনলাইনে তথা- ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ, ওয়ান ড্রাইভ অথবা অফলাইনে মোবাইলের ফাইল ম্যানেজারে সংরক্ষণ করা উচিত, যেন মোবাইলের মাধ্যমে দ্রুত দেখা যায়।
ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না থেকেও যেভাবে পানি পাবে টবের গাছ
ঈদের ছুটিতে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান বেশ কয়েকদিনের জন্য। কিন্তু ঘরে থাকা গাছ নিয়ে পড়েন দুশ্চিন্তায়। গাছে পানি দেবে কে এই চিন্তায় শহর ছেড়ে বেড়াতে বা ভ্রমণে যাওয়াটা এক রকম চিন্তার বিষয় হয়ে যায়। তবে এ সমস্যার সমাধানে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারলে বাড়িতে কেউ না থাকলেও গাছ পানির অভাবে অন্তত মারা যাবে না।
চলুন জেনে নিই পদ্ধতিগুলো-
বোতলবন্দি: গাছে পানি দিতে বোতলকে অনেক ভাবেই কাজে লাগানো যায়। প্রথমে একটি বোতল নিয়ে তার গলা পর্যন্ত পানি ভরে নিতে হবে। সেই পানিতে কিছু সার গুলে দিতে পারেন। তারপর বোতলের মুখ বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরে উলটে দিন। ধীরে-ধীরে বোতলের মুখ গুঁজে দিন টবের মাটিতে। বোতলটা উলটে থাকবে। এক দিকে একটু হেলে থাকলেও অসুবিধে নেই। এবার বোতলের পিছন দিকে পানির মাত্রায় দাগ দিয়ে দিন। কয়েক ঘণ্টা বাদে দেখুন পানি সেই লেভেল থেকে নীচে নেমেছে কি না। তা হলে বুঝতে পারবেন পানি পাস করছে। কিন্তু পানির মাত্রা যদি না নামে, তার মানে বোতলের মুখে মাটি জমে পানির পথ আটকাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বোতল তুলে নিয়ে তার মুখটা পরিষ্কার করে আবার গুঁজে দিতে হবে টবের মাটিতে।
অথবা বোতলের গায়ে দু’-চারটে ফুটো করে, বোতলে পানি ভরে নিন। এবং পুরো বোতলটাই মাটির মধ্যে পুঁতে দিন। বোতলে পানি ভরে আর অল্প মাটি দিয়ে তার মধ্যেও গাছ বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সব গাছ কিন্তু এই পদ্ধতিতে বাঁচে না।
রশির বাঁধনে: একটা বড় গামলায় পানি ভরে নিতে হবে। এবার যে গাছগুলোতে পানি দিতে চান সেই গাছের টব এনে গামলার চারপাশে রাখুন। কয়েকটা দড়ি নিয়ে তার এক প্রান্ত গামলার পানির নীচ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে দিন। দড়ির অন্য প্রান্ত টবের মাটির মধ্যে গুঁজে দিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে দড়িটি টবের নীচ পর্যন্ত চলে যায়। তবেই গাছ ভালো করে পানি পাবে। পানিভর্তি গামলার মুখ যেন টবের চেয়ে বেশি উচ্চতায় থাকে। এই পুরো পদ্ধতি শুরু করার আগে টবের মাটি পানি দিয়ে ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে। না হলে টবের মাটি প্রথমেই অনেকটা পানি শুষে নেবে।
পানিভর্তি টাব: একটা বড় গামলা বা বাথটাব থাকলে তার মধ্যে পানি ভরে ফেলুন। তারপর সেই পানিনিকাশি বন্ধ করে দিতে হবে। সেই পানিভর্তি টাবের মধ্যে একে একে সব গাছ বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন, গাছের টবের নীচে যেন পানি পাস করার ফুটো থাকে। এই পদ্ধতিতে গাছেরা বেশ কিছুদিন পর্যন্ত পানি পাবে এবং ভালো থাকবে।
টুকরো টিপস-
• বাড়ির বাইরে থাকাকালীন গাছে পানি দেওয়ার যে কোনও পদ্ধতি বাছতে পারেন। কিন্তু যে পদ্ধতিই প্রয়োগ করুন না কেন, গাছকে প্রত্যক্ষ সূর্যালোকে রাখবেন না। তা হলে গাছের গোড়ার পানি গাছের কাজে লাগার আগেই বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। তাই এমন কোনও জানালার ধারে গাছের টবগুলো রাখতে হবে যাতে গাছ আলো পায়, কিন্তু রোদ যেন না লাগে।
• এই পদ্ধতিতে চারদিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত গাছে পানি সরবরাহ করা যায়। আর গাছ তার নিজের আপনিধারণ ক্ষমতায় আরও তিনদিন হয়তো বাঁচতে পারে। কিন্তু তার বেশি দিনের জন্য যদি বাইরে থাকতে হয়, সে ক্ষেত্রে গাছের দায়িত্ব কোনও প্রতিবেশী বা বন্ধুকে দিয়ে যাওয়াই ভালো।
• গাছে পানি দেওয়ার উপকরণ সাজিয়ে আগে দেখে নিন, সেই পদ্ধতিতে গাছের পানির চাহিদা মিটছে কি না। বাড়িতে থাকাকালীন সময়েই পদ্ধতিগুলো পরখ করে দেখে নিন, আপনার গাছের জন্য কোন পদ্ধতি সহায়ক।
বাড়িতে কোনও প্রাণী থাকলে তার যতটা যত্নের প্রয়োজন, গাছেরও ততটাই। তাই দরজায় তালা দিয়ে বেরোনোর আগে কিছুটা সময় দিন। তা হলে আপনার সাধের বাগানও আর শুকিয়ে যাবে না।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়
দেশের অনেক জায়গায় বইছে তাপপ্রবাহ। হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। হঠাৎ তাপমাত্রার উর্ধ্বগতির এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এটি প্রতিরোধে কী কী করা উচিত, তা ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি।
প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্য, হিট স্ট্রোকের সর্বোচ্চ ঝুঁকি আছে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, শ্রমজীবী ব্যক্তি (যেমন- রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণশ্রমিক), অতিরিক্ত ওজন থাকা ব্যক্তি, শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষত হৃদরোগ বা উচ্চরক্তচাপ থাকা ব্যক্তির।
চিকিৎসকেরা বলেন, হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে শরীর হাইড্রেট রাখার কোনো বিকল্প নেই। তাপমাত্রা বেশি হলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের পোশাক পরে ঘরের বাইরে যেতে হবে। সূর্যের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করার। রোদে থাকতে হলে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
করণীয়:
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কিছু করণীয় জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি, জেনে নিন করণীয়গুলো।
দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন, রোদ এড়িয়ে চলুন।
বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ বা কাপড় দিয়ে মাথা যথাসম্ভব ঢেকে রাখুন।
হালকা রঙের, ঢিলেঢালা এবং সম্ভব হলে সুতির জামা পরুন।
প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
দিনের বেলায় একটানা শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
সম্ভব হলে একাধিকবার পানির ঝাপটা নিন বা গোসল করুন।
প্রস্রাবের রঙের দিকে নজর রাখুন। তা হলুদ বা গাঢ় হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়ান।
ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
বেশি অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এসির টেম্পারেচার যত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, হবে বিদ্যুৎ বিলেরও সাশ্রয়
বাহিরের এই তাপদাহে ঘরে ফিরে এসির হাওয়ায় ঠান্ডা হতে অনেকেই ১৬ ডিগ্রির সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় এয়ার কন্ডিশনার চালু করে। এটি করলে তাৎক্ষণিক শীতলতা পাওয়া যায়। আসলে এই অভ্যাস সম্পূর্ণ ভুল। এতে বিদ্যুতের বিল বেশি আসে এবং ঘরে বসে থাকা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েনসি (BEE), ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা ঘরে বসে থাকা মানুষের জন্য একেবারে সঠিক। এতে স্বাস্থ্যের ওপর কোনও খারাপ প্রভাব পড়ে না এবং বিদ্যুৎ বিলও সাশ্রয় হয়।
ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েনসি (BEE), কেউ দীর্ঘ সময় ধরে ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি চালালে সেটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে শুরু করে।
১৬ ডিগ্রিতে কি ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়? কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। আপনি যদি ১৬ ডিগ্রিতে এসি চালান, তাহলে আপনি অবশ্যই একটু ভালো ঠান্ডা অনুভব করবেন, কিন্তু এতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি।
২৪ থেকে ২৭ ডিগ্রিতে এসি চালালেও একই সময়ে রুম ঠান্ডা হবে। কিন্তু ১৬ বা ১৮ ডিগ্রিতে এসি চালালে কম্প্রেসারটি বেশি লোড হয় এবং বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।
এসির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়ানোর ফলে তিন থেকে চার শতাংশ কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। একটানা দীর্ঘ সময় এসি ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন না হলে এসি বন্ধ রাখুন।
মাশরুমের উপকারিতা ও যেভাবে খাবেন
ব্যাঙের ছাতা বলেই পরিচিত মাশরুম। এ কারণে হয়তো অনেকেই খেতে চান না। তবে যারা এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানেন, তারা ঠিকই খেয়ে থাকেন। মাশরুম ক্লোরোফিলবিহীন ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ এবং নতুন ধরনের সবজি যা সম্পূর্ণ হালাল, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও উচ্চখাদ্যশক্তি এবং ভেষজগুণে ভরপুর। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন আছে, যা অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভেজাল। এতে উপকারী শর্করা ও চর্বি আছে। তবে অনেকেই আছেন যারা এর উপকারিতা সম্পর্কে অল্প কিছু জানলেও এটি কীভাবে খেতে হয় তা জানেন না।
মাশরুমের পুষ্টিগুণ এবং এটি খাওয়ার উপায় সম্পর্কে পুষ্টিবিদের মতামত জেনে নেওয়া যাক।
মাশরুম : মাশরুম হচ্ছে ছত্রাক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার প্রজাতির মাশরুম পাওয়া গেছে। তবে সব ধরনের মাশরুম কিন্তু খাওয়া যায় না। বনে-জঙ্গলে পাওয়া মাশরুম বিষাক্ত। এ ক্ষেত্রে অর্গানিক বা নিজেদের চাষ করা মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। বাটান, ওয়েস্টার ও পোর্টেবেলো ধরনের মাশরুম রয়েছে, যা খুবই জনপ্রিয়। আর যেখানে সেখানে পাওয়া নয়, নিজে চাষ বা অর্গানিক মাশরুম খাওয়া নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত।
পুষ্টিগুণ : মাশরুমে ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিবায়োটিক, মিনারেল, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ডি ও বি।
উপকারিতা : অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাতে চান। এ ক্ষেত্রে তারা খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখতে পারেন। কারণ, মাশরুমে লো ক্যালোরি। যারা পেশি বাড়াতে চান তাদের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন হয়। তারা প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাশরুম খেতে পারেন। এ ছাড়া মাশরুমে পেনিসিলন থাকায় এটি অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। যা শরীরের জন্য উপকারী।
এ ছাড়া মাশরুম খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস কমানো, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ, হৃদযন্ত্র ভালো রাখা, কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস, ক্যানসার ও টিউমার প্রতিরোধ এবং শিশুদের হাড় ও দাঁত ভালো রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর উপকার পাওয়া যায়।
খাওয়ার উপায় : সালাদ হিসেবে মাশরুম খেতে পারেন। আবার মাশরুমের স্যুপ, ক্রিম মাশরুম স্যুপ খুব জনপ্রিয়। কেউ কেউ সবজির সঙ্গে মাশরুম দিয়ে রকমারি রেসিপি তৈরি করেন। নুডুলসের সঙ্গে বা ফ্রাই করেও খেতে পারেন। এছাড়া চাইলে স্যুপে আস্ত ব্যবহার না করে মাশরুমের পাউডার করে মিশিয়ে খেতে পারেন।
সতর্কতা: মাশরুম কখনোই কাঁচা বা অল্প সেদ্ধ অবস্থায় খাওয়া যাবে না। পরিপূর্ণ সেদ্ধ বা রান্না হলে তবেই খেতে হবে। তা না হলে হজম ও অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশনের সমস্যা হতে পারে। আবার খাওয়ার আগে মাশরুম বিষাক্ত কিনা, সেটি নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, আবার যদি কারও মাশরুম খাওয়ার পর অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাহলে না খাওয়া ভালো। কিডনি রোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মাশরুম খাওয়া ঠিক নয়। কারণ, এটি ছত্রাকজনিত প্রোটিন। এ ছাড়া হজমে সমস্যা বা পেটের সমস্যা হলেও না খাওয়াই ভালো।
প্রেমিকের কাছে মেয়েরা যে ৭ জিনিস প্রত্যাশা করেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অভিমানী প্রকৃতির হয়। তারা চায় না বলতেই যেন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝে যায়। মনে মনে অনেকে কল্পনার রাজ্যও গড়ে তোলে। এরপর যখন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝতে পারে না তখনি অভিমান হয় প্রেমিকার। আর এ কারনেই মেয়েদের তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একটা কমন অভিযোগ হলো- কেউ তাদের বুঝতে পারে না। অবশ্য এই দায় ছেলেরাও স্বীকার করে নিয়েছে যে, মেয়েদের মন বোঝার সাধ্য তাদের নেই। আসলেই কি নেই? মেয়েরা আসলে এমন কী চায় যে তাদের বুঝতে পারা সহজ হয় না? না-কি এই বুঝতে না পারার পেছনে ছেলেদের আগ্রহেরও অভাব রয়েছে? একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর পরস্পরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুঁড়তে থাকা সহজ। কিন্তু একে অন্যকে বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সেজন্য দু’জনের আগ্রহ কিংবা টান থাকা চাই।
প্রেমিকের কাছে মেয়েদের চাওয়া খুব বেশি থাকে না, যদি তা সত্যিই প্রেম হয়। ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখলেই তাদের মন জয় করা সম্ভব।
জেনে নিন মেয়েরা প্রেমিকের কাছে প্রত্যাশা করে এমন ৭টি জিনিস-
১. সবকিছুতেই থাকবেন পাশে
মেয়েরা সাধারণত তার প্রেমিকের কাছে সব বিষয়ে সাহায্য চান না। কিন্তু তারা আশা করেন যে, মনের মানুষ সবসময় তাদের মাথায় ছাতার মতো ছায়া দেবেন। তাই এবার থেকে প্রেমিকাকে সমস্যায় দেখলে কোনও দিকে না তাকিয়ে দ্রুত তা সমাধানের কাজে লেগে পড়ুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই প্রেমিকার মনে হৃদয়ে চিরস্থান পেতে সুবিধা হবে।
২. দেবেন সম্মান
২০২৪ সালে দাঁড়িয়েও অনেক ছেলে মেয়েদের কোনও রকম সম্মান দেন না। আর এই বিষয়টাই তাদের প্রেমের পথে অন্তরায়। তাই নিজের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে প্রেমিকাকে যথাযোগ্য সাম্মান দিন। আর এই কাজটা গোপনে নয়, সবার সামনেই করুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই আপনাদের প্রেমের রাস্তায় কোনও বাধা বিপত্তি মুখ তুলতে পারবে না। বরং আপনারা হেসেখেলে আগামীদিনগুলো কাটাতে পারবেন।
৩. নিজের থেকেও আপন
মেয়েরা প্রেমিকের অকৃত্রিম ভালোবাসা চান। এমনকী প্রেমিক যাতে নিজের থেকেও তাকে বেশি ভালোবাসেন, এই বিষয়টাও মনে মনে আশা করেন তারা। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই প্রেমিকাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। তাকে সবসময় প্রেমের কথা বলুন। ব্যস, তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে। তারপর তিনি আপনার সঙ্গে সারাজীবন হাতে হাত রেখে চলার জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে পড়বেন।
৪. সততার নেই বিকল্প
প্রেমের গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে সবসময় সত্যি কথা বলতে হবে। এমনকী প্রেমিকার থেকে কোনো কিছু লুকানো চলবে না। কারণ প্রেমিকা যে গোপনে আপনার থেকে সততাই আশা করেন। তাই এতদিনের ভুল শুধরে নিতে চাইলে প্রেমিকাকে সবসময় সত্যি কথা বলুন। এমনকী কোথাও কোনও ভুল হলে, সেই কথাও সময় করে জানিয়ে দিন।
৫. সবসময় রাখবেন ভালো
আমাদের সকলের জীবনের লক্ষ্যই হলো ভালো থাকা। আর মেয়েরাও ঠিক একই পথের পথিক। তাই তারা আশা করেন যে তার মনের রাজকুমার তাকে সবসময় হাসিখুশি রাখবে। সুতরাং প্রেমিকার মনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চাইলে তাকে সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর এই কাজটা করলেই কিন্তু তিনি আপনাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন।
৬. মনোযোগ
মেয়েরা প্রেমিকের কাছ থেকে মনোযোগ প্রত্যাশা করে। প্রেমিক যদি তার কথা মন দিয়ে শোনে, কোনো সমস্যায় সমাধান খুঁজে দেয়, মানসিকভাবে সমর্থন দেয় তাহলে মেয়েরা খুশি হয়। আর যদি প্রেমিক নিজের মতো ব্যস্ত থাকে, প্রেমিকার কথার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ফোন কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায় তখন বিরক্তি চলে আসে।
৭. সারপ্রাইজ
মুখে না বললেও একথা সত্যি যে মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে ভালোবাসে। অবশ্য সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। তবে তুলনামূক ছেলেদের থেকে বেশি মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে। খুব দামি কিছু হতে হবে তা কিন্তু নয়। চাইলে একটি চকোলেট কিংবা ফুল দিয়েও তাকে চমকে দেওয়া যায়। প্রেমিকাকে খুশি রাখতে এটুকু তো সামান্যই, নয় কি!
হিট স্ট্রোক কেন হয়, প্রতিরোধে যা করবেন
দেশের সবচেয়ে তাপপ্রবাহের মাস এপ্রিল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন পারদ স্তম্ভ বেড়েই চলছে। অধিক তাপমাত্রা জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ওপর প্রভাব বেশি পড়ে। তীব্র গরমে জনদুর্ভোগের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
এমন বৈরী পরিবেশে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয় মানুষ। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান কেউ কেউ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ চুয়াডাঙ্গা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মোট ২ জন হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।
হিটস্ট্রোকের প্রধান লক্ষণগুলো নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, শরীর থেকে পানি, তরল পদার্থ ও লবণও বেরিয়ে যায়, তখন আমাদের শরীরের রক্তের চাপ কমে যায়। সেই সঙ্গে নাড়ির গতি বেড়ে যায়। শরীর অবসন্ন লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। এ কারণে বমি-বমি ভাব লাগে ও বমিও হতে পারে। অনেকে চোখে আবছা দেখে। মাথা ঘুরতে থাকে। কেউ কেউ অসংলগ্ন কথা-বার্তাও বলে। এগুলো হচ্ছে হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ।
তিনি বলেন, হিট স্ট্রোক হলে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারেন। জ্ঞান হারালে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, এই গরমের মধ্যে যারা বাইরে বের হবেন, তারা যদি সঙ্গে একটু খাবার পানি রাখেন এবং যাদের রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকার বাধ্যবাধকতা আছে, তারা যদি ওরস্যালাইন নিয়ে বের হন তাহলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে একটু পর পর তারা পানি ও ওরস্যালাইন খাবেন এবং প্রস্রাবের রঙ ও পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রস্রাবের রঙ বদলের পাশাপাশি পরিমাণ কমে গেলে পানিসহ তরলজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
ডা. লেনিন জানান, তাপপ্রবাহের সময়টাতে টাইট জামাকাপড় না পরে ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরতে হবে। এ সময় ছাতা নিয়ে বের হলে ভালো হয়। আর যারা শ্রমজীবী, টানা রোদের মধ্যে কাজ করেন তাদের কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রামের সঙ্গে পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় যে সরবত, পানি বিক্রি হয় তা খাওয়া যাবে না। কারণ এই সরবত যে পানি কিংবা বরফ দিয়ে বানানো হয় সেটা কোনোমতেই সুপেয় না।
তিনি বলেন, এর বাইরে বয়স্ক মানুষ, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগতে থাকা সংবেদনশীল মানুষদের নিতান্তই প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বের না হওয়া ভালো।
লেনিন চৌধুরী বলেন, গরমের ভেতর তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি খাওয়া একেবারেই উচিত না। কারণ, আমাদের গলায় শ্বাসনালীর ওপরের অংশে কিছু সুবিধাবাদী জীবানু বাস করে। সুবিধাজনক অবস্থা পেলেই এরা আক্রমণ করে। যখন চারপাশে গরম তখন হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি গলায় গেলে গলার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। এই জীবাণুগুলো তখন সক্রিয় হয়ে ওঠে।