ভারতের পাশে দাঁড়াতে চীনের বার্তা
ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় বিরোধ লাগলেও করোনা মহামারি এ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে দাঁড়াতে চায় চীন। সেজন্য শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় ভারতে বেড়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
বার্তা পাঠানোর বিষয়টি শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি নিশ্চিত করেছেন। চীনে উৎপাদিত করোনা সংক্রমণ বিরোধী যন্ত্রপাতি ভারতে দ্রুত প্রবেশ করছে বলেও জানান তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে দেয়া বার্তায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, মহামারির এই পরিস্থিতিতে ভারতকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে চীন। করোনা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংহতি ও সমন্বয় প্রয়োজন।
এফএ/পি
মন্তব্য করুন
বাতাসেই ভেঙে পড়ল সেতু
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে রাতে একটু ঝড়ো বাতাসেই ধসে পড়েছে ৮ বছর ধরে নির্মাণাধীন সেতু। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন অর্ধ-শতাধিক মানুষ। ধ্বংসস্তূপ এদিক-সেদিক হলেই তার নিচে চাপা পড়তেন তারা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। সোমবার দিবাগত রাতে তেলেঙ্গানা রাজ্যের পেদ্দাপল্লী জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন রাতে তেলেঙ্গানার পেড্ডাপল্লি জেলায় একটি নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে দুটি পিলারের মধ্যে পাঁচটি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়ে। বাকি তিনিটি শিগগিরই ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সেতুটি থেকে ৬০০ মিটার দূরে ওদেদু গ্রামের সরপঞ্চ সিরিকোন্ডা বাক্কা রাও বলেন, সৌভাগ্যক্রমে একটি ৬৫ জনের একটি বিয়ের বাস মাত্র এক মিনিট আগে অতিক্রম করে কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।
২০১৬ সালে তৎকালীন তেলেঙ্গানা বিধানসভার স্পিকার এস মধুসূদন চারী এবং স্থানীয় বিধায়ক পুট্টা মধু মানাইর নদীর ওপর প্রায় এক কিলোমিটার সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন এবং এর জন্য প্রায় ৪৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। কাজটি এক বছরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল এবং তিনটি শহর মন্থনী, পরাকাল এবং জাম্মিকুন্টার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার কমিয়ে আনার কথা ছিল। সেতুটি ভূপালপল্লীর টেকুমাতলা মণ্ডলের গারমিল্লাপাল্লু থেকে পেড্ডাপল্লীর ওডেডেডুকে সংযুক্ত করার কথা ছিল।
স্থানীয়রা জানান, কমিশনের জন্য চাপ থাকায় এবং সরকার তার বকেয়া পরিশোধ না করায় ঠিকাদার এক বা দুই বছরের মধ্যে কাজ বন্ধ করে দেন।
ওই একই ঠিকাদার ভেমুলাওয়াদায় একটি সেতু নির্মাণ করেছিলেন যা ২০২১ সালে ভারী বৃষ্টিতে ভেসে যায়। গ্রামবাসীরা গত পাঁচ বছর ধরে সেতুর নীচে কাঁচা রাস্তা তৈরি করে চলাচল করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ রাও বলেন, প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছিল এবং গত বছর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ না করেই আরও ১১ কোটি টাকা খরচ যোগ করা হয়েছিল।
ভারতীয় হৃদয়ে প্রাণ বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর
আয়েশা রাশান। ১৯ বছরের এক পাকিস্তানি তরুণী। হৃদপিণ্ডের দুরারোগ্য এক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায়ই ছিল না ওই ব্যাধি থেকে মুক্তির। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না সেই চিকিৎসার খরচ চালানোর, মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত ডোনারও। এদিকে ক্রমেই জীবনপ্রদীপ নিভে আসছিল আয়েশার, সঙ্গে দূর আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছিল তার ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন।
এরই মধ্যে করাচির এ তরুণীর জীবনে ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হলো পাশের দেশ ভারত। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তার হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সার্জারিটি সম্পন্ন করলেন চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ারের চিকিৎসকরা। ভারতীয় এক হৃদপিণ্ডে নতুন জীবনের মুখ দেখলেন পাকিস্তানি তরুণী।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয় এই তথ্য।
মেয়ের নতুন জীবন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেনি আয়েশার পরিবার। তারা বলেছে, ট্রাস্ট এবং চেন্নাইয়ের ডাক্তারদের সহায়তা ছাড়া অপারেশনটির খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। ভারতের চিকিৎসকরা তাদের কাছে দেবদূত হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। যে মেয়ের জীবনের আশা একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছিল, সেই মেয়েকেই নতুন হৃদয় দিয়ে পুনর্জীবন দিয়েছেন তারা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আয়েশার অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারবেন। তার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা একদম শেষের দিকে ছিল। তাকে সেই অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তার হৃদপিণ্ডে দুটি ফুটো হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন হয়।
তারা জানান, একটি হার্ট ট্রান্সপ্লান্টে ৩৫ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু আয়েশার অপারেশনের সমস্ত ব্যয়ভার ট্রাস্ট এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করেছে।
ডা. কে আর বালাকৃষ্ণান, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট), এবং ডা. সুরেশ রাও (সহ-পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট) জানিয়েছেন, দানকারী হৃদপিণ্ডটি দিল্লি থেকে এসেছে। তারা আরও জানান, আয়েশা আমাদের মেয়ের মতোই। সে আসলেই ভাগ্যবতী।
এ সময় তারা আরও জানান, তামিলনাড়ু অঙ্গদান এবং প্রতিস্থাপনে এগিয়ে গেছে। সরকারের কাছে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের ব্যয়ভার আরও কমিয়ে আনার অনুরোধ জানান এ চিকিৎসকরা।
গাধার দুধ বিক্রি করে কোটিপতি, গড়ে তুলেছেন খামার (ভিডিও)
কথায় আছে টাকা থাকলে মেলে বাঘের দুধও। প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত গরু, ছাগল, মহিষের দুধ। অন্যান্য প্রাণীর মতো মানুষের খাবার উপযোগী গাধাও যে দুধ দেয় সে সম্পর্কে কজনেরই বা জানা।
যদিও গাধা নাম শুনলেই মনে হয়, এটি শুধুই বোঝা বহনকারী একটি প্রাণী। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান যতই উন্নত হচ্ছে ততই এই প্রাণীর কদর বাড়ছে।
বিজ্ঞান জানান দিচ্ছে, গাধার দুধের নানা গুণের কথা। তাই হয়তো নতুন করে এর কদর দেখা যাচ্ছে। যার প্রতি লিটার ৫-৭ হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। টাকায় যা প্রায় ৯ হাজারের বেশি। এই গাধা দিয়েই ভাগ্য ফিরিয়েছেন ভারতের গুজরাটের এক যুবক।
ভারতের সংবাদমাধ্যম বলছে, গুজরাটে ধীরেন নামে যুবকের ভাগ্য খুলেছে এই দুধ বিক্রির মাধ্যমে। মাসে ২-৩ লাখ রুপি ইনকাম করছেন তিনি। গরুর দুধের প্রায় ৭০-৮০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাধার দুধ।
সব রেখে এই ব্যবসায় কেন ধীরেন? উত্তরে তিনি বলেন, সরকারি চাকরির আশায় পড়াশোনা শেষে সেই দিকে মনোযোগ দেয়। না পেয়ে বেসরকারি চাকরির প্রতি ঝোঁক বাড়ায়। যখন সেখান থেকেও তেমন ইনকাম আসছিল না, তখন মাথায় আঁকেন ব্যবসার ছক। তখন তিনি ভাবলেন গাধার দুধ বিক্রি করবেন। ব্যাস, যেমনই পরিকল্পনা তেমনি কাজ শুরু।
ধীরেন নিজের গ্রামেই গাধার গোয়াল করেন। ২২ লাখ টাকায় ২০টা গাধা কেনেন। শুরুটা ভালো না গেলেও ৮ মাসের ব্যবধানে, আজ তার মাসিক ইনকাম লক্ষাধিক। এখন ৪২টি গাধার মালিক ধীরেন। বর্তমানে ৩৮ লাখ বিনিয়োগ আছে এই খাতে।
নিজের গ্রাম ছাড়িয়েও আরও কয়েকটি গ্রামে তার ব্যবসা সফলতার সঙ্গে চলছে। যা ছিল একসময় অতীত, তা এখন এই যুবকের জন্য ফের শিরোনামে।
একসময় গাধার দুধ ছিল বেশ জনপ্রিয়। গল্প আছে, রানি ক্লিওপেট্রা গাধার দুধে গোসল করে সৌন্দর্যের অপসরা হয়েছিলেন।
গ্রীকের একদল চিকিৎসকরা মনে করতেন যকৃতের অসুখ থেকে বিষপ্রয়োগ সবই সারিয়ে দিতে পারে এই গাধার দুধ।
মার্কিন সংস্থার বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, এই দুধ শিশুর জন্য অনেক উপকারী কোনো শিশুর গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকলে গাধার দুধ ভরসার জায়গা হতে পারে।
রোবটের সাহায্যে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার অস্ত্র, বিস্ফোরক
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দিনে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বিস্ফোরক-অস্ত্র উদ্ধার।
সন্দেশখালিতে শুক্রবার সিবিআই, সিআরপিএফ ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি শাজাহান শেখের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। এনএসজি রোবট এনে আরও বিস্ফোরক উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খাঁর ভগ্নীপতির বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে। সবচেয়ে বড় কথা, এবার অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করার কাজে রোবটের সাহায্য নেওয়া হয়।
টিভির পর্দায় দেখা যায়, রোবট কী করে অস্ত্র ও বিস্ফোরকের খোঁজ করছে। হাফিজুলের আত্মীয়ের বাড়ির চারপাশে মাছের ভেড়ি। সেখানে মাটি খুঁড়ে প্রচুর বিদেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। মেঝে খুঁড়েও অস্ত্রের খোঁজ মিলেছে। ফলে এলাকায় নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
ভোটের ছবি শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্র দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে শুক্রবার হয়েছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিনটি কেন্দ্রেই প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের জন্য মানুষ সকাল সকাল ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। দুপুরের পরে আবার বুথে লম্বা লাইন দেখা গেছে। ফলে দিন শেষে ভোটের হার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রে বড় কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।
বালুরঘাটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীরা। দার্জিলিংয়ে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বিতণ্ডা হয়েছে। রাজুকে ঘিরে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সুকান্তকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সারা দেশে ভোট দেশের অন্যত্র পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় কম ভোট পড়েছে। দেশেভোট পড়ার গড় হার হলো ৫০ শতাংশ। কোথাও কোনো গোলমাল হয়নি।
হেলিকপ্টারের সিটে বসতে গিয়ে পড়ে গেলেন মমতা
হেলিকপ্টারে ওঠার পর সিটে বসতে গিয়ে হঠাৎ পা পিছলে পড়ে গিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে এই ঘটনা ঘটে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, গাড়ি থেকে নেমে হেলিকপ্টারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মমতা। তার পেছনে কিছু দূরেই হাঁটছেন ইন্দ্রনীল সেন। মমতা সিঁড়ি ধরে উঠছিলেন। ধীরে ধীরে হেঁটে ভেতরে প্রবেশও করেন। কিন্তু আসনের সামনে পৌঁছে হঠাৎ তার হাত ফসকে যায়। তাতেই পড়ে যান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দেহরক্ষীকে দেখা যায় ব্যস্ত হয়ে এগিয়ে যেতে। নিচু হয়ে মমতাকে উঠতে সাহায্য করতেও দেখা যায় তাকে।
তবে পড়ে গেলেও নিজের সভা বাতিল করেননি পশ্চিমবঙ্গের এ মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত উঠে নিজেকে সামলে নেন তিনি। পরে কুলটিতে মমতার প্রথম সভার উদ্দেশে হেলিকপ্টারও রওনা হয়। যথাসময়েই তিনি সেখানে পৌঁছান এবং বক্তৃতাও শুরু করেন। তবে পড়ে যাওয়ার বিষয়ে সভায় কোনো কথা বলেননি মমতা।
কিছুদিন আগেও আহত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৪ মার্চ বাড়িতে পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পান তিনি। সেই ঘটনায় তার ক্ষতস্থানে সেলাইও দিতে হয়েছিল। ওই ঘটনার ৪৪ দিন পরে আবারও আহত হলেন তিনি।
শেষ বার কপালে আঘাত লাগার কয়েক সপ্তাহ পরই অবশ্য মাথায় লিউকোপ্লাস্ট আটকে ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছিলেন মমতা। রাজ্যের জেলায় জেলায় ঘুরে গরমের মধ্যেই তৃণমূলের প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করছিলেন তিনি। তবে গরমে যে তার সভা করতে অসুবিধা হচ্ছে সে কথাও বলেছিলেন । কিন্তু তার পরও ভোটের প্রচার সভায় যোগ দেওয়া বন্ধ রাখেননি মমতা।
সম্প্রতি এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘হেলিকপ্টার হিট চেম্বার হয়ে থাকে। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট হচ্ছে, শরীরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এই গরমে নির্বাচন করা উচিত হয়নি।’
চাকরি ছেড়ে বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে কর্মীর নাচানাচি
কর্ম পরিবেশকে বিরক্তিকর উল্লেখ করে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন ভারতের পুনের এক ব্যক্তি। বিক্রয় সহযোগী হিসেবে কাজ করা অঙ্কিত চাকরি ছেড়েই বসের সামনে ঢোল বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন। এ ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেন তারই বন্ধু জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর আনিশ বাগাত।
ওই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, এ ধরনের ঘটনা সামনে আরও দেখা যাবে, কর্ম পরিবেশ দিন দিন অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে। কারণ কর্মপরিবেশ ভালো না হলে চাকরি করা কঠিন।
বাগাত বলেন, তিন বছর ধরে কর্মপরিবেশ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন অঙ্কিত। ইনস্টাগ্রামে ওই ভিডিও শেয়ার করে অঙ্কিত বলেন, বসের কাছে আমার কোনো সম্মান ছিল না। মধ্যবিত্ত হওয়ায় বাধ্য হয়ে এতদিন চাকরি করতে হয়েছে।
অঙ্কিত তার অফিসের শেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বন্ধু বাগাতের সঙ্গে আলোচনা করেন। বাগাতই তাকে অফিসের বাইরে ঢোল বাজানোর পরামর্শ দেয়। যখন ওই অফিসের ম্যানেজার বাইরে বের হন তখনই অঙ্কিতের বন্ধুরা ঢোল বাজাতে শুরু করে। ম্যানেজার এ দৃশ্য দেখে রেগে গিয়ে তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
হারাপ্পা ইনসাইডের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মী বান্ধব বস এবং কর্মপরিবেশ ভালো না হলে অনেকে চাকরি ছেড়ে দেন। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বসের খারাপ ব্যবহারের কারণে প্রায় ৫৮ শতাংশ কর্মী চাকরি ছাড়েন।
View this post on Instagram
A post shared by Anish Bhagat (@anishbhagatt)
বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকায় ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের সরকার।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনোমিক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ভারত সরকারের আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য রপ্তানি বন্ধ ছিল বেশ কয়েক সপ্তাহ। তবে এখন আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ভারত সরকার।
ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেডকে (এনসিইএল) এই পেঁয়াজ রপ্তানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ এবং আলোচনার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে, এই ৬ দেশে এনসিইএল পেঁয়াজ রপ্তানি করবে বলে জানা যায়।
যেসব দেশ পেঁয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে থাকে এনসিইএল। আর যে দেশগুলোতে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হবে বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়া ২ হাজার টন সাদা পেঁয়াজ রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।