পাপুলের আরও কেলেঙ্কারির অভিযোগ পেয়েছে কুয়েতি কর্তৃপক্ষ
মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে পুলিশের কাস্টডিতে আছেন বাংলাদেশি এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল। কুয়েতের গণমাধ্যম রোববার জানিয়েছে, এগুলো ছাড়াও আরও কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন বাংলাদেশি এই এমপি। খবর গালফ নিউজের।
সরকারি সূত্রগুলো আল কাবাসকে জানিয়েছে, পাপুলের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে অন্তত চারটি কাজ পাইয়ে দিয়েছে কুয়েতের বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা। সূত্রগুলো জানিয়েছে, চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেগুলো নবায়ন করেছে সরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে।
যে চারটি কন্ট্রাক্টের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে সেগুলোর মূল্য ১০ লাখ কুয়েতি দিনার। আর এই কন্ট্রাক্টগুলো মূলত পরিচ্ছন্নতাকর্মী কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, পাপুলের কোম্পানির সঙ্গে কন্ট্রাক্টের মেয়াদ ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য চলতি মাসের শুরুর দিকে সেন্ট্রাল এজেন্সির কাছে চিঠি পাঠায় সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পরে বিবেচনার জন্য ওই টেন্ডারগুলো স্থগিত করে এজেন্সি।
আরও একটি সরকারি কোম্পানিও পাপুলের কোম্পানি কাজ দেয়। পরে সেই কাজের মেয়াদ চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ওই কাজের মূল্য ছিল ৭ লাখ ২০ হাজার কুয়েতি দিনার।
অভিযোগ রয়েছে যে, মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্বরত আছেন পাপুল। এছাড়া কুয়েতে তার ৫০ লাখ দিনারের সম্পদ রয়েছে। তবে সূত্রগুলো জানিয়েছে, কুয়েতে চারটি কোম্পানি রয়েছে পাপুলের। এসব কোম্পানি সাধারণ বাণিজ্য, কন্ট্রাক্টিং এবং রাস্তা ও ভবন পরিষ্কারের কাজ করে থাকে।
এ
মন্তব্য করুন