• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আসামে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গাড়িবহরে হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:১১
Security has been strengthened after the Bangladesh High Commission's carriage attack in Assam
ছবি সংগৃহীত

ভারতের পার্লামেন্টে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইন পাসের বিরুদ্ধে আসাম রাজ্যে চলমান সহিংসতা এবং কারফিউর পটভূমিতে গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুয়াহাটিতে বৃহস্পতিবারের মিছিল এবং বিক্ষুব্ধ লোকজনের মধ্য থেকে কিছু লোক মিশনের দুটো সাইনপোস্ট ভাংচুর করে যা চ্যান্সেরি প্রাঙ্গণ থেকে প্রায় ত্রিশ গজ দূরত্বে অবস্থিত।

মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানানো জানতে পেরেছে যে- বুধবার ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার সময় নিরাপত্তা বহরে হামলা চালায় নাগরিকত্ব বিলের বিরোধী উত্তেজিত জনতা।

এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলিকে ডেকে বাংলাদেশের হাইকমিশন কর্মকর্তার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় এবং হাইকমিশন প্রাঙ্গণে সাইনপোস্ট ভাংচুরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা-কর্মীদের এবং জিনিসপত্রের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ করেন।

রিভা গাঙ্গুলি নিশ্চয়তা দেন যে, ঘটনার পরপরই গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের চ্যান্সেরি এবং বাসভবনে এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের জন্য এই ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সতর্ক করা হয়েছে। ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি পাস হওয়ার পর থেকেই আসামের বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়।

রাতভর বিক্ষোভের পর রাজ্যটিতে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বহু লোক।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ভারতের যথাযথ কর্তৃপক্ষ সহকারী হাইকমিশন এলাকা, কমিশনের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় এরই মধ্যে ব্যবস্থা জোরদার করার পদক্ষেপ নিয়েছে। গাড়িবহরে হামলার ঘটনাকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেখা হচ্ছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে বাংলাদেশ মনে করে।

আসামে যারা এই আইনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাদের বক্তব্য, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আসামে আরও বেশি সংখ্যক বাঙালি হিন্দুর আসার পথ খুলে দেয়া হয়েছে। আসামে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় অসমীয়া জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাভাষী জনগণের বিরোধ চলছে।

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের হামলায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত
হামাসের অবস্থানগুলোতে হামলা চালাতে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী
X
Fresh