ইমরানকে সরাতে চাইছে সেনাবাহিনী?
পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারে বলে খবর রটেছে। মূলত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ১১১ ব্রিগেডের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দেয়ার পর এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। আর ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম পাকিস্তানে সম্ভাব্য সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে খবর প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, গোপন একটি বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। ওই বৈঠকে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা উপস্থিত ছিলেন। যদিও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান খান।
জানা গেছে, বুধবারের ওই বৈঠকের পরই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সব বিভাগের কর্মী ও সদস্য ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। তাদের প্রত্যেককে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। ১১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের সব অফিসারদেরও একই নির্দেশ পাঠানো হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন বা আইএসপিআর জানিয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই ওই বৈঠক করা হয়েছে। তবে যদি তাই হয়, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে ইমরান কেন উপস্থিত ছিলেন না- তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে?
এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের খবর চাউর হওয়ার মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ১১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের ছুটি বাতিলকে। কারণ এ পর্যন্ত পাকিস্তানে যে চারবার সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে, তার মধ্যে দুটিই ঘটিয়েছে এই ১১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, পাকিস্তানের বিরোধীদের দাবি ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে রয়েছে সেনাবাহিনী। আর কাশ্মীর ইস্যু ইমরান যেভাবে সামলেছেন, তাতে ‘সেনাবাহিনীর পুতুল’ ইমরানের ওপর অসন্তুষ্ট সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইমরান খানকে সরাতে ইসলামাবাদে অবরোধের ডাক দিয়েছে দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল জামিয়েত উলেমায়ে ইসলাম। আগামী ২৭ অক্টোবর ‘আজাদী মার্চ’ নামে ওই অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে তারা।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত মোট চারবার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ১৯৫৮, ১৯৬৯, ১৯৭৭ এবং ১৯৯৯ সালে অভ্যুত্থান ঘটায় সেনাবাহিনী। এর মধ্যে দুইবার সেনাবাহিনীর ১১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডকে ব্যবহার করে সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে।
এ
মন্তব্য করুন