ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। এতে ইসরায়েলের একটি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে এবং এতে থাকা সেনারা হতাহত হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

লেবাননের আল মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে পার্সটুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোববার ইসরায়েলের আভিভিম সামরিক ঘাঁটির সড়কে রাখা দুটি সামরিক যানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় হিজবুল্লাহর দুটি সশস্ত্র গ্রুপ। এতে একটি সামরিক যান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং অপরটিতে আগুন ধরে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা ইসরায়েলি সেনারা হতাহত হয়েছে।

হামলার কথা নিশ্চিত করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ইসরায়েলি ঘাঁটি ও সামরিক যান লক্ষ্য করে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে একটি সামরিক যান ধ্বংস হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, লেবানন সীমান্ত থেকে ইসরায়েলের চার কিলোমিটার ভেতরের এলাকার একটি গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। হামলার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়া ওই গ্রামের কাছে একটি উন্মুক্ত আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সীমান্তে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে। এছাড়া হিজবুল্লাহর সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে সামরিক বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণও স্থগিত করেছে ইসরায়েল।

শনিবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজধানী বৈরুতে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি ড্রোন হামলার জবাব দেয়ার যে সিদ্ধান্ত তার সংগঠন নিয়েছে তার কোনও নড়চড় হবে না। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের ড্রোন হামলার জন্য ইসরায়েলকে ‘মূল্য পরিশোধ করতে হবে’।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার পর হিজবুল্লাহ নেতা তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর লেবাননের শেবা কৃষি খামার সংলগ্ন সীমান্তে ইসরায়েল তাদের সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে।

ডি/