হংকংয়ে প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে আহত ২২
হংকংয়ে প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ২২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলটির হসপিটাল অথরিটির এক মুখপাত্র।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় তারা আহত হন বলে এই মুখপাত্রের বরাতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন। তিনি জানান, আহতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী।
হংকংয়ের ইনফরমেশন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের এক মুখপাত্র জানান, আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত এবং ছয়জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্য ছয় জনের সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি।
গণমাধ্যমটি জানায়, আহতরা বর্তমানে হংকংয়ের মধ্যাঞ্চলের কুইন ম্যারি এবং রুট্টোনজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হংকংয়ের আইনসভায় এই প্রত্যর্পণ বিল পাস হলে চীন ইচ্ছামতো সন্দেহভাজন অপরাধীদেরকে অঞ্চলটি থেকে মূল ভূখণ্ডে এনে তাদের বিচার করতে পারবে।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য উ চি-ওয়াই এক সংবাদ সম্মেলনে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যামকে বিলটি বাতিল করার আহ্বান জানান। একথা জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
তিনি বলেন, আমি মনে করি আজকের মধ্যে তিনি বিলটি প্রত্যাহার করবেন। সরকার দাবি মেনে না নিলে বিক্ষোভ ধীরে ধীরে জোরালো হবে।
তিনি আরও বলেন, হংকংয়ের মানুষ এই শহরের মূল্যবোধ টিকিয়ে রাখতে যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত আছে।
নিষিদ্ধ হংকং ন্যাশনাল পার্টির নেতা অ্যান্ডি চ্যান হো-তিন এদিন সকাল দশটা থেকে বিক্ষোভস্থলে ছিলেন। তিনি বলেন, এখানে কোনও নেতা নেই, লাউডস্পিকার নেই, সব জনতার হাতে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই তরুণ-তরুণী। ছবি: হংকংয়ের গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
এই বিলের বিষয়ে ক্যারি ল্যাম হংকংয়ের ব্রডকাস্টিং কোম্পানি টিভিবি’কে বলেন, এটা অনস্বীকার্য যে বিলটি বিতর্কিত। তাই এটা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।
বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, তরুণ-তরুণীরা এতে সম্পৃক্ত হওয়ায় আমি খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তারা বলছে যে আমি হংকংকে বেচে দিয়েছি, কিন্তু আমি সেটা কিভাবে করতে পারি?
তিনি আরও বলেন, আমি এখানে জন্মেছি এবং সবার সঙ্গে বসবাস করছি। আমি আমাকে হংকংয়ের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছি।
হংকংয়ের আইনসভায় এই বিল নিয়ে আজ দ্বিতীয় দফার বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে সরকারি কার্যালয়গুলোর সামনে জড়ো হতে থাকে তরুণ-তরুণীরা।
এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কয়েক জায়গায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং পুলিশ বিক্ষোভকারীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে।
কে/
মন্তব্য করুন