পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন মিয়ানমারে কারাবন্দি রয়টার্সের দুই সাংবাদিক
চলতি বছর দুটি পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে যুরক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। এর মধ্যে একটি পুরস্কার পেয়েছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং বৌদ্ধ গ্রামবাসীদের হাতে ১০ মুসলিম রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করায়। আর এই খবর সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের দায়ে সংবাদ সংস্থাটির দুই সাংবাদিককে কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমার সরকার।
মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি। এতে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ইন দিন নামের একটি গ্রামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ করে পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া রয়টার্সের দুই সাংবাদিক হলেন ওয়া লোন এবং কিয়াও সোয়ে ওও। মিয়ানমারের এই দুই নাগরিক ৪৯০ দিন ধরে দেশটিতে কারাবন্দি আছেন।
তাদের পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে রয়টার্সের এডিটর-ইন-চিফ স্টেফেন জে. অ্যাডলার বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ করায় আমরা যে স্বীকৃতি পেয়েছি, তাতে আমরা খুবই সন্তুষ্ট। কিন্তু যাদের নিয়ে খবর প্রকাশ করে আমরা এই স্বীকৃতি পেয়েছি, তাদের ওপর দৃষ্টিনিবদ্ধ করা উচিত মানুষের। এসব অসহায় মানুষের জন্য কাজ করা উচিত সবার।
সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওয়া লোন এবং কিয়াও সোয়ে ওও একটি গণকবর খুঁজে পেয়েছিলেন। এরপর তারা হত্যাকারী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেন। তারা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তিনটি ছবি সংগ্রহ করেন। দুটি ছবিতে দেখা যায় ১০ জনকে বেঁধে রাখা হয়েছে। অন্যটিতে একটি কবরে তাদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই দুই সাংবাদিক তাদের প্রতিবেদন শেষ করার আগেই ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। ‘মিয়ানমারে হত্যাকাণ্ড’ শিরোনামের এই প্রতিবেদন শেষ করেন তাদের সহকর্মী সাইমন লেউইস এবং অ্যান্টনি স্লোডকোস্কি। রয়টার্স গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
সংবাদ সংস্থাটি আরেকটি পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী মধ্য আমেরিকান অভিবাসীদের ছবি প্রকাশের জন্য। ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে ‘আমেরিকার অভিবাসীদের যাত্রা’ শিরোনামের একটি প্যাকেজে ছিল রয়টার্সের ১১ ফটোগ্রাফারের ছবি। ২০০৮ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত সাতটি পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি।
কে/ডি
মন্তব্য করুন