জইশ প্রধান আজহার জীবিত, দাবি পাকিস্তানি গণমাধ্যমের
পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, জইশ-ই-মুহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের মৃত্যু হয়নি। যদিও পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে তেমন কিছুই বলা হয়নি।
মাসুদ আজহারের মৃত্যু হয়েছে বলে রোববার ভারত ও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে একটা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, মাসুদ আজহার গুরুতর অসুস্থ। তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। পরে শোনা গিয়েছিল মাসুদ আজহারের কিডনি কাজ করছে না। রাওয়ালপিন্ডির সেনা হাসপাতালে তার চিকত্সা চলছে। এর মধ্যেই রোববার তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে পাকিস্তানে জিও টিভি উর্দুর খবর অনুযায়ী মাসুদ আজহারের মৃত্যুর খবর মিথ্যা। জইশ প্রধানের পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানাচ্ছে, আজহার বেঁচে আছেন। অন্যদিকে এতো বড় এক জল্পনার মধ্যেও মুখ খোলেনি পাকিস্তান সরকারের কোনও মন্ত্রী বা কর্মকর্তা। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীকে রোববার এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমি এ নিয়ে কিছুই জানি না।’
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরের বাসিন্দা মাসুদ আজহার বালাকোটে বিমান হানার সময় কোথায় ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সে যে গুরুতর অসুস্থ তা স্বীকার করেছে পাকিস্তান সরকার। ফলে সে অসুস্থ নাকি আহত তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি-৮১৪ বিমানকে দিল্লি থেকে কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে অপহরণ করে জঙ্গিরা। বিমানটিকে তারা আফগানিস্থানের কান্দাহার নিয়ে যায়। সেখান থেকেই দাবি করা হয় ভারতের জেলে বন্দি মাসুদ আজহারকে ছাড়তে হবে। বিমান যাত্রীদের কথা ভেবে সেটাই করে তত্কালীন এনডিএ সরকার। মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপরই ২০০০ সালে পাকিস্তানে ফিরে জইশ-ই-মুহাম্মদ তৈরি করেন আজহার। যদিও পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে তেমন কিছুই বলা হয়নি।
এ
মন্তব্য করুন