ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের বন্ধু-পরামর্শদাতা রজার স্টোন গ্রেপ্তার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা রজার স্টোনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুলার তদন্তে তার বিরুদ্ধে উঠে আসা সাতটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে স্টোনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে ফোর্ট লডারডেল শহরের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি।
স্টোনের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগের পাঁচটি মিথ্যা সাক্ষ্যপ্রদান এবং দুইটি যথাক্রমে সরকারি কাজে বাধাপ্রদান ও সাক্ষীকে প্রভাবিত করা সংক্রান্ত।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কর্মকর্তাদের ইমেইল হ্যাকিংয়ের যে অভিযোগ উঠেছে, তার সঙ্গে অভিযোগগুলো সম্পৃক্ত। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকশন ক্যাম্পেইনের সময় ইমেইলের তথ্যগুলো প্রকাশ করে উইকিলিকস।
হ্যাকাররা মূলত হিলারি ক্লিনটনের ক্যাম্পেইন চেয়ারম্যান জন পডেস্টাকে টার্গেট করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্ব-ঘোষিত ‘ডার্টি ট্রিকস্টার’ স্টোন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি আগেভাগেই জানতেন।
তদন্তকারীদের মতে, স্টোন জানিয়েছেন যে তিনি ইমেইলগুলো প্রকাশ করার আগে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে ‘যোগাযোগ করেছিলেন’। এই যোগাযোগ ‘পুরোপুরি বৈধ’ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইলেকশন ক্যাম্পেইনের সময় স্টোনের কর্মকাণ্ডগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখছেন স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলার। তিনি ট্রাম্পের ক্যাম্পেইনে রাশিয়ার যোগসাজশ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ২০১৬ সালে জানায়, নির্বাচনে ট্রাম্পকে জয়ী করতে একটি রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমে সাইবার হামলা চালায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সমর্থনে ভুয়া খবর ছড়ায় রাশিয়া।
মুলারের এই তদন্তকে একটি রাজনৈতিক ‘ডাইনি খোঁজা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের কথা প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন। মুলার তদন্তে অভিযুক্ত হওয়ার ৩৪তম ব্যক্তি হলেন স্টোন।
কে/এসএস
মন্তব্য করুন