• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মুসলিমদের তাড়াতে চায় মিয়ানমার: রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:২৪

মুসলিমদের মিয়ানমার থেকে তাড়িয়ে দিতে চায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সুপরিচিত আইনজীবী ও অধিকারকর্মী ইউ কিয়াও হ্লা অং আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন।

মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য সম্প্রতি তিনি আর্মেনিয়া থেকে পুরস্কার পেয়েছেন।পুরস্কারের সেই অর্থও দান করেছেন রোহিঙ্গাদের কল্যাণে।

হ্লা অং বলেন, ১৯৪৮ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি ১০ বছর এবং আট বছর একটানা মিয়ানমারে বসবাস করলে তিনি নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু ১৯৮২ সাল থেকে তারা (মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ) আমাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে। কোনও ব্যক্তির জমির মালিকানা থাকলে তাকে নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু এমনটা ঘটছে না।

এই অধিকারকর্মী বলেন, ১৯৬৪ সালে মিয়ানমারের তৎকালীন শাসক জেনারেল নে উইন ভারতীয়, পাকিস্তানি ও চীনাদের মালিকানাধীন সব দোকান, জমি এবং কোম্পানি জাতীয়করণ করেন। তিনি মিয়ানমার থেকে সব বিদেশিদের বের করে দেন। কিন্তু সে সময় তিনি রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করেননি।

কয়েকবার জেল খাটা আইনজীবী হ্লা অং আরও বলেন, রোহিঙ্গারা এখানকারই অধিবাসী, এর আগের প্রধানমন্ত্রী ইউ নুসহ সব গণতান্ত্রিক সরকার তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ১৯৮২ সালে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, মুসলিমরা মিয়ানমারের মানুষ নয়।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থার বর্ণনায় তিনি বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ। আগে রোহিঙ্গারা পুলিশ, মিলিটারি, প্রশাসনে প্রতিনিধিত্ব করতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সেটি আর হয় না। মুসলিমদের তারা বিতাড়িত করতে চায়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু হলে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মিয়ানমারে তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি
মিয়ানমারে সেনা ট্রেনিং নিয়ে ফেরা ২ রোহিঙ্গা গুলিসহ গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা-বিজিপি সদস্যের প্রত্যাবাসন
মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
X
Fresh