• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কিমের দেশকে ৫০ কোটি ডলার জরিমানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩

মার্কিন ছাত্র ওটো ওয়ার্মবিয়ারকে জেলের মধ্যে তিলে তিলে মেরে ফেলার জন্য উত্তর কোরিয়াকে ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি জরিমানা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। আদালতের বিচারক তার রায়ে ওই ছাত্রের মৃত্যুর জন্য কিম জং উনের প্রশাসনকে দায়ী করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেড় বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওটোর মৃত্যুর খবর পেয়েই মেজাজ হারিয়েছিলেন। লিখিত বিবৃতিতে কিমের প্রশাসনকে ‘ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর’ তকমা দিয়েছিলেন। স্পষ্ট হুমকি দিয়েছিলেন— এমন একটা দেশকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়, তা আমাদের ভালই জানা আছে।

আদালতে দাঁড়িয়ে একই কথা বললেন ওটোর মা সিন্ডি ওয়ার্মবিয়ার। তিনি বলেন, পৃথিবীতে আজও একটা অশুভ শক্তি, একটা শয়তান আছে। সেটা উত্তর কোরিয়া। তারাই আমার ছেলেকে মেরেছে। এর বিচার চাই। যদিও আদালত রায় শুনে বরং কিছুটা শান্ত ওটোর বাবা ফ্রেড ওয়ার্মবিয়ার। তিনি বলেন, লড়াইটা কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা হাল ছাড়িনি। ছেলেকে যে কথা দিয়েছিলাম, এর শেষ দেখে ছাড়ব।

বাবা ‘কথা দেয়ার’ কথা বলছেন বটে, কিন্তু ছেলে তখন কোমায়। কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারকও বলেন, পিয়ংইয়ং যখন ওটোকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়, তরুণ ছাত্র তখন সম্পূর্ণ অথর্ব, অন্ধ, শ্রবণশক্তিহীন। হাসপাতালে পরীক্ষা করে দেখা যায়, এক বছর ধরে ওটো কোমাতেই। মস্তিষ্কের কোষগুলো সব শুকিয়ে গিয়েছে। তারপর এক সপ্তাহও তাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়নি।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী ওটো। সেখানকার এক হোটেল থেকে সরকারি প্রচারমূলক পোস্টার চুরির দায়ে সে বছরই তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় পিয়ংইয়ং। কিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ আনা হয় মার্কিন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এর দেড় বছর পরে ওটোকে ‘মানবিক’ কারণে ছেড়ে দেয় কিমের দেশ। এদিকে জানা যায়, জেলে যাওয়ার পরপরই কোমায় চলে যান ওটো।

শুরু থেকেই ওটোর পরিবারের দাবি, জেলে অমানবিক নির্যাতনের কারণেই কোমায় চলে যান তাদের ছেলে। আর উত্তর কোরিয়া জানায়, খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং ঘুমের ওষুধ খেয়েই ওটোর ওই হাল হয়েছিল। রোগের নাম বটুলিজম। মার্কিন চিকিৎসকেরা যদিও খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ওই রোগের কোনও প্রমাণ পাননি। উত্তর কোরিয়ার জেলে ওটোর ঠিক কী চিকিৎসা হয়েছিল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা অনেক।

ওয়ার্মবিয়ার পরিবার উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছিল। আদালত জানায়, সামগ্রিক জরিমানা হিসেবে ৪৫ কোটি ডলার দিতে হবে পিয়ংইয়ংকে। আর ওয়ার্মবিয়ার পরিবারকে আলাদাভাবে আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে আরও ৫১ কোটি ডলার।

আরও পড়ুন :

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পচা মাংস বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
পচা-বাসি খাবার রাখার অভিযোগ, রেস্টুরেন্টকে জরিমানা 
আখাউড়ায় ফসলি জমির মাটি উত্তোলন, ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
বাসাবাড়ি-অফিসে এডিস মশার লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা
X
Fresh