• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

খাশোগি হত্যায় সৌদি প্রিন্সকে দায়ী করে

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া রেজুলেশন প্রত্যাখ্যান সৌদি আরবের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:১০
ফাইল ফটো

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেট ভবনে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যায় দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া রেজুলেশন প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রোববার সন্ধ্যায় সৌদি এই মন্ত্রণালয়ের টুইটারে পোস্ট করা একটি বিবৃতির বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম সিএনএন।

এতে বলা হয়েছে, মিথ্যা দাবি ও অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাদের যে অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করছে সৌদি আরব। এর মাধ্যমে তারা সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ভূমিকাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

সৌদি আরব সবসময় অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে বাইরের হস্তক্ষেপ ও অভিযোগ এবং দেশটির নেতৃত্বের জন্য অবমাননাকর যেকোনো ধরনের আচরণ প্রত্যাখ্যান করে থাকে বলেও উল্লেখ করা হয় এই বিবৃতিতে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া রেজুলেশনটিতে জামাল খাশোগির হত্যার জন্য মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করা হয়। এছাড়া সৌদি সরকারকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগি। প্রথম থেকেই তুরস্ক দাবি করে আসছিল তাকে ভবনটির ভেতরেই হত্যা করা হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তারা একথাও স্বীকার করেছে যে এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) জানিয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান ব্যক্তিগতভাবে খাশোগির হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি সৌদি কর্তৃপক্ষ বরাবর অস্বীকার করে আসছে বলে জানিয়েছেন একজন আমেরিকান জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র।

কে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকলে মৃত্যু হতে পারে ইউরোপের : ম্যাক্রোঁ
‘অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশের সম্পর্ককে দেখে না যুক্তরাষ্ট্র’
মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
X
Fresh