খাশোগি হত্যায় অভিযুক্ত ১৮ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জার্মানির
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত ১৮ জনের ওপর জার্মানিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জার্মান সরকার।
সোমবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক বৈঠকের সাইড লাইনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস একথা জানান বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা ‘ডিপিএ’।
এর আগে সৌদি আরব খাশোগি মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করার ঘোষণা দেয়ার পর দেশটিকে এই হত্যাকাণ্ডের নিশ্ছিদ্র ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানানো হয় জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
এদিকে স্থানীয় সময় শনিবার ভয়াবহ দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মালিবু পরিদর্শনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যেই তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করে নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি। এরপর তুরস্ক দাবি করে তাকে দূতাবাসের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরব প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে হত্যার কথা স্বীকার করে। তবে এখনও খাশোগির মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি।
এই ঘটনায় সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। যুবরাজ মোহাম্মদের ভাই যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ বিন সালমান ফোন করেছিলেন খাশোগিকে।
আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাসহ সিআইএ এই ফোনকল বিশ্লেষণ করে জেনেছে, খালিদ বিন সালমান খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবন থেকে কাগজপত্র আনার জন্য যেতে উৎসাহিত করেছিলেন। সূত্র মতে, খালিদ তার ভাইয়ের নির্দেশে এই ফোনকল করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর সালান বিন রাজিহ সালান, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান নন, একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, উপ-গোয়েন্দা প্রধান জেনারেল আহমেদ আল আসিরি এই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ইস্তাম্বুলে পাঠান। তার দায়িত্ব ছিল খাশোগিকে স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে সৌদি আরবে ফিরে যেতে বাধ্য করা। সৌদি যুবরাজ এই ব্যাপারে কিছুই জানতেন না।
কে/এমকে
মন্তব্য করুন