• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার কাছে আশ্রয় চাইলেন আসিয়া বিবির স্বামী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:১৮
ছবি: বিবিসি

পাকিস্তানে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়া খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবিকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কাছে আবেদন করেছেন তার স্বামী আশিক মাসিহ।

রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি। এক ভিডিও বার্তায় আশিক মাসিহ বলেছেন, পাকিস্তানে তারা প্রাণভয়ে আছেন।

তিনি বলেন, আমি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি তিনি যেন আমাদের সহায়তা করেন। একই সঙ্গে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন আসিয়া বিবির স্বামী।

এর আগে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার পরিবারের সদস্যদের জীবন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। কারণ বিক্ষোভ বন্ধে উগ্র ইসলামপন্থি সংগঠন তাহরিক-ই-লাবাইক’র সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের করা চুক্তিতে বলা হয়েছে, আসিয়া বিবি যেন দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন।

পরিস্থিতিকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করে আশিক মাসিহ বলেন, প্রাণের ভয়ে তারা এদিক-সেদিক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমার স্ত্রী ইতোমধ্যে অনেক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। তিনি ১০ বছর জেলে কাটিয়েছেন। আমার মেয়ে তার মাকে দেখতে ব্যাকুল।

এদিকে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, আসিয়া বিবিকে রক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একটা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে এবং আমরা সেটি মোকাবেলা করছি। আমি বলতে চাই তার জীবন ঝুঁকিতে নেই।

তাহরিক-ই-লাবাইক’র সঙ্গে করা চুক্তিটিকে তিনি ‘আগুন নিভানো’ বলে উল্লেখ করছেন। এতে সহিংসতা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

ইসলাম অবমাননার অভিযোগে নিম্ন আদালত আসিয়া বিবিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। কিন্তু গত সপ্তাহে তাকে মুক্তি দেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এরপর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির প্রধান শহরগুলোর সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়।

আসিয়া বিবির প্রকৃত নাম আসিয়া নরিন। কিন্তু তিনি আসিয়া বিবি হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালে প্রতিবেশী নারীদের সঙ্গে ঝগড়ার সূত্র ধরে আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।

ঘটনার সময় আসিয়া বিবি এবং তার প্রতিবেশীরা গাছ থেকে ফল পাড়ছিলেন। তখন এক বালতি পানি নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। আসিয়া একটি কাপে করে ওই বালতির পানি পান করেন। তখন অন্য মহিলারা বলেন, আসিয়া অমুসলিম বলে তার স্পর্শ করা ওই পানি তারা পান করবেন না।

মামলায় বাদীপক্ষের অভিযোগ, ঝগড়ার একপর্যায়ে গ্রামের প্রতিবেশী নারীরা আসিয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হতে বলেন। কিন্তু তখন আসিয়া হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে আসিয়া বিবির বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করা হয়।

অভিযোগকারীদের দাবি, আসিয়া বিবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার কথা স্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তদন্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, আসিয়া বিবির বিরুদ্ধে করা মামলায় বিশ্বাসযোগ্য কোনও প্রমাণ হাজির করা হয়নি।

আরও পড়ুন :

কে/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
ভারতকে নিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির খসড়া সূচি পাকিস্তানের
ফিলিস্তিনের পক্ষে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গ্রেপ্তার ৯০০
বিশ্বকাপের আগে নতুন কোচ পেল পাকিস্তান
X
Fresh