আগুন নিয়ন্ত্রণে নতুন কৌশল
কোথাও আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রতিটি দেশেই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এই বাহিনীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে বিধ্বংসী দাবানল থেকে বাঁচতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে পর্তুগাল। শুনতে অবাক লাগলেও আগুন নেভাতে ছাগলের একটি বিশেষ ব্রিগেড মোতায়েন করেছে পর্তুগীজ সরকার। তবে গেল কয়েক বছর গ্রীস্মে দাবানলে ছাই হয়ে যায় পর্তুগালের বিস্তীর্ণ এলাকা। মারা যায় প্রায় শ’খানেক মানুষ ও বনের অনেক পশুপাখি। পুড়ে ছাই হয়ে যায় খামার বাড়ি-শস্য ও গুদাম।
দাবানলের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে দেশটির পর্যটন শিল্পে। এ অবস্থা যেন আর না হয় সেজন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে পর্তুগীজ সরকার। দাবানল থামানোর অস্ত্র হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষ ছাগলবাহিনী।
প্রাকৃতিক দাবানল প্রতিরোধে স্বল্পব্যয়ী পাঁচ বছরের পাইলট প্রকল্পে ১২৩ একরের বেশি এলাকায় বিচরণ করবে ৩৭০টি ছাগলের বিশেষ ব্রিগেড। প্রায় ১০০ পশুপালকের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয়েছে ছাগলগুলোকে।
ছাগলবাহিনীকে পাঠানো হচ্ছে দূর্গম পার্বত্য অঞ্চলের কোলে বেড়ে ওঠা জঙ্গল ও বনভূমিতে। গহীন বনে যেখানে মানুষের যাওয়া সম্ভব নয় সেখানকার চারাগাছ থেকে শুরু করে ঘাস, লতাপাতা সবই যাচ্ছে ছাগল সেনাদের পেটে।
এই প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে সরকারের এজন কর্তকর্তা বললেন, একটা বনে আগুন লাগলে মুহুর্তে আশপাশের বনে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ছড়াতে, শুকনো পাতা ও ছোট ঘাস সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এই ছাগল বাহিনী নিয়োগে আগুন ছড়ানো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে এর সুফল পেতে অন্তত পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
জেএম/ এমকে
মন্তব্য করুন