আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের আলোচনায় রাজি যুক্তরাষ্ট্র: তালেবান
তালেবানের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে শুক্রবার কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূত জালমে খলিলজাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তালেবানের দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে চলা যুদ্ধের ইতি টানতে তালেবানদের শর্ত নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদেশি সেনা প্রত্যাহারসহ সব ইস্যুতে আলোচনা করতে দোহায় তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জন প্রতিনিধি বৈঠক করেছেন। তবে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, এটি প্রাথমিক আলোচনা ছিল এবং সব ইস্যু নিয়ে সাধারণভাবে আলোচনা হয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধে একটি নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে গেল বছর দেশটিতে সেনা বৃদ্ধি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তানে এখন প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। এর আগে তালেবানরা বলেছিল, আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের উপস্থিতি শান্তি আলোচনার জন্য বাধা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারসহ সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, আফগানিস্তানে তাদের বন্দি যোদ্ধাদের মুক্তি এবং একটি আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক অফিস প্রতিষ্ঠার মতো বিভিন্ন শর্ত রয়েছে তালেবানের।
এর আগে শান্তি আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ২০১৩ সালে কাতারের দোহায় একটি তালেবান অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু ওই অফিসের বাইরে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের সময়কার একটি পতাকা উত্তোলনের পর সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ওই অফিস খোলার সমালোচনা করে শান্তি আলোচনা স্থগিত করে দেন। ওই ঘটনার পর থেকেই মূলত সেই পতাকা নামিয়ে ফেলা হয় এবং অফিস এখনও ফাঁকা রয়েছে।
এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে শান্তি আলোচনা দোহার অন্য স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক এই বৈঠকের বিষয়ে কাবুলে মার্কিন কর্মকর্তারা এবং জালমে খলিলজাদকে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
কাতারে তালেবান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে গেল জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলসের সঙ্গে বৈঠক করেছিল তালেবানরা।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনার জন্য গেল সেপ্টেম্বরে খলিলজাদকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়োগ দেয়ার পর তিনি পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আরও পড়ুন :
এ
মন্তব্য করুন