যুক্তরাষ্ট্রে রোগীসহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত, আহত ৪
যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো রাজ্যের ইলিনয় এলাকার হাইওয়েতে রোগীসহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত চারজন।
শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিটে এই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইলিনয় কর্মকর্তারা। খবর সিনহুয়া নিউজ, আল আরাবিয়া।
ইলিনয় শহরের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি বিবৃতিতে জানায়, হেলিকপ্টারটির পাইলট স্থানীয় সময় রাত সোয়া নয়টার দিকে ইউরোকপ্টার-১৩৫ থেকে ‘মেডে’রেডিওতে কল করেছিলেন। তার পরপরই বিমানটি মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে একটি রোগীর অবস্থা গুরুতর অবস্থায় ছিল। সেসময় রোগী ছাড়াও পাইলট ও তার সঙ্গীরা শিকাগোর একটি হসপিটালের তালিকাভুক্ত ছিলেন।
এপি/পি
মন্তব্য করুন
সোমবার দিনেই নামবে সাময়িক রাত
আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। এদিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, ফলে কিছুক্ষণের জন্য দিন হবে সাময়িক রাত। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সঙ্গে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না বিরল এ সূর্যগ্রহণ। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ দেখতে পারবেন এটি।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বরাত দিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিনেটের জানিয়েছে, উত্তর আমেরিকায় সবশেষ ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আবার ২০৪৪ সালে পুনরায় দেখা মিলবে এ গ্রহণের। চমকপ্রদ সূর্যগ্রহণ দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ, একই সঙ্গে এই সূর্যগ্রহণ দেখার অপেক্ষায় ‘আকাশবাসী’ মানুষেরাও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মহাকাশচারীরা এই সূর্যগ্রহণ দেখবেন। পৃথিবী থেকে একবার দেখা যাবে এটি, তবে মহাকাশ স্টেশন থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে একাধিকবার। সূর্যগ্রহণ চলাকালে পৃথিবীর পৃষ্ঠজুড়ে ট্র্যাক করবে মহাকাশ স্টেশন। মহাকাশচারীরা মোট তিনবার সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে পারবেন। প্রথমবার যখন দেখতে পাবেন তখন মহাকাশ স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে থাকবে। এরপর নিউজিল্যান্ড এলাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও আইডাহোর দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন। মহাকাশ স্টেশনটি যখন মেইন এবং নিউ ব্রান্সউইকের ওপরে অবস্থান করবে তখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে মেক্সিকোতে। এরপর তা ধীরে ধীরে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সূর্যগ্রহণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুবই বিরল এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দিন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। সূর্যগ্রহণ দেখতে পরতে হবে বিশেষ চশমার প্রয়োজন হবে। সূর্যগ্রহণের দিকে খালি চোখে তাকালে সিংহভাগ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁদ প্রতি ১৮ মাস পর পর পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে। নাসার তথ্য অনুসারে, ৩৭৫ দিন পরপর পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সময় বেশিও লাগতে পারে।
বিশাল তারকা বিস্ফোরণ ঘটতে চলেছে, জীবনে দেখা যাবে একবারই
আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবী থেকে ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি বিশাল বিস্ফোরণে রাতের আকাশ জ্বলে উঠবে, যা অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জীবনে একবার মহাকাশের এই বিস্ময়কর ঘটনার সাক্ষী হওয়ার সুযোগ দেবে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
করোনা বোরিয়ালিস (টলেমির তালিকাভুক্ত) নক্ষত্রমণ্ডলের বাইনারি তারা সিস্টেম নর্দান ক্রাউন বা ‘উত্তর মুকুট’ সাধারণত খালি চোখে দেখা যাবে না। কিন্তু, প্রতি ৮০ বছর বা তার পরে এর দু’টি তারার মধ্যে শক্তির বিনিময় ঘটে। এটি একটি মারাত্মক আলিঙ্গনের মতো আবদ্ধ। যা পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। এই বিস্ফোরণ থেকে আলোর ঝলকানি মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই উজ্জ্বলতা হঠাৎ করেই আমাদের রাতের আকাশে কয়েক দিনের জন্য দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
এটি অন্তত তৃতীয়বারের মতো হবে। যে মানুষ এই ঘটনাটি প্রথম প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি হলেন আইরিশ পলিম্যাথ জন বার্মিংহাম। ১৮৬৬ সালে তিনি এটি আবিস্কার করেন। তারপর ১৯৪৬ সালে পুনরায় সেই উজ্জ্বলতা আবির্ভূত হয়েছিল।
অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সুমনার স্টারফিল্ড এএফপি’কে বলেছেন, তিনি নোভার ‘আউটবার্স্ট’ দেখে খুব উত্তেজিত। সর্বোপরি, তিনি ‘ব্লেজ স্টার’ উজ্জ্বল তারকা হিসেবে পরিচিত ‘টি কোরোনেই বোরিয়ালিস’ নিয়েই কাজ করেছেন।
স্টারফিল্ড বর্তমানে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র শেষ করার জন্য তাড়াহুড়ো করছেন যা ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পুনরাবৃত্ত নোভা সম্পর্কে জানতে পারবেন, যখনই পরবর্তী পাঁচ মাসে এটি প্রদর্শিত হবে।
স্টারফিল্ড ব্যাখ্যা করেছেন যে, মিল্কিওয়ে এবং আশেপাশের গ্যালাক্সিতে প্রায় ১০টি পুনরাবৃত্ত নোভা রয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ নোভা বিস্ফোরিত হয় ‘সম্ভবত প্রতি ১ লক্ষ বছরে।’ কিন্তু পুনরাবৃত্ত নোভাগুলো তাদের দুই নক্ষত্রের মধ্যে একটি অদ্ভুত সম্পর্কের কারণে মানুষের টাইমলাইনে তাদের বিস্ফোরণের পুনরাবৃত্তি করে।
একটি হল একটি শীতল মৃতপ্রায় নক্ষত্র যাকে লাল দৈত্য (রেড জায়ান্ট) বলা হয়। যেটি তার হাইড্রোজেনের মাধ্যমে জ্বলে উঠেছে এবং ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। এর ভাগ্য যা প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বছরে আমাদের নিজের সূর্যের পরিণতির মতোই অপেক্ষমান। অন্যটি একটি শ্বেত বামন, একটি নক্ষত্রের মৃত্যুর পরের পর্যায়ে, সমস্ত বায়ুমন্ডল উড়িয়ে দেওয়ার পরে এবং শুধুমাত্র অবিশ্বাস্যভাবে ঘনীভূত কেন্দ্রীয় অংশটি অবশিষ্ট থাকে।
স্টারফিল্ড বলেন, তাদের আকারের বৈষম্য এতটাই বিশাল যে ‘টি কোরোনেই বোরিয়ালিস’ এর শ্বেত বামন তারাটির রেড জায়ান্ট প্রদক্ষিণ করতে ২২৭ দিন সময় লাগে।
দুটি এত কাছাকাছি যে রেড জায়ান্ট নির্গত পদার্থ শ্বেত বামন তারার পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ে এবং সেটি টেনে নেয়।
স্টারফিল্ড বলেন,একবার মোটামুটি পৃথিবীর সমান ভর শ্বেত বামনের ওপর তৈরি হয়ে গেলে, যা প্রায় ৮০ বছর সময় নেয়। এতে একটি কিকস্টার্ট রানওয়ে থার্মোনিউক্লিয়ার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। দ্রুত তাপ ও চাপ বৃদ্ধি পেয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে।
একজন অবসরপ্রাপ্ত জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি নোভা নিয়ে গবেষণা করেছেন, জোয়াকিম ক্রাউটার বলেছেন, এটি একটি ‘বড় বিস্ফোরণ এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তাপমাত্রা ১০০-২০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াসে’ শেষ হয়।
ক্রাউটার এএফপি’কে বলেছেন, জমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপসহ অসংখ্য টেলিস্কোপ ক্যামেরা এখন টি করোনা বোরিয়ালিসের বিস্ফোরণের দিকে চোখ রাখছে।
ক্রাউটার বলেন, কিন্তু এই বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে আপনার এমন উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই। যখনই এটি ঘটবে ‘আপনাকে কেবল বাইরে যেতে হবে এবং করোনা বোরিয়ালিসের দিকে তাকাতে হবে।
কিছু সৌভাগ্যবান আকাশ পর্যবেক্ষণকারীরা ইতোমধ্যেই সোমবার বছরের সবচেয়ে বড় জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্ট্রিপ জুড়ে একটি বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটবে। -বাসস।
যেদিন হতে পারে ঈদ
দেখতে দেখতে বিদায়ের পথে পবিত্র রমজান। বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব ও তার প্রতিবেশী অনেক দেশে আগামী ১০ এপ্রিল (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে। খবর আলজাজিরার।
সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরদিন বাংলাদেশ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হয়। সেই হিসেবে আগামী ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পালন করা হবে ২৯তম রোজা। ওই দিন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ।
সোমবার শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখা গেলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পরদিন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদ দেখা না গেলে আরও একদিন রোজা রাখবেন মুসলমানরা। সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ১০ এপ্রিল।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রত্যেক আরবি মাস ২৯ নাকি ৩০ দিনের হবে, তা নির্ভর করে চাঁদ দেখতে পাওয়ার ওপর। সৌদি আরবের আকাশে সোমবার চাঁদ দেখা গেলে দেশটিতে পবিত্র রমজান মাস ২৯ দিনের হবে। পরদিন (মঙ্গলবার) দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এ বছর বাংলাদেশে রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস বলছে ভিন্ন কথা, এবার পাকিস্তানে রোজা ২৯টি হতে পারে। কারণ ৯ এপ্রিল রাতেই দেশটির আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা যাবে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতর চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে ইসলামি (হিজরি) ক্যালেন্ডারের দশম মাস শাওয়ালের শুরু হয়। চন্দ্র মাস ২৯ বা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। যে কারণে পবিত্র ঈদের তারিখ জানার জন্য ঈদের আগের রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় মুসলমানদের।
আজ দুপুর হবে সাময়িক রাত, লাইভ দেখবেন যেভাবে
বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। সোমবার (৮ এপ্রিল) সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, ফলে কিছুক্ষণের জন্য দিন হবে সাময়িক রাত। এ সূর্যগ্রহণ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ দেখতে পারবেন এটি। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশের মানুষও এ ঘটনা লাইভে উপভোগ করতে পারবেন।
রোববার (৭ এপ্রিল) মার্কিন একাধিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাইরের মানুষও লাইভ দেখতে পারবেন এ বিরল দৃশ্য। সূর্যগ্রহণের ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এ ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে এই দৃশ্য। এ ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।
এর আগে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বরাত দিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিনেটের জানিয়েছিল, উত্তর আমেরিকায় সবশেষ ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আবার ২০৪৪ সালে পুনরায় দেখা মিলবে এ গ্রহণের। চমকপ্রদ সূর্যগ্রহণ দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ, একই সঙ্গে এই সূর্যগ্রহণ দেখার অপেক্ষায় ‘আকাশবাসী’ মানুষেরাও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মহাকাশচারীরা এই সূর্যগ্রহণ দেখবেন। পৃথিবী থেকে একবার দেখা যাবে এটি, তবে মহাকাশ স্টেশন থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে একাধিকবার। সূর্যগ্রহণ চলাকালে পৃথিবীর পৃষ্ঠজুড়ে ট্র্যাক করবে মহাকাশ স্টেশন। মহাকাশচারীরা মোট তিনবার সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে পারবেন। প্রথমবার যখন দেখতে পাবেন তখন মহাকাশ স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে থাকবে। এরপর নিউজিল্যান্ড এলাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও আইডাহোর দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন। মহাকাশ স্টেশনটি যখন মেইন এবং নিউ ব্রান্সউইকের ওপরে অবস্থান করবে তখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছিল, এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে মেক্সিকোতে। এরপর তা ধীরে ধীরে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সূর্যগ্রহণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুবই বিরল এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দিন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। সূর্যগ্রহণ দেখতে পরতে হবে বিশেষ চশমার প্রয়োজন হবে। সূর্যগ্রহণের দিকে খালি চোখে তাকালে সিংহভাগ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁদ প্রতি ১৮ মাস পর পর পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে। নাসার তথ্য অনুসারে, ৩৭৫ দিন পরপর পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সময় বেশিও লাগতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা
অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে আগামী ১০ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হবে।
সোমবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও এখনো শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় ও বৈশ্বিক জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ফতোয়া কাউন্সিল এটি নিশ্চিত হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ার টাইমজোন অনুযায়ী সিডনি ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় আগামী ৯ এপ্রিল ভোর ৪টা ২০ মিনিটে নতুন চাঁদ উদয় হবে। ওই দিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ৩৯ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের ১২ মিনিট পর, ৫টা ৫১ মিনিটে দেখা মিলবে নতুন চাঁদের। আর পার্থসহ পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় নতুন চাঁদের জন্ম হবে স্থানীয় সময় ৯ এপ্রিল দুপুর ২টা ২০ মিনিটে। এদিন সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬ টা ২ মিনিটে এবং সূর্যাস্তের ১৬ মিনিট পর, সন্ধ্যা ৬টা ১৮ মিনিটে উদয় হবে শাওয়াল মাসের চাঁদ।
এর ফলে, আগামী ৯ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ায় বিদায় নিচ্ছে ১৪৪৫ হিজরি বর্ষের রমজান। এতে আগামী ১০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
সৌদিতে কবে ঈদ, জানালেন জ্যোতির্বিদরা
সৌদি আরবে আগামীকাল মঙ্গল পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে কি না, তা জানা যাবে আজ। তবে সৌদি আরব ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে বলে জানিয়েছে জ্যোতির্বিদরা। তাদের হিসাব–নিকাশ বলছে, এ বছর পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। সেই হিসাবে, সৌদি আরব ও প্রতিবেশী দেশগুলোয় আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদ।
সাধারণত চান্দ্রমাস ২৯ কিংবা ৩০ দিনের হয়। তাই ঈদ কবে হবে তা জানার জন্য মুসলমানদের ২৯ রমজানের ইফতারের পর অর্থাৎ সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
সৌদি আরব ও আশপাশের দেশগুলোতে আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) শেষ হচ্ছে ২৯ রমজান। এ জন্য ইফতারের পর এসব দেশের মানুষ ঈদের চাঁদ দেখার জন্য পশ্চিম আকাশে চোখ রাখবেন। চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল মঙ্গলবার সেসব দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার রোজা রাখতে হবে। আর ঈদ হবে বুধবার।
বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলো নিজস্ব পন্থায় চাঁদ দেখে ঈদের তারিখ ঘোষণা করে থাকে। চাঁদ দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের রেডিও–টিভিতে তা প্রচার করা হয়। ঘোষণা করা হয় মসজিদে।
ঈদের দিন সকালে জামাতে ছয় তাকবিরের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসলিমরা। সাধারণত খোলামাঠ-ঈদগাহ বা মসজিদে এ নামাজ আদায় করা হয়। ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করেন সবাই।
উল্লেখ্য, হিজরি বর্ষপঞ্জিতে রমজান মাসের পর শুরু হয় পবিত্র শাওয়াল মাস। বর্ষপঞ্জির দশম মাস এটি। এক মাসের সিয়াম সাধনার পর পশ্চিম আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে ঈদ উৎসবে মেতে ওঠেন।
এবার মরক্কোতে ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা
উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে আগামী ১০ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হবে।
সোমবার (৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে মরক্কোর ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্মবিষয়ক কমিটির সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন যে মরক্কোবাসী আগামী ৯ এপ্রিল রমজানের শেষ দিন পালন করবেন। এর ফলে পরের দিন ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে।
এ ছাড়া ৯ এপ্রিল শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা দেওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা জনগণকে জানাতে ধর্মীয় কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ায়ও আগামী ১০ এপ্রিল ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। দেশটিতে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তবে স্থানীয় ও বৈশ্বিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে, আগামী ৯ এপ্রিল শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাবে। এর ফলে দেশটিতে ১০ এপ্রিল ঈদ উদযাপন করা হবে। সূত্র : মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ