• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হিলারির বেড়ে ওঠা

আরটিভি অনলােইন ডেস্ক

  ৩১ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার শীর্ষে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। প্রথম নারী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়তে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার দৌড়ে নেমেছেন তিনি। অভিজ্ঞতা আছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডির দায়িত্ব পালনের। তবে নির্বাচনের আগে ইমেইল কেলেঙ্কারি ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশন বিতর্কে জড়িয়ে কিছুটা বিপাকে আছেন এ ডেমোক্রেট প্রার্থী।

হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। বিশ্বের প্রভাবশালী এ মার্কিন রাজনীতিক মেধা ও দক্ষতায় নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ৩০ বছর ধরে রাজনীতিতে বিচরণ করা সাবেক নিউইয়র্ক সিনেটর ২০০৯ সালে ওবামা প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছিলেন সাবেক ফার্স্টলেডিও। বর্ণবাদ, নারী অধিকার ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার বিচক্ষণতা সব মহলেই প্রশংসিত।

আমেরিকার ২৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জেতার ইতিহাস গড়ে ডেমোক্রেট টিকিটে লড়ছেন হোয়াইট হাউসের পথে। প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সবগুলো প্রেসিডেন্সিয়াল টিভি বিতর্কে হিলারির দৃঢ়তা আর বক্তব্য নজর কাড়ে পুরো বিশ্বের। সব জরিপেই এগিয়ে হিলারি।

ট্রাম্পের আগ্রাসী, বিতর্কিত মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডে আস্থা হারিয়ে জনগণ হিলারিতেই আস্থা রাখছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাই হোয়াইট হাউসের দৌড়ে তাকেই এগিয়ে রাখছেন তারা।

১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর ইলিনয়ের শিকাগোয় জন্ম হিলারির। হাফ রডহ্যাম ডোরথি ও এমা হাওয়েল রডহ্যামের মধ্যবিত্ত ঘরের প্রথম সন্তান হিলারির শৈশব কেটেছে অন্য ১০ শিশুর মতোই সাদাসিধে।

স্কুল-কলেজের পাঠ চুকিয়ে আইন পড়েন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৬ সালে রাজনৈতিক সচেতনতা থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টিতে যোগ দিলেও আগে সক্রিয় ছিলেন রিপাবলিকান পার্টিতে।

পঁচাত্তরে বিয়ে করেন দীর্ঘদিনের বন্ধু বিল ক্লিনটনকে। চার বছরের মাথায় মার্কিন রোজ ল’ ফার্মে প্রথম নারী আইনজীবী হিসেবে যোগ দিয়ে সে বছরই জায়গা করে নেন টাইমস্ পত্রিকার পাতায়।

১৯৯৩ সালে বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হলে ফার্স্টলেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ ঘটে হিলারি’র। তখন থেকেই পরিচিতি শুরু বিশ্ববাসীর কাছে। ফার্স্ট লেডি হিসেবে নিউইয়র্ক থেকে প্রথম নারী সিনেটর হবার রেকর্ড তারই আছে।

২০০৮’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে নামলেও রাজনৈতিক সমঝোতায় প্রার্থীতা তুলে নিয়ে বারাক ওবামাকে সমর্থন দেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন ওবামা প্রশাসনে।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ই-মেইল কেলেঙ্কারি ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার ঘটনায় বিপত্তিতে রয়েছেন মার্কিন রাজনীতির এ প্রভাবশালী নারী। আর এ সুযোগই কাজে লাগাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প।

বিশ্বের বহু দেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রভাবশালী দেশে এখনো তা হয়নি। হিলারি এ প্রথা ভেঙ্গে নতুন দিনের সূচনা করতে পারবেন কিনা জানা যাবে আসছে ৮ নভেম্বর।

এফএস/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh