রিপাবলিকান দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার ক্লিভল্যান্ডে শুরু হওয়া রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় কনভেনশনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।এখন থেকে তিনি রিপাবলিকানদের অফিসিয়াল প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।
যদিও এদিন ট্রাম্প বিরোধী বেশ কিছু ডেলিগেট চিৎকার করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
মন্তব্য করুন
ইরানের এক রাতের হামলা ঠেকাতে যত খরচ ইসরায়েলের
রাতভর ইরানের বিশাল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিম আমিনোচ।
রোববার (১৪ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে মিডলইস্ট আই। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়ানেত নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ খবর অনুমান করে জানান রিম আমিনো।
তিনি বলেন, রাতারাতি ইরানের বিপুল সংখ্যক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখে দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করতে ইসরায়েলের ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে।
অ্যামিনোচ বলেন, ইসরাইলে আক্রমণ পরিচালনার জন্য ইরান খুবই স্বল্প পরিমাণে ব্যয় করেছে। এই রাতে তাদের ব্যয় ইসরায়েলের ব্যয়ের ১০ শতাংশেরও কম।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হত্যা করে ইসরায়েল। সেই থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা চরম পর্যায়ে ওঠে। এরপর প্রতিশোধ হিসেবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর তথা আইআরজিসি। এছাড়া ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও রকেট হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েল বলছে, তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
ইরানের হামলার জবাব যেভাবে দিতে পারে ইসরায়েল!
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। প্রতিশোধ নিতে ইসলায়েলও পাল্টা হামলা চালাতে পারে, বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কার মধ্যেই ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত জানান, ইসরায়েলে হামলায় ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে। তবে, কিভীবে ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল? এমন প্রশ্ন সবার মনে।
বিবিসি এক প্রতিবেদেন জানায়, প্রথমত ইসরায়েল হয়তো প্রতিবেশী দেশগুলোর কথামত কৌশলগত ধৈর্য ধরতে পারে। অর্থাৎ ইরানে পাল্টা হামলা না করে হিজবুল্লাহর মতো ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে। যদিও বহু বছর ধরে ইসরায়েল এ ধরনের হামলা চালিয়ে আসছে।
দ্বিতীয়ত, ইরান যে ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা একই ধরনের হামলা চালাতে পারে। তবে এতে ইরানের পাল্টা প্রতিশোধ নেওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
এ ছাড়া ইরান যেভাবে হামলা চালিয়েছে তার চেয়ে অনেক শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালালে পারে ইসরায়েল। সেক্ষেত্রে তারা ইরানের অত্যন্ত শক্তিশালী রিভোলিউশনারি গার্ডসের ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির ও কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারগুলোকেও আক্রমণের নিশানা করতে পারে।
এদিকে, ইসরায়েলে হামলার পর ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসাইন বাঘেরি বলেছেন, আমাদের অপারেশন আপাতত শেষ হয়েছে। এই অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। তবে, ইসরায়েল পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে রাতভর বোমাবর্ষণের চেয়েও বড় পরিসরে হামলা চালানো হবে ইরানের প্রতিক্রিয়া।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।
ওমরাহ ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন
ওমরাহ ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। এখন থেকে ভিসা ইস্যুর দিন থেকে ৯০ দিন গণনা শুরু হবে। যদিও আগে ওমরাহ ভিসার ৯০ দিন মেয়াদ গণনা শুরু হতো সৌদিতে প্রবেশের পর থেকে।
সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় নতুন এ নির্দেশনা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, আগে ওমরাহ ভিসার ৯০ দিন মেয়াদ গণনা শুরু হতো সৌদিতে প্রবেশের পর। বর্তমানে এ নিয়ম পরিবর্তন করে ভিসা ইস্যুর দিন থেকে ৯০ দিন সৌদিতে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে বর্তমানে যারা অবস্থান করছেন তাদের আগামী ১৫ জিলকদ তথা ২৩ মে’র আগেই দেশটি ত্যাগ করতে হবে। সৌদিতে আসার পর ৯০ দিন পূর্ণ হোক বা না হোক। এ সময়ের পরেও যারা ৯০ দিন পূর্ণ হয়নি বলে রয়ে যাবেন তারা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওমরাহ ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় গত কয়েক বছর ধরেই ওমরা পালনকারীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। চলতি বছরের পবিত্র রমজান মাসে প্রায় তিন কোটি মুসলমান ওমরাহ পালন করেছেন।
সূত্র : সৌদি গ্যাজেট
প্রতিরক্ষা ভেদ করে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে যে ক্ষয়ক্ষতি
ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরানের ৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দুটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলের বিস্তৃত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং মিত্রশক্তিগুলোর ছোড়া গুলি ভেদ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ইরানের ৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে পাঁচটি ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে ইসরায়েলের একটি সি-১৩০ রসদবাহী বিমান, একটি রানওয়ে ও একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর ইসরায়েলের নেগেভ বিমানঘাঁটিতে বাকি চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তবে এতে সেখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে অ্যারো-৩ বিশেষত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করার জন্য তৈরি হয়। এবারই প্রথম ইসরায়েল অ্যারো-৩ নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছে। এরপরও ইরানের নয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানাটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আর ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা
কোরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
সৌদি আরবে চলতি বছরের কোরবানির ঈদ জুন মাসের ১৬ তারিখ উদযাপিত হতে পারে। দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি আরবের চাঁদ কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী, ঈদুল আজহা হতে পারে ১০ জিলহজ।
সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে গত ১০ এপ্রিল। ঈদুল ফিতরের দুই মাস দশ দিন পরে পালিত হয় ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ।
সাধারণত বাংলাদেশে সৌদি আরবের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। সেই হিসাবে আগামী জুন মাসের ১৭ তারিখ বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিমকে (আ.) স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির আদেশ দেন মহান আল্লাহ। এরপর তিনি সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় মহান আল্লাহ খুশি হয়ে যান এবং ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়।
মূলত এই ঘটনাকে স্মরণ করেই সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পশু কোরবানি করেন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১৩ তারিখ পর্যন্ত পশু কোরবানি করা যায়।
সূত্র : বিবিসি
ফ্লাইওভার থেকে ৫০ যাত্রী নিয়ে পড়ে গেল বাস, নিহত ৫
ভারতের উড়িষ্যায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে গেছে একটি বাস। এতে এক নারীসহ পাঁচজন জন নিহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে উড়িষ্যার পুরী থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল বাসটি। পথিমধ্যে জাজপুর জেলার বারাবতীর কাছে জাতীয় সড়ক-১৬ ওপরে একটি ফ্লাইওভারে ওঠার সময় বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, ফ্লাইওভারে ওঠার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ৫০ জন যাত্রীসহ ফ্লাইওভার থেকে সোজা নিচে পড়ে যায় বাসটি। সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের লোকজন জড়ো হন সেখানে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও দমকল বাহিনী। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন তারা। আহতদের ১০টি অ্যাম্বুলেন্সে স্থানীয় ধর্মশালা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আহত অবস্থায় ৫০ জনকে উদ্ধার করে ধর্মশালা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৫ জনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৪০ জন। তাদেরকে কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গুরুতর আহত এই ৪০ জনের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোক প্রকাশ করেছেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। সেখানে তিনি লিখেছেন, জাজপুর জেলার বারবাটি এলাকার যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি ব্যথিত। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
ইসরায়েলকে সহায়তা প্রসঙ্গে যা জানাল সৌদি আরব
ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় সৌদি আরব কাজ করেছে। এমনটাই দাবি করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কেএএন নিউজ। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে সৌদি আরবের একাধিক সূত্র।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সৌদি আরবের সরকারি একটি ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে একদিন আগে ওই খবর প্রকাশ করে ইসরায়েলের সংবাদ মাধ্যম। খবরে বলা হয়, ইরানের আক্রমণ থেকে ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা জোটে অংশ নিয়েছে সৌদি আরব। তবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সূত্রগুলো।
কেএএন নিউজ জানায়, সৌদি আরব মনে করে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে ইরান এই সংঘাতে ফায়দা তোলার পরিকল্পনা করছে এবং সম্প্রতি যে হামলা তেহরান পরিচালনা করেছে, তা সেই পরিকল্পনার অংশ।
আর সৌদির একাধিক সূত্র জানায়, ইরানের হামলা ঠেকাতে সৌদির অংশগ্রহণ সম্পর্কে যে ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, আসলে সৌদি আরবের এমন কোনো সরকারি ওয়েবসাইটই নেই।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আর ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।
ইরান এই হামলার পর আপাতত ইসরায়েলে আর আক্রমণ চালাবে না বলে বিশ্ব নেতাদের জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে ইরানের স্বার্থের ওপর নতুন করে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছে তেহরান।
সূত্র : আল-আরাবিয়া, আরব নিউজ, রয়টার্স