অর্থ সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান
প্রায় দুই যুগ ধরে পূর্ব পাকিস্তানকে (বাংলাদেশ) অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে শোষণ করা সেই পাকিস্তান এখন বহুমুখী সমস্যায় ধুঁকছে। দেশটি এখন চরম অর্থ সংকটে। এই আর্থিক সংকট মেটাতে পাকিস্তান এখন প্রায় সাড়ে চার লাখ কোটি রুপি ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করছে। যা বাংলাদেশের চলতি বাজেটের চেয়েও বেশি।
পাকিস্তান এমন সময় ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করছে যখন দেশের ভেতরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
সম্প্রতি রয়টার্স এক খবরে জানিয়েছে, পাকিস্তানি রুপির অবমূল্যায়নের কারণে এই সংকট তৈরি হচ্ছে। দেশটির সরকার তিনমাস মেয়াদী (নভেম্বর’১৭-জানুয়ারি’১৮) ট্রেজারি বন্ডসহ অন্যান্য বন্ড বিক্রির মাধ্যমে এই অর্থ উত্তোলন করবে। যার মাধ্যমে সরকার আগামী বাজেটের ঘাটতি মেটাবে। বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে এই ঋণ নেয়া হবে।
যদিও ওই ঘাটতি ঠিক কতটুকু তা এখনো জানা যায়নি, তবে এই পরিমাণটা বেশ বড় বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির মান সম্প্রতি ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত পতন হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।
মুদ্রাবাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে তা আরো পতন হয়েছে। গেলো সপ্তাহে পাকিস্তানের আন্তব্যাংক মার্কেটে এক ডলারে ১০৫ রুপি বা তার কাছাকাছি লেনদেন হয়েছে। এ সপ্তাহে তা আরো পতন হয়ে ১১০ রুপি বা তার কাছাকাছি লেনদেন হচ্ছে।
স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা ৪ দশমিক ২২৫ ট্রিলিয়ন রুপির (১ ট্রিলিয়ন সমান ১ লাখ কোটি) তিন মাস, ছয় মাস ও একবছর মেয়াদী ট্রেজারি বিল বিক্রি করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার কোটি রুপিতে। শুধু ২০১৬ অর্থবছরে ঋণ ছিল ৫০ হাজার ২০০ কোটি রুপি। সরকার বাজেট ঘাটতি, ট্যাক্স ঘাটতি ও ট্যাক্স বহির্ভূত ঘাটতি মেটাতে আরো ঋণ নেয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।
খবরে আরো বলা হয়, পাকিস্তানের ফরেক্স রিজার্ভ শক্তিশালী এবং সঞ্চয় বাড়াতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছ থেকেও মোটা অংকের অর্থ নিতে বন্ড ছাড়ার পরিকল্পনা করছে।
এসআর/এমকে
মন্তব্য করুন