• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইসরায়েলে ইরানের হামলা

মুখ খুলল রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১১
মুখ খুলল রাশিয়া
সংগৃহীত ছবি

ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর রোববার (১৪ এপ্রিল) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে অবৈধভাবে ইসরায়েলের হামলায় নিরাপত্তা পরিষদ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়াতেই তেহরান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

দেশটির রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জানান, নিরাপত্তা পরিষদ সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে। ১৩ এপ্রিল যা ঘটেছে তা এমনি এমনি হয়নি। দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার ঘটনায় পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই তেহরান ইসরায়েলে হামলা করেছে।

এদিকে, বিশেষ জরুরি এই বৈঠকে একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে ইরান ও ইসরায়েল। পাশাপাশি দুটি দেশই একে অপরকে ‌‌‘চিরশত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

বৈঠকে ইসরায়েলের দূত জিলাড আরডান ইরানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে ইরানের মুখোশ খুলে গেছে। ইরান হলো বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী তৎপরতার মদতদাতা। তাদের সত্যিকার চেহারা এখন সবার সামনে।

এ সময় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের ওপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান ইসরায়েলের দূত। একইসঙ্গে তেহরানের বিরুদ্ধে পুনরায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান তিনি।

অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি বলেন, ইরান আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার চর্চা করছে। নিরাপত্তা পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আত্মরক্ষায় সাড়া দেওয়া ছাড়া ইরানের সামনে আর কোনো উপায় ছিল না।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে।

এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে সময় লাগবে ১৪ বছর: জাতিসংঘ
যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের শর্তেই জিম্মিদের ফিরিয়ে দিবে হামাস
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান শিকার এশিয়া: জাতিসংঘ
ইরানে ফের হামলা হলে ইসরায়েল বলে কিছু থাকবে না : রাইসি
X
Fresh