শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান
৬ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপান।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দেশটির উত্তরাঞ্চলের ইওয়াতে এবং আওমোরি প্রিফেকচারে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
আইওয়াতে প্রিফেকচারের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় অংশে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা যায়নি। সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
জাপানে প্রায়ই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতেও জাপানের মধ্যাঞ্চলে ইশিকাওয়া অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন / রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে প্রচার করেছে আওয়ামী লীগ
বিগত ২০২৩ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায়ই রাজনৈতিক বিরোধীদের কার্যক্রমকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মিলিয়ে প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২৩ সালে ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম নিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্য জঙ্গিদের, বিশেষ করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আল-কায়েদার সহযোগী গোষ্ঠী) এবং নব্য জেএমবির (আইএসআইএসের সহযোগী গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর একটা অংশের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় তিন সেনা নিহত হন।
তবে বাংলাদেশে অনলাইনে উগ্রবাদ উদ্বেগের বিষয় বলেও উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী হিযবুত-তাহরীরের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন সম্মেলনের অভিযোগ ছিল।
এছাড়া ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার বিতর্কিত ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশ কিছুটা এগিয়ে থাকে বলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আরটিভি/কেএইচ
ভারতকে দেওয়া মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিল সুইজারল্যান্ড
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নেসলে মামলার রায়ের প্রেক্ষাপটে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির (ডিটিএএ) আওতায় ভারতের ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের’ (এমএফএন) মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে সুইজারল্যান্ড।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এক বিবৃতিতে সুইস অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নেসলে মামলার রায়ের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় রায় দেন, ওই মামলায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি নেসলে একটি পক্ষ ছিল। ভারতীয় শীর্ষ আদালত জানান, ভারতীয় আয়কর আইনের ৯০(১) ধারা অনুযায়ী একটি প্রজ্ঞাপন ছাড়া এমন ‘দ্বৈত কর নিরসন চুক্তি’ কার্যকর হবে না।
সুইজারল্যান্ডের ফাইন্যান্স বিভাগ গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জানায়, তারা ভারতকে প্রজ্ঞাপন ছাড়া আর এমএফএন সুবিধা দেবে না। তাই আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এমএফএন সুবিধা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ড সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে। এর আগে ২০২১ সালে এই হার ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
আরটিভি/এসএপি
ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যেসব দেশ প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা করে না তাদেরকে আইসিই’র এই ‘অসহযোগী’ তালিকায় রাখে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ভারত ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং ভেনেজুয়েলা।
উল্লেখিত দেশগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিই। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার অভিবাসী ভারতীয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্র প্রদেশের প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
‘ওপেন এআই’র দুর্নীতি ফাঁস করা যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
নিজ ফ্লাট থকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) উৎপাদনকারী কোম্পানি ‘ওপেন এআই’-এর সাবেক কর্মী এবং প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতির তথ্য ফাঁসকারী সুচির বালাজির (২৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকো শহরের বুচানন স্ট্রিট এলাকার নিজ ফ্লাট থেকে গত ২৬ নভেম্বর ভারতীয় মার্কিন তরুণ সুচির বালাজির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কেন এতদিন তা গোপন রাখা হয়েছিল। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমে জানানোর মতো কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত তাদের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের এক কর্মকর্তা।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর একটি ওপেন এআই। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাট জিপিটি এই কোম্পানির তৈরি অ্যাপ। ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই কোম্পানির কর্মী ছিলেন সুচির বালাজি। গত আগস্টে নিউইয়র্ক টাইমসে ওপেন এআই’র দুর্নীতি ফাঁস করেন তিনি।
তবে বালাজির মরদেহ উদ্ধারের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে গভীর শোক জানিয়েছে ওপেন এআই। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই হৃদয়বিদারক সংবাদে আমরা শোকাহত। সুচিরের স্বজনরা এখন কঠিন সময় পার করছেন। আমরা তাদের সঙ্গে আছি।’
আরটিভি/এসএপি-টি
বাংলাদেশিদের রেকর্ড পরিমাণ ভিসা দিচ্ছে সৌদি আরব
প্রতিদিন ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার বাংলাদেশিকে ভিসা দিচ্ছে সৌদি আরব। আগামীতে এই হার অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গালফ নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বরে ৮৩ হাজার বাংলাদেশিকে শ্রমিক ভিসায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে সৌদির সরকার। এটিও রেকর্ড, কারণ এর আগে কখনও একমাসে এত সংখ্যক বাংলাদেশিকে শ্রমিক ভিসায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি দেশটি।
সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার অধীনে উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ত্বরান্বিত করার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০৩০ সালের রিয়াদ এক্সপোসহ বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব। এসব ইভেন্টের জন্য এয়ারপোর্ট, রেলওয়ে ও স্টেডিয়ামের মতো বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প রয়েছে। এই আয়োজনগুলো সফল করতে সৌদি আরব দ্রুত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে শ্রমশক্তির চাহিদা বাড়িয়েছে।
সৌহার্দ্যের নিদর্শন হিসেবে সৌদি আরব সম্প্রতি বাংলাদেশে ৩৭২ টন মাংস পাঠিয়েছে অনুদান হিসেবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তারা জানান, ৬৪টি জেলার ৯৫টি অঞ্চলের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অনাথ ও দরিদ্রদের মধ্যে এ মাংস বিতরণ করা হবে।
আরটিভি/একে/এআর
বাংলাদেশে সরিয়ে আনা হতে পারে রাশিয়ার বড় বড় পোশাক কারখানা
শ্রমিক সংকট ও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার সবচেয়ে বড় পোশাক প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে গ্লোরিয়া জিনস নামের পোশাক কোম্পানি। রাশিয়াজুড়ে গ্লোরিয়া জিনসের ১৮টি কারখানা রয়েছে। তারা মূলত পোশাক ও জুতা তৈরি করে।
সম্প্রতি রুশ গণমাধ্যম কমারসান্তকে উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের অনলাইন সংবাদপত্র ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা জানিয়েছে, রাশিয়ার পোশাকশিল্পে দক্ষ কর্মীর সংকট দিনে দিনে গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে শ্রমিক-ঘাটতি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। শ্রমিক-সংকটের পাশাপাশি রাশিয়ায় তৈরি কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের মানও খারাপ। ফলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য দেশ থেকে পণ্য জোগাড় করতে হচ্ছে।
এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর ফলে বিদেশ থেকে সেলাই করার যন্ত্রপাতি আমদানি করা রুশ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এসব আমদানির বিপরীতে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার সালস্কের একটি সেলাই কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে এবং সেখানকার কর্মীদের অন্য কারখানায় চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ঠিক এসব কারণে রস্তভ এলাকায় অবস্থিত কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গ্লোরিয়া জিনস কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ কার হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, একসময় চীন ছিল রাশিয়ার পোশাক প্রস্তুতকারকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু রুশ ব্র্যান্ডগুলো এখন আর চীনে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। ফ্যাশনশিল্পের সঙ্গে জড়িত এক প্রতিনিধি বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বর্তমানে চীনে শ্রমিক মজুরি বাংলাদেশ কিংবা উজবেকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।
তাই কোম্পানিটি তাদের উৎপাদনব্যবস্থা ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ বা উজবেকিস্তানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। কারণ উজবেকিস্তানে তুলার উৎপাদন হয়, সে কারণে কাঁচামালের স্থিতিশীল সরবরাহ রয়েছে। এসব দেশে ভালো মানের শিল্পসুবিধা বিদ্যমান। ফলে কাঁচামালের সরবরাহ কিংবা উৎপাদন খরচ নিয়ে কোনো ঝামেলা পোহাতেও হয় না।
আরটিভি/কেএইচ/এআর
গুমকাণ্ডে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রশ্নে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গুম বিষয়ে তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। এ সময় গুমের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তদন্তের উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বিচার প্রক্রিয়া ন্যায় ও স্বচ্ছ রাখতে উৎসাহ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।
এদিনের ব্রিফিংয়ে গুমসহ নানান অপরাধে জড়িত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রশ্নও উঠেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশে তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে গুম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। তদন্ত কমিশন গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এর আগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয় নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
জবাবে প্যাটেল বলেন, গত দুই দশকে শত শত বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে এমন প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জোরপূর্বক গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন যা ভুক্তভোগীদের অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা নিখোঁজ হওয়ার মতো ট্রমা বা মানসিক যন্ত্রণা দেয়। এটি তাদের পরিবারের ওপর অনিশ্চয়তার ট্রমা সৃষ্টি করে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের এই অপরাধের তদন্তের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করছি।
তিনি বলেন, আমরা এই অপরাধগুলোর তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং বিচারের জন্য ন্যায় ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখার আহ্বান জানাই, যাতে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সুবিচার পেতে পারেন।
এর আগে, গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয় গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেশে গত ১৫ বছরে সংঘটিত বিভিন্ন গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে এই কমিশন।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেছে- তারা সম্ভবত ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন আয়োজন করবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশের এই অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে আমরা স্বাগত জানাই যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি জনগণকে তাদের নিজস্ব নেতৃত্ব নির্বাচন করার সুযোগ দেবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণ এমন একটি বিষয় যেদিকে আমাদের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ থাকবে। অবশ্যই এই পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে আইনের শাসন, একইভাবে গণতান্ত্রিক মূলনীতির বাস্তবায়নকে আমরা উৎসাহিত করছি। এবং যেমনটা আমরা সমগ্র বিশ্বে চাই- শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পক্ষেই আমাদের অবস্থান।
আরটিভি/একে-টি