বিক্রি হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি গরু, দাম কত?
৪৩ লাখ ডলারে বিক্রি হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি গরু। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সম্প্রতি ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরের আরন্দুতে এক নিলামে ‘নেলোর’ প্রজাতির গরুটি বিক্রি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, নেলোর জাতের গরুগুলো উষ্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এটি খুবই শক্তিশালী। এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, খেতেও সুস্বাদু।
নেলোর জাতের গরুর উৎপত্তি ভারতে। অন্ধ্র প্রদেশের নেলোর জেলার নাম থেকেই এই প্রজাতির নামকরণ করা হয়েছে। ১৮৬৮ সালে প্রথম জোড়া নেলোর গরু ব্রাজিলে রুপ্তানি করেছিল ভারত।
গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে এই গরুর সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে ব্রাজিলে। এখন ব্রাজিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গবাদি পশুর জাত হয়ে উঠেছে নেলোর গরু।
সূত্র : দ্য ইকোনমিক টাইমস
মন্তব্য করুন
জলহস্তী জানাল কে হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে লড়ছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে ডেমোক্রেটিকের হয়ে লড়ছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এরই মধ্যে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কিন্তু ভোটাররা যখন ভোট দিচ্ছেন, তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পই আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরছেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে থাইল্যান্ডের এক শিশু জলহস্তী।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের মহাতারকা খ্যাত শিশু জলহস্তী মু ডেং আবারও হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে।
থাইল্যান্ডের চোনবুরি প্রদেশের খাও খেও খোলা চিড়িয়াখানায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্পের নাম লেখা দুটি ফল উপহার দেওয়া হয় মু ডেং’কে।
চিড়িয়াখানা থেকে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, চার মাস বয়সী মু ডেং ট্রাম্পের নাম নির্বাচন করে। পরে দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি ছড়িয়ে পড়ে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মু ডেংয়ের এই ভিডিও ব্যাপক ঝড় তুলেছে। দেশটির জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা বোওন ইয়াং তাকে ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ কমেডি শোতেও তুলেছেন। এই শোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত লাইভ ভোটিংয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমালা হ্যারিসকে হারিয়ে দিয়েছে মু ডেং। ওই দুই প্রার্থীর বিপরীতে মু ডেং ৯৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
যদিও জলহস্তীর কাল্পনিক দক্ষতা তেমন পরীক্ষিত নয়। তারপরও বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনায় অন্যান্য প্রাণীর ফলাফলের বিষয়ে করা ভবিষ্যদ্বাণী অনেক সময় সঠিক হতে দেখা গেছে। বিশেষ করে অক্টোপাস পলের কথা উল্লেখ করা যায়। ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে আটটি ম্যাচের সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করে বিশ্বজুড়ে তারকাখ্যাতি অর্জন করে পল।
আরটিভি/একে/এসএ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন মার্কো রুবিও
মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চূড়ান্তভাবে তাকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম লাতিনো শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে নিযুক্ত হবেন ফ্লোরিডায় জন্ম নেওয়া এই রাজনীতিবিদ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কয়েকটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ট্রাম্পের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় সম্ভবত সবচেয়ে কঠোর পররাষ্ট্রনীতি সমর্থনকারী প্রার্থী ছিলেন রুবিও। বহু আগে থেকেই আমেরিকার ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন চীন, ইরান ও কিউবার বিষয়ে তিনি শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
তবে গত কয়েক বছরে তিনি তার কিছু অবস্থানকে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্য করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্টদের ব্যয়বহুল ও অকার্যকর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং একটি সংযত পররাষ্ট্রনীতির কথা বলে আসছেন।
তবে, ২০১৭ সালের চেয়ে এবার পুরো বদলে যাওয়া একটি বিশ্ব পাচ্ছেন ট্রাম্প। এই সময়টা আগের চেয়ে বেশি অস্থির ও বিপজ্জনক। ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে চীন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রুবিওর জন্য ইউক্রেন সংকট একটি বড় হিসেবে এজেন্ডা হবে।
রুবিও সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানো। পূর্বে দখলকৃত ইউক্রেনের সব ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার পরামর্শ দিযেছেন তিনি। তিনি ইউক্রেনের জন্য এপ্রিল মাসে পাস হওয়া ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটরের একজন ছিলেন।
সিনেটে শীর্ষ চীন-বিরোধী হিসেবে পরিচিত রুবিও। সেনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান সদস্য হিসেবে তিনি বাইডেন প্রশাসনের ওপর চাপ বজায় রেখেছিলেন। এই বছরের শুরুর দিকে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের সব বিক্রয় বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।
রুবিওর দাদা ১৯৬২ সালে কিউবা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। কিউবা সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের ঘের বিরোধী ছিলেন তিনি। ট্রাম্পও একই মনোভাব পোষণ করেন।
আরটিভি/এআর-টি
বিশ্ববাজারে / কমেছে স্বর্ণের দাম, দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ডলারের মান শক্তিশালি হতে থাকে। এর পরপরই কমতে শুরু করে স্বর্ণের দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে স্বর্ণের কেনা-বেচা হচ্ছে, তা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি আউন্স (এক আউন্স = ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৯১ ডলার বা ৩ লাখ ১০ হাজার ৮০৯ টাকায়।
স্বর্ণের বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শতকরা হিসেবে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৯ শতাংশ এবং গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর আজ মঙ্গলবার প্রথম এই দরে বিক্রি হচ্ছে মূল্যবান এই ধাতুটি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা কেসিএম ট্রেডের শীর্ষ বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটেরার রয়টার্সকে বলেন, সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং তার ফলাফল ডলারের মানের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। স্বর্ণের দাম কমার মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ডলারের মান শক্তিশালী হওয়ার মধ্যে।
ডলারের মান বৃদ্ধি অবশ্য এমনি এমনিই ঘটেনি; বরং এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে বা বিটকয়েনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্যিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহারের পক্ষে থাকায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে বিটকয়েনের ব্যবহার। ফলে ডলারের মানও বাড়ছে।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষণকারী অপর মার্কিন সংস্থা বেরেনবার্গ জানিয়েছে, বিটকয়েনের ব্যবহার বৃদ্ধির এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ২০২৫ সালে স্বর্ণের দর কম-বেশি স্থিতিশীল থাকবে, তবে চাহিদার তেমন হেরফের হবে না। ফলে দামও খুব বেশি হ্রাস পাবে না।
রয়টার্সকে বেরেনবার্গের এক বিশ্লেষক বলেন, স্বর্ণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অনন্য দিক হলো, এটি মূল্যস্ফীতির সময় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। ডলারের মান শক্তিশালী হচ্ছে—এটা আন্তর্জাতিক অর্থনীতির জন্য বেশ ইতিবাচক। তবে শেষপর্যন্ত মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি থেকেই যাবে এবং সেই ঝুঁকি এড়াতে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থের একটি অংশ স্বর্ণ ক্রয়ের জন্য আলাদা করে রাখবেন।
আরটিভি/একে
নভেম্বরে একসঙ্গে শক্তিশালী ৪ ঘূর্ণিঝড়!
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে বর্তমানে চারটি শক্তিশালী ঝড় সক্রিয় রয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে একসঙ্গে চারটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সক্রিয় থাকার ঘটনা ১৯৫১ সালের পর এই প্রথম এবং গত সাত বছরের মধ্যে এই ধরনের পরিস্থিতি কখনোই দেখা যায়নি।
সিএনএন জানিয়েছে, যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্রের স্যাটেলাইট চিত্রে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে টাইফুন ইংজিং, টাইফুন তোরাজি, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় উসাগি এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ম্যান-ইকে সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে। এই চারটি ঝড় ফিলিপিন্সের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) টাইফুন ইংজিং উত্তর-পূর্ব ফিলিপিন্সে আঘাত হানে যার বাতাসের গতিবেগ আটলান্টিকের ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের সমান ছিল। তবে এত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ঝড়টি প্রবল বৃষ্টিপাত, উত্তাল ঢেউ এবং ভূমিধস ঘটিয়ে শেষ হয়। পরে ইংজিং পশ্চিম দিকে চীনের হাইনান প্রদেশ হয়ে ভিয়েতনাম আঘাত হানে।বর্তমানে সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
পরদিন ঘূর্ণিঝড় তোরাজি ফিলিপিন্সের লুজোনের অরোরা প্রদেশের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। এর বাতাসের গতি আটলান্টিকের ক্যাটাগরি ওয়ান হারিকেনের সমান। এর আগে আরও হাজারো মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানে এটি দুর্বল হয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি বয়ে আনবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ফিলিপিন্স আরও দুটি ঝড়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় উসাগি লুজোনের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং মঙ্গলবারের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ম্যান-ই গুয়ামের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং এটি শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরটিভি/ এএ
ধেয়ে আসছে দুই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানবে যেখানে
সম্প্রতি একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন। মাত্র এক মাসেই পাঁচটি ঝড় আঘাত হেনেছে, যার ফলে অনেক মানুষের প্রাণহানি এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশটিকে তছনছ করতে প্রস্তুত আরও দুটি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়— সুপার টাইফুন উসাগি এবং ক্রান্তীয় ঝড় ম্যান-ই।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিপাইনে এক মাসের মধ্যে পঞ্চম ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে চলেছে। এজন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে আঘাত হানতে যাওয়া এ ঘূর্ণিঝড়কে উসাগি নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও একটি ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকারি তথ্যমতে, কাগায়ন প্রদেশের ২৪ হাজারের বেশি বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আগের টাইফুনের সময় শহর ছেড়ে আসা মানুষেরাও রয়েছেন। তাদের সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সুপার টাইফুন উসাগি স্থানীয়ভাবে অফেল নামে পরিচিত। এটি প্রদেশে বৃহস্পতিবার বিকালে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কাগায়ানের দুর্যোগ ত্রাণ অফিসের প্রধান রুয়েলি রেপসিং বলেন, উসাগির বৃষ্টির কারণে কাগায়ান নদীর পানির স্তর আবার বেড়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মধ্য ও দক্ষিণ অংশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে চলছে। টাইফুনের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় জরুরি জিনিসপত্র যেমন জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ম্যান-ই নামের আরেকটি ঝড়ও এগিয়ে আসছে। শনিবারের মধ্যে এটি মধ্য ফিলিপাইনে আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে এ সময়ে সব ধরনের অ-প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানে। এর ফলে দেশটিতে ভারি বৃষ্টিপাত, প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার তথ্যমতে, অক্টোবরে দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজানে ঘূর্ণিঝড় ট্রামি এবং কং-রের লুজোনের আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ১৫৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখনও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরটিভি/একে/এসএ
বিশ্ববাজারে বাড়লো স্বর্ণের দাম, বাড়তে পারে দেশেও
মার্কিন নির্বাচনের পর কয়েক দফা কমে এবার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বাড়তে পারে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছিল ২ হাজার ৫৭০ দশমিক ৬৬ ডলারে। একদিনে প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৩৪ ডলার দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমুদ্র যোগাযোগ চালু, উদ্বিগ্ন ভারত
১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কোন পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের বন্দরে নোঙর করেছে। গত সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে সম্ভাব্য অস্থিরতা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। কারণ, ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্স বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছাকাছি।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের প্রধান দুই বন্দর চট্টগ্রাম ও মংলায় পাকিস্তান কোন জায়গা পায়নি। সিঙ্গাপুর ও কলম্বোর মাধ্যমে দুদেশের বাণিজ্য হতো। তবে এখন পাকিস্তানি জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। ফলে পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ জিনিস (অস্ত্র) আসতে পারে। যেগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে যেতেও পারে। যেমন ২০০৪ সালে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ১ হাজার ৫০০ চাইনিজ অস্ত্র ট্রলারে করে আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল উলফার জন্য পাঠিয়েছিল। তবে সেগুলোর উলফার হাতে যাওয়ার আগেই জব্দ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে ভারত চট্টগ্রাম ও মংলা থেকে চীনকে দূরে রেখেছিল। কিন্তু এখন পাকিস্তান চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে। ফলে বিষয়টি অবশ্যই এই অঞ্চলের ভূরাজনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। কেননা মিয়ানমারও চট্টগ্রামের খুব কাছে, সেই সঙ্গে মিয়ানমারে অবস্থা এখন টালমাটাল। ভারত শক্কা করছে, মিয়ানমার থেকে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক কারবারি বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে জাহাজ আসার বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে অভিহিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। কেননা এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান জটিল সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
আরটিভি/এসএপি