• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সু চি ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন পোপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ অক্টোবর ২০১৭, ১০:৫২

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার মধ্যেই চার দিনের সফরে দেশটিতে যাচ্ছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। ভ্যাটিকান ঘোষিত সফরসূচি থেকে জানা গেছে, ২৭-৩০ নভেম্বর মিয়ানমারে অবস্থান করবেন ওই ধর্মগুরু। সেখানে অবস্থানকালে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি, শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এবং বৌদ্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। মঙ্গলবার ভ্যাটিকান সিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ভ্যাটিকানের বিবৃতিতে উল্লেখিত সফরসূচি অনুযায়ী, ২৭ নভেম্বর মিয়ানমারের স্থানীয় সময় ১টা ৩০ মিনিটে ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামবেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় স্বাগত জানানো হবে। ২৮ নভেম্বর দুপুর দুইটায় তিনি বিমানযোগে রাজধানী নেপিডোর উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে তিনি নেপিডো পৌঁছাবেন। ৩টা ৫০ মিনিটে তাকে প্রেসিডেন্ট ভবনে স্বাগত জানানো হবে। ৪টায় তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। একইদিনে ৪টা ৩০ মিনিটে তিনি রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওইদিন ৫টা ১৫ মিনিটে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে কূটনীতিক-কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে বৈঠক শেষে ৬টা ২০ মিনিটে ইয়াঙ্গুনের বিমানে উঠবেন। ৭টা ২৫ মিনিটে ইয়াঙ্গুনে নেমে সেখানে আর্চবিশপদের সঙ্গে দেখা করার কথা পোপ ফ্রান্সিসের।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারাবিশ্বের চাপের মুখে রয়েছে মিয়ানমার। ফেব্রুয়ারিতে পোপ ফ্রান্সিসও বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘কেবলমাত্র মুসলিম ধর্মীয় পরিচয়কে উপজীব্য করে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে।’ পোপের সফরের উদ্দেশ্য ‘শান্তি-সহমর্মিতা আর ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের মানুষে মানুষে ভালোবাসা’। থাইল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ২৮ নভেম্বর তারিখে তিনি রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চি, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জেনারেল, এবং বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বৈঠকে রোহিঙ্গাদের সংকট নিয়ে কথা বলতে পারেন।

ভ্যাটিকানের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হুতিন কও এবং রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চির সঙ্গে কথা বলার পর সামরিক বাহিনীর নেতারা আলাদাভাবে বৈঠক করবেন পোপের সঙ্গে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে শীর্ষ সেনাকর্মকর্তাদের সঙ্গে পোপের বৈঠকের আভাস দেয়া হয়েছে। ভ্যাটিকানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮ তারিখ বিকালে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে কূটনীতিক-কর্তৃপক্ষ ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে পোপের যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারাও থাকবেন।

২৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাথলিকদের এক হলি ম্যাসে অংশ নেয়ার পর বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে বৌদ্ধদের সুপ্রিম কাউন্সিলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন পোপ। এরপর ৫টা ১৫ মিনিটে সেন্ট ম্যারি ক্যাথেড্রালে আর্চবিশপদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের। ৩০ নভেম্বর সেন্ট ম্যারি ক্যাথিড্রালে তরুণদের সঙ্গে হলি ম্যাসে অংশ নেবেন পোপ। ১২টা ৪৫ মিনিটে তাকে ইয়াঙ্গুনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হবে। ১টা ৫মিনিটে তিনি ঢাকার উদ্দেশে মিয়ানমার ছাড়বেন।

এপি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh