মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে নারাজ ইসরায়েল
মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যখন সারাবিশ্ব দেশটির রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের পথ খুঁজছে, তখন সেই দেশটিতেই অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে নারাজ ইসরায়েল। তাদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি কূটনৈতিক।
জাতিসংঘের মতে, সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। নো-ম্যানস ল্যান্ডে আটকা রয়েছেন আরো কয়েক হাজার।
সোমবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম www.haaretz.com এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত একশ’ জনের মতো নিহত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইসরায়েলের হাইকোর্টে মিয়ানমারের কাছে অব্যাহত অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে মানবাধিকার কর্মীরা আবেদন করে। চলতি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে এ আবেদনের শুনানি হবে।
মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বিষয়ে ইসরায়েলের সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবিগডর লিয়েবারম্যান জানান, ইসরায়েল বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে। ইসরায়েল নিজেদের যুক্তরাষ্ট্রের অনুগামী মনে করে এবং একই নীতি অনুসরণ করে।
তিনি আরো জানান, নিসেট প্লেনাম এ ধরনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার ক্ষেত্র নয় এবং আলোকিত বিশ্বের জারি করা সব নির্দেশনা অনুসরণ করে ইসরায়েল।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
তিনি আরো বলেন, এর আগে আর্জেন্টিনায় যুদ্ধাপরাধে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও আর্জেন্টিনায় যুদ্ধাপরাধ সমর্থন করে এবং সার্বিয়ার সেনাদের অস্ত্র দেয় ইসরায়েল। সেসব অস্ত্র দিয়ে বসনিয়ায় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
কে/সি
মন্তব্য করুন