পরমাণু হামলা পরবর্তীর প্রস্তুতি নিচ্ছে জাপান (ভিডিও)
যদি উত্তর কোরিয়া পরমাণু হামলা চালায় জাপানের পরবর্তী প্রজন্মের অবস্থা কী হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর না থাকলেও হামলা থেকে প্রাথমিকভাবে কীভাবে বাঁচা যায় সেই চেষ্টাই করছেন দেশটির নাগরিকরা।
সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটির সাকাটা শহরের বাসিন্দারা পরমাণু হামলা থেকে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করবেন এমন প্রস্তুতি চালাচ্ছেন।
জাপান সাগরের পশ্চিম উপকূলের এ শহরটি দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক অঞ্চল। আর সাগরের ওপারেই পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের হামলার জন্য বিশ্বের জন্য সবচে’ বড় হুমকি উত্তর কোরিয়ার অবস্থান।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ব রাজনীতি। এর ওপর ভিত্তি করেই প্রস্তুতি মহড়া করা হয় সাকাটায়।
এতে যোগ দেয়া শহরের এক বাসিন্দা বলেন, এটা প্রচণ্ড ভয়ঙ্কর। আমি জানি না দৌড়ে পালানো সম্ভব কিনা। তবু জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় এই মহড়ায় অংশ নিয়েছি।
অপর আরেক ব্যক্তি বলেন, আমাদেরকে বলা হয়েছে দেয়ালের পেছনে অবস্থান নিলে বাঁচতে পারবো। কিন্তু সত্যিই কি এটা সম্ভব?
৭০ বছরে প্রথমবার এলাকার বাসিন্দাদের মহড়াতে অংশগ্রহণ করতে আদেশ দেয় প্রশাসন।
গেলো রোববারই দেশটি হিরোশিমা দিবস পালন করে। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট আমেরিকার করা পরমাণু হামলায় দেশটির ১ লাখ ৪০ হাজার নাগরিকের মৃত্যু হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিন জো অ্যাবে পারমানবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের দাবি জানান।
তারপর থেকে গেলো সাত দশক ধরে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকের এ দিনটি পালন করে আসছে জাপানবাসী।
কয়েক বছর ধরেই জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সবশেষ গেলো মাসের ২৮ তারিখে ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় দেশটি। ধারণা করা হয়, সেটি ছিল ১৪তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
এর আগে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে পিয়ংইয়ং প্রথমবারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বন্ধু ও প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীন ওই প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দেয়। তার পাশাপাশি আলোচনায় বসারও আহ্বান জানায়।
এদিকে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের জেরে আমেরিকাকে কড়া মাশুল গোনার হুঁশিয়ারি দেয় উত্তর কোরিয়া।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আমেরিকা হামলা করলে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক শিক্ষা দেয়া হবে। একইসঙ্গে আগ্রাসী সামরিক কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারও করে তারা।
নিরাপত্তা পরিষদের নতুন নিষেধাজ্ঞা দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। পিয়ংইয়ংয়ের রপ্তানি বাণিজ্যকে টার্গেট করে নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো কমিউনিস্ট দেশটিকে বিচ্ছিন্ন এবং কণ্ঠরোধ করা আমেরিকার জঘন্য চক্রান্ত।
শত্রুদের নিষেধাজ্ঞা কখনো দেশটিকে পরমাণু কর্মসূচি ছাড়তে বাধ্য করতে পারবে না বরং তা জোরদার করবে বলেও জানানো হয়।
ওয়াই/সি
উত্তর কোরিয়ায় ১৫ ডিজাইনের বাইরে চুলের ছাট দেয়া যায় না
‘আমেরিকার হৃৎপিণ্ডে আঘাত হানব’
মন্তব্য করুন