• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ক্রস ভোটে পাল্লা ভারী বিজেপি প্রার্থী কোবিন্দের!

অনলাইন ডেস্ক
  ১৮ জুলাই ২০১৭, ০৯:৪৪

বিজেপির রাষ্ট্রপতি প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের জয় আগেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তার পরও এর দল ভাঙিয়ে, ওর দলে সিঁদ কেটে জয়ের ব্যবধান বাড়াতে দিনভর ব্যস্ত থাকলেন অমিত শাহের সেনাপতিরা। দিনের শেষে বিজেপির দাবি, ৬৩ শতাংশ নিশ্চিত ভোটের গণ্ডি ছাপিয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পাবেন কোবিন্দ।

ক্রস ভোটিং-র আশঙ্কায় ভোট শুরুর পরে ফের ‘অন্তরাত্মার ডাকে’ ভোট দেয়ার ডাক দেন বিরোধী জোটের প্রার্থী মীরা কুমার। দিনের শেষে জানা গেল, ওডিশায় নবীন পট্টনায়কের দলে ভাঙন ধরিয়ে মীরাকে ফায়দা দিতে সক্ষম হয়েছে কংগ্রেস। নবীন অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। নীতীশ কুমারের দলের কেরলের সাংসদ ভোট দিয়েছেন মীরাকে। গুজরাতের জেডিইউ বিধায়ক নীতীশের অবস্থানের প্রতিবাদে ভোট বয়কট করেছেন। কিন্তু দেশের বাকি প্রান্ত থেকে যা খবর এসেছে, তাতে ক্রস ভোটিং-এও পাল্লা ভারী কোবিন্দের দিকেই। এ তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

উত্তরপ্রদেশে বাপ-বেটার দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হল রাষ্ট্রপতি ভোটেও। মুলায়ম সিংহ যাদব আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি ভোট দেবেন দীর্ঘ দিনের বন্ধু কোবিন্দকেই। দেখাদেখি চলেন তার ভাই শিবপালও। ওই গোষ্ঠীর দাবি, অখিলেশের একাধিক বিধায়ক ক্রস ভোটিং করে বিজেপির পাল্লা ভারি করেছেন।

ত্রিপুরায় তৃণমূলের বহিষ্কৃত ৬ বিধায়ক মীরার বদলে কোবিন্দকেই ভোট দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এক কংগ্রেস বিধায়কও।

পঞ্জাবে কংগ্রেস এবং আপের অনেকে কোবিন্দকে ভোট দিয়েছেন বলে বিজেপি দাবি। আপ বিধায়ক এইচ এস ফুলকা বলেন, শিখ দাঙ্গায় জড়িত কংগ্রেসের প্রার্থীকে তিনি ভোট দেবেন না। হরিয়ানায় বিজেপি বিধায়ক ৪৭ জন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারের দাবি, তাদের ঝুলিতে ভোট পড়েছে ৭৫ জনের। সে দাবি সত্যি হলে, নির্দল, বিএসপি, আইএনএলডি বিধায়ক ছাড়াও বেশ কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ককে ভাঙাতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি।

মায়াবতী শুরু থেকেই জোট প্রার্থী মীরার পক্ষে কাজ করলেও শেষ দিকে এসে তিনি বলেছেন, যে-ই জিতুন, আখেরে দলিত প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হবেন। এতে মায়াবতীর চূড়ান্ত অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যেমন সংশয় তৈরি হয়েছে এনসিপি-র প্রফুল্ল পটেলের মন্তব্য ঘিরে। তিনি বলেন, ‘জিতবেন তো সেই কোবিন্দই।’

শরদ পওয়ার মানসিকভাবে মোদির সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী তাকে সুকৌশলে মীরার পক্ষে নিয়ে আসেন। তার দলের বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিং-এর অভিযোগ উঠলে অবশ্য খারিজ করতে মাঠে নামতে হয় প্রফুল্লকে।

ভোট-ক্রস ভোটের লড়াই শেষ হয় বেলা সোমবার পাঁচটায়। ২০ জুলাই ভোটের ফল। তখনই বোঝা যাবে, কে কার ঘর ভাঙতে কতটা সক্ষম হলেন।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh